নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:০৩ পিএম, ২১ জুলাই, ২০২১
ঈদুল আজহার দিনটি বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তার গুলশানের বাসভবন ফিরোজাতেই কাটাচ্ছেন। বেগম জিয়ার ভাইসহ নিকটাত্মীয়রা তার সঙ্গে এদিন দেখা করতে ফিরোজায় আসবেন।
বিএনপির চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত সহকারী এ বি এম আবদুস সাত্তার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আজ ঈদুল আজহা উপলক্ষে বেগম খালেদা জিয়া একটি গরু ও একটি ছাগল কোরবানি দিয়েছেন। কোরবানির পশুর মাংসের কিছু অংশ তার বাসভবনের স্টাফরা খাবারের জন্য রাখবেন। অধিকাংশ রাজধানীর কয়েকটি এতিমখানা এবং আশপাশের গরিবদের মধ্যে বিলি করা হবে। এ ছাড়া গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দুটি গরু কোরবানি দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবছর ঈদের দিন দুপুরে নিকটাত্মীয়দের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ সারেন বেগম খালেদা জিয়া। এবারও তার ভাই শামীম ইসকান্দার, তার পরিবারের সদস্য ও তার আরেক ভাই প্রয়াত সাঈদ ইসকান্দারের স্ত্রী ও পরিবারের অন্যরা বেগম খালেদা জিয়ার কাছে আসবেন। তারা দুপুরে একসঙ্গে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেবেন।
আজ দলীয় কোনো নেতার খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করার কোনো কর্মসূচি নেই। তবে দলীয় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বা স্থায়ী কমিটির কোনো সদস্য দেখা করতে পারেন।
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি দলীয় নেতা-কর্মীসহ সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদ পালনের আহ্বান জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।