নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:১০ পিএম, ১৯ জুন, ২০২১
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, ‘গুম’ এবং ‘আত্মগোপন’ ইস্যুতে রাষ্ট্রে বড় ধরনের সংকট সৃষ্টি হচ্ছে এবং এতে জনগণ গভীরভাবে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে। নিয়মিত বিরতিতে এই ধারাবাহিক গুম এবং অজ্ঞাতবাসের নাটক মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত এই জাতিরাষ্ট্রে চলতে পারে না।
শনিবার (১৯ জুন) ইসলামি বক্তা আবু ত্ব-হাসহ ৪ জনের নিখোঁজ এবং প্রত্যাবর্তন প্রশ্নে এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন জেএসডি সভাপতি।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, যারা প্রকৃত অর্থেই গুম হচ্ছেন তাদের সম্পর্কে সরকার নিষ্ক্রিয় এবং গুম হওয়া ব্যক্তির স্বজন বা পরিবারের আহাজারিতে সরকার ন্যূনতম প্রতিক্রিয়াও ব্যক্ত করছে না। আর যারা অজ্ঞাতবাস থেকে প্রত্যাবর্তন করছেন তাদের নিয়ে পুলিশের একতরফা বক্তব্য সংকটের নিরসনতো করছেই না বরং তা জনগণের মাঝে ক্রমাগত ভীতি ও আতংক ছড়িয়ে দিচ্ছে যা কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়। আবু ত্ব-হাসহ চারজন ব্যক্তিগত কারণে আত্মগোপন করে থাকলে স্বচ্ছতার প্রশ্নে তাদের ভাষ্য জনসম্মুখে প্রচার করা জরুরি। ব্যক্তিগত কারণে আত্মগোপন করে রাষ্ট্রকে সংকটে ফেলা এবং সমগ্র জাতিকে উদ্বিগ্ন করা নিশ্চয়ই একটি অপরাধ। এই অপরাধ পুলিশ স্টেশনে নয় বরং আদালতেই নিষ্পত্তি হতে হবে।
গণমাধ্যমে প্রেরিতে বিবৃতিতে আ স ম আবদুর রব বলেন, অপহৃত কোনো ব্যক্তি প্রত্যাবর্তনের পর গুম হওয়া এবং গুমজনিত পরিস্থিতি সম্পর্কে আজ অবধি টু শব্দটি পর্যন্ত উচ্চারণ করছেন না। এর পেছনে কোন ভীতি বা ভয়ঙ্কর কোনো নির্মমতা লুকায়িত আছে কিনা তাও রাষ্ট্রের অনুসন্ধান করা উচিত। অজ্ঞাতবাস থেকে প্রত্যাবর্তনের পর আজ পর্যন্ত কোনো ব্যক্তি তার পূর্বের অবস্থায় ফেরত আসতে পারছেন না যা সমাজের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। তাদের রহস্যজনক এই নীরবতা রাষ্ট্রের জন্য নিশ্চয়ই মঙ্গলজনক নয়।
এসব স্পর্শকাতর ইস্যুকে কেন্দ্র করে কোনো অপশক্তি রাষ্ট্রকে বড় ধরনের ঝুঁকিতে ফেলে দিতে পারে। সুতরাং গুম এবং আত্মগোপনের রহস্য সরকারকেই উদঘাটন করতে হবে। গুম এবং আত্মগোপনের এই অপসংস্কৃতি থেকে অবশ্যই আমাদেরকে বেরিয়ে আসতে হবে।
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।