নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১৬ জুন, ২০২১
রাজনীতি থেকে অবসরে যাবার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া। বেগম জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে তার ভাই ইস্কান্দার এই বার্তা বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে দিয়েছেন। শামীম ইস্কান্দার বিএনপি মহাসচিবকে বলেছেন, বেগম জিয়া গুরুতর অসুস্থ। এই অবস্থায় তার পক্ষে কোন রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে থাকা সম্ভব নয়। একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে বিএনপি মহাসচিব শামীম ইস্কান্দারের বক্তব্য গ্রহণ করেননি। জানা গেছে, ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বেগম জিয়া এবং বিএনপি অভিন্ন স্বত্তা। কিছু না করলেও তিনি দলের প্রধান নেতা। বিএনপি মহাসচিব এ সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না দেয়ার জন্য শামীম ইস্কান্দারকে অনুরোধ করেছেন বলেও জানা গেছে।
একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, বেগম জিয়ার বিদেশে যাওয়াকে বাধাহীন করতেই বেগম জিয়ার ভাই ও বোন গতকাল মঙ্গলবার তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এই প্রস্তাব দেন। বেগম খালেদা জিয়া এ ব্যাপারে অসম্মতি জানায়নি। বেগম জিয়া তাদের বলেছেন , `তোমরা যেটা ভালো মনে কর সেটাই কর। `
বেগম জিয়ার পরিবারের সদস্যরা মনে করছেন, যদি খালেদা জিয়া বিএনপি চেয়ারপারসনের পদ থেকে সরে আসার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন, তাহলে হয়তো সরকার তাকে বিদেশে যাবার অনুমতি দেয়ার ক্ষেত্রে সহানুভূতিশীল হবেন। রাজনৈতিক পরিচয়হীন অসুস্থ একজন নারীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাবার অনুমতি দিতে পারে সরকার। এই বিবেচনা থেকেই বেগম জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর জন্য দেন দরবারের করে পদত্যাগের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিতে চান বেগম জিয়ার ভাই। তবে বিএনপির নেতৃবৃন্দ এই সিদ্ধান্তকে আত্মঘাতি বলেছেন। বিএনপির একজন স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেছেন, এটি হবে চরম ভুল সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্ত বেগম জিয়ার সারা জীবনের রাজনৈতিক অর্জনকে ম্লান করে দেবে। ঐ নেতা বলেন, আপোষ করে মুক্তি নেয়াতে বেগম জিয়ার ইমেজ এবং অর্জন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এখন পদত্যাগ করে বিদেশে গেলে তার রাজনৈতিক মৃত্যু হবে।
উল্লেখ্য, করোনায় আক্রান্ত হয়ে এক মাসের বেশি সময় ধরে বেগম জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। করোনা থেকে মুক্ত হলেও তিনি এখন হার্ট, কিডনী এবং লিভার সংক্রান্ত জটিলতায় ভুগছেন। বেগম জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়ার চেষ্টা করছেন তার পরিবার।
মন্তব্য করুন
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপে নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তকে
উপেক্ষা করে প্রার্থী হওয়ায় মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে উপজেলার বিএনপিপন্থি দুই প্রার্থীকে
শোকজ করা হয়েছে।
বিএনপি থেকে শোকজ করা দুই প্রার্থী হলেন, চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী
উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর
রহমান তুষার (কাপ পিরিচ প্রতীক) ও ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য
ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসা (চশমা প্রতীক)।
গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র অফিসিয়াল
প্যাডে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত কারণ দর্শানোর
নোটিশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৫ এপ্রিল বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির
সভায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিএনপি নেতা হিসেবে
আপনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। নির্বাচনে
প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার এহেন মনোবৃত্তি সম্পূর্ণরূপে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি এবং দলের
প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা।
দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে জালিয়াতির নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য
আপনার বিরুদ্ধে কেন দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা
হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্যকোনো মাধ্যমে পত্র প্রাপ্তির কিংবা ফোনে অবহিত হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার
মধ্যে যথাযথ কারণ দর্শিয়ে একটি লিখিত জবাব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয় বরাবর
নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।
কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাচনে
চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়নের সাবেক
চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর রহমান তুষার বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য দলীয়ভাবে কারণ
দর্শানোর নোটিশ হাতে পেয়েছি। যথাযথ সময়ে আমি নোটিশের জবাবও দেব। তবে ৮ মে উপজেলা পরিষদ
নির্বাচনে আমি জনগণের চাপে পড়ে প্রার্থী হয়েছি। দলীয় সিদ্ধান্ত যাই হোক না কেন, জনগণের
ভালোবাসা, দোয়া ও সমর্থন নিয়ে শেষ পর্যন্ত আমি নির্বাচনী মাঠে থাকব। আমি টানা ১৯ বছর
বয়ড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে জনগণের সেবা করেছি। যার ফলে পুরো উপজেলায় আমার
একটা অবস্থান রয়েছে। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ আমাকে ভালোবাসে। তাদের ভালোবাসা ও দোয়া
নিয়েই আমি আগামীতে পথ চলতে চাই। আশা করি, এ নির্বাচনে আপামর জনগণ আমার পাশে থাকবে এবং
নির্বাচনে ভালো কিছু হবে, ইনশাআল্লাহ।
তবে বিএনপিপন্থি ভাইস চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য
ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসাকে একাধিকবার মুঠোফোনে
কল দিলেও রিসিভ হয়নি।
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।