নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০২ পিএম, ১৯ জুন, ২০২১
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, `বাংলাদেশ যাতে বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে টিকা না পায় সেজন্য বিএনপির বৈদেশিক শাখাগুলো তলে তলে ষড়যন্ত্র করছে।`
শনিবার (১৯ জুন) দুপুরে রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত `সময়ের সাহসী জননেত্রী শেখ হাসিনা` শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
ড. হাছান বলেন, `দেশের মানুষকে করোনা মহামারি থেকে রক্ষাকল্পে সরকারের টিকা সংগ্রহের কাজের শুরু থেকেই এর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে বিএনপি। এমনকি টিকা আসার পর তা যেন জনগণ না নেয়, সেজন্য টিকার বিরুদ্ধে তারা অপপ্রচারও চালিয়েছে। আবার ক`দিন পরে নিজেরাই গোপনে টিকা নিয়েছে। আবার কেউ কেউ প্রকাশ্যে টিকা নিয়ে স্বস্তিপ্রকাশও করেছে।`
`এখন যখন বাংলাদেশ বিভিন্ন সূত্র থেকে টিকা সংগ্রহের চেষ্টা করছে, সাতসমুদ্র পারে বিএনপি`র বৈদেশিক শাখাগুলো ভেতরে ভেতরে অপচেষ্টা চালাচ্ছে যাতে বাংলাদেশ টিকা না পায়` জানান ড. তথ্যমন্ত্রী। সেইসাথে দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে তিনি বলেন, কোনো ষড়যন্ত্রে কাজ হবেনা, সরকার বিভিন্ন সূত্র থেকে টিকা আনবে এবং শিগগিরই আবার ব্যাপকভাবে টিকাদান শুরু হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুরদর্শী নেতৃত্বেই বাংলাদেশ সাহায্যগ্রহীতা থেকে এখন ঋণদাতা দেশে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের এই উন্নয়ন -অগ্রগতি বিএনপির সহ্য হচ্ছে না বলেই তারা নানামুখী ষড়যন্ত্র করছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, `প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালের ১৭ মে যখন দেশে এসেছিলেন, সেসময় তিনি যেন দেশে না আসতে পারেন সেজন্য তৎকালীন জিয়াউর রহমান ও তার সারকার নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছিল, এমনকি দেশে এলেও যাতে জনসমাগম না হয়, সেজন্যও প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছিল। কিন্তু সেসব তুচ্ছ করে জননেত্রী শেখ হাসিনা ফিরেছেন এবং জনগণের রায়ে চারবার দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপালন করে দেশকে বিশ্বে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।`
৪০ বছরের দীর্ঘ পথচলায় বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রমাণ করেছেন, শুধু সময়ের সাহসী সন্তানই নন, ষড়যন্ত্র-দুর্যোগের মধ্যেও অবিচল থেকে জাতিকে নেতৃত্ব দেন তিনি, বলেন তথ্যমন্ত্রী।
স্বাধীনতা পরিষদের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো: শাহাদত হোসেন টয়েলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, আওয়ামী লীগ নেতা এডভোকেট বলরাম পোদ্দার, এম এ করিম, জিন্নাত আলী খান জিন্নাহ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, সাংবাদিক মানিক লাল ঘোষ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
ড. হাছান মাহমুদ এদিন সকালে ঢাকার মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবন থেকে অনলাইনে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের ত্রি-বাষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতা দেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়ে মুক্তিযুদ্ধ ও দেশবিরোধীদের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান তিনি।
চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক এডভোকেট জিয়া উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাসিম, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু প্রমুখ অনলাইনে বক্তব্য রাখেন।
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।