নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৪২ পিএম, ১৭ জুন, ২০২১
সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনে সবে মাত্র মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন প্রার্থীরা। ভোট গ্রহণ হবে ২৮ জুলাই। ভোটযুদ্ধে নামার আগেই বাকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছেন সিলেট-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব ও স্বতন্ত্র বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা শফি আহমেদ চৌধুরী। নিজেদের জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে একে অন্যের বিরুদ্ধে বিষোদগার চরমে উঠেছে।
বিএনপি উপনির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিলেও দলীয় সিদ্ধান্ত না মেনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় সদস্য সাবেক এমপি শফি আহমেদ চৌধুরী। দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘনের দায়ে মঙ্গলবার (১৫ জুন) তাকে শোকজ করা হয়েছে। দফতর সম্পাদকের দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স স্বাক্ষরিত ওই শোকজের চিঠিও হাতে পৌঁছেছে শফি আহমেদ চৌধুরীর। তিন দিনের মধ্যে তাকে শোকজের জবাব দিতেও বলা হয়েছে।
এদিকে দলীয় এমন কঠোর বার্তায় বিচলিত তিনি। তিনি বলেন, সিলেট-৩ আসন বিএনপির ঘাঁটি। এ আসনে দুবার এমপি ছিলেন তিনি। ওই সময় তিনি এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। দলের নেতাকর্মীরা চান তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হন। এলাকার লোকজনও তাকে ফোন দিয়ে ‘প্রেসার’ দিচ্ছেন। এবার আশা করা হচ্ছে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। তাই নির্বাচনে অংশ না নিলে বিএনপির এ ঘাঁটি ধ্বংস হয়ে যাবে বলে দাবি করেন শফি চৌধুরী।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী নিয়ে দলের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে বলে দাবি করে শফি আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘দলের নেতাকর্মীরা আশা করেছিলেন মানবিক দিক বিবেচনায় মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর স্ত্রীকে আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দেবে। কিন্তু আওয়ামী লীগ তার প্রতি সহানুভূতি না দেখানোর কারণে দলের নেতাকর্মীরা খুবই ক্ষুব্ধ। এ ছাড়া দলের সিনিয়র নেতারা মনোনয়নবঞ্চিত হওয়ায় দলটির নেতাকর্মীরা অসন্তুষ্ট।
তারাও আমার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। জামায়াতও আমাকে নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহ দিচ্ছে। সব মিলিয়ে দলীয় নেতাকর্মী ও এলাকার মানুষের সমর্থন উপেক্ষা করতে না পেরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ছুটে এসে প্রার্থী হতে হয়েছে।’
এদিকে, প্রার্থী বাছাই নিয়ে আওয়ামী লীগে অসন্তোষ ও দলের নেতাকর্মীদের একাংশ তার সঙ্গে নেই- এমন মন্তব্যে শফি চৌধুরীর ওপর খেপেছেন হাবিবুর রহমান হাবিব। গতকাল সংবাদ সম্মেলন করে হাবিব জানান, নির্বাচনী এলাকার তিন উপজেলা আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মী নৌকা প্রতীকের পক্ষে রয়েছেন। অন্য যারা মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন তারাও তাকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। সবাইকে নিয়ে তিনি নির্বাচন করবেন। নৌকা প্রতীকের বাইরে কোনো নেতাকর্মী নেই দাবি করে হাবিব বলেন, শফি চৌধুরী বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছেন।
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য নতুন করে তৎপরতা শুরু করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। বিশেষ করে বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ইতোমধ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছেন। বেগম জিয়া আর ভবিষ্যতে রাজনীতি করবেন না, রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন এ রকম একটি বক্তব্য সামনে নিয়ে আসছেন শামীম ইস্কান্দার।
আওয়ামী লীগের তৃণমূল ক্রমশ ভেঙ্গে পড়ছে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের তৃণমূল সংগঠিত করা এবং বিভেদ-বিভক্তির দূর করার জন্য যে ডাক দেওয়া হয়েছিল তারপর একটু পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছিল বলে বটে। কিন্তু এখন আবার উপজেলা নির্বাচনের প্রাক্কালে সারাদেশে তৃণমূল বিভক্ত হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগের তৃণমূলকে সামাল দেওয়াই এখন কঠিন হয়ে পড়ছে। একদিকে নির্বাচন কেন্দ্রীক বিরোধ অন্যদিকে দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে যাওয়া আর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তদারকির অভাবে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ এখন সবচেয়ে সঙ্কটের মুখে পড়েছেন বলেই মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারাই।