ইনসাইড পলিটিক্স

৮৩টি ভুয়া লীগের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:৫৯ পিএম, ০১ অগাস্ট, ২০২১


Thumbnail

আওয়ামী বা লীগ কিংবা বঙ্গবন্ধু পরিবারের কারো নাম ব্যবহার করে গজিয়ে উঠা ভুয়া সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এরকম ৮৩ টি সংগঠনের নাম পাওয়া গেছে। এ সংগঠনের নেতাদের এখন খোঁজা হচ্ছে, এদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্রে জানা গেছে যে, আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে একটি তালিকা দেয়া হয়েছে যে তালিকায় আওয়ামী লীগের বৈধ সংগঠনগুলোর নাম দেওয়া হয়েছে। সেই বৈধ সংগঠনের বাইরে যে সমস্ত সংগঠন আওয়ামী, লীগ বা বঙ্গবন্ধু পরিবারের নাম দেয়া হবে সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন হিসেবে স্বীকৃত সংগঠন হলো বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, আওয়ামী মহিলা লীগ, কৃষক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুব মহিলা লীগ, তাঁতী লীগ, আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, মৎস্যজীবী লীগ। এছাড়াও নীতিগতভাবে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে জাতীয় শ্রমিক লীগ, ছাত্রলীগ। মহিলা শ্রমিক লীগ ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ আওয়ামী লীগের নীতিগত অনুমোদন সংগঠন। এর বাইরে আওয়ামী লীগের সহযোগী কিংবা ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন নাই।

সাম্প্রতিক সময়ে যে ৮৩টি ভুঁইফোড় প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে তার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ ইলেকট্রিক লীগ, নাপিত লীগ, ফকির লীগ, জননেত্রী লীগ, প্রবীণ লীগ, জনসেবা লীগ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তরুণ জনতা লীগ, ডিজিটাল লীগ, নাগরিক লীগ, পর্যটন লীগ, তরিকত লীগ, আওয়ামী অভিভাবক লীগ, দর্জি লীগ, তরুণ লীগ, রিক্সা মালিক-শ্রমিক ঐক্য লীগ, যুব হকার্স লীগ, নৌকার মাঝি শ্রমিক লীগ, ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী লীগ, আওয়ামী ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী লীগ, ছিন্নমূল হকার্স লীগ, ছিন্নমূল মৎস্যজীবী লীগ, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী লীগ, তৃণমূল লীগ, স্বাধীনতা লীগ, হোটেল শ্রমিক লীগ, সেলুন মালিক লীগ, হকার্স লীগ, চালক লীগ, প্রচার ও প্রকাশনা লীগ, বঙ্গবন্ধু গণতান্ত্রিক লীগ, জননেত্রী শেখ হাসিনা কেন্দ্রীয় লীগ, আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ, আওয়ামী পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা লীগ, আওয়ামী পরিবহন শ্রমিক লীগ, আওয়ামী নৌকার মাঝি শ্রমিক লীগ, হারবাল লীগ, দেশীও চিকিৎসক লীগ, পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা লীগ, পরিবহন শ্রমিক লীগ, বঙ্গবন্ধু হোমিওপ্যাথি লীগ, আওয়ামী সজীব ওয়াজেদ জয় লীগ, অভিভাবক সচেতনতা লীগ, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ প্রমুখ। এই সংগঠনগুলোর সঙ্গে কারা জড়িত তাদেরকে খুঁজে বের করা হচ্ছে এবং এই সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যে কয়েকটি সংগঠনের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে বলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা নিশ্চিত করেছে।

সাম্প্রতিক সময়ে চাকরিজীবী লীগ নামে একটি সংগঠন গড়ে তুলেছিলেন সদ্য আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত এবং গ্রেপ্তার হেলেনা জাহাঙ্গীর। এটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তাকে আওয়ামী লীগের মহিলা উপ কমিটি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এরপর আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভুঁইফোড় অবৈধ এ সমস্ত লীগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেন। এই প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে এ ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সূত্রে জানা গেছে যে, তারা এখন এই সমস্ত ভুঁইফোড় সংগঠনগুলোর হোতাদেরকে খুঁজছে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাঁড়াশি অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে। বিভিন্ন সূত্র বলছে যে, এই সমস্ত সংগঠনগুলোর কাজ হলো বিভিন্ন মানুষকে এই সংগঠনের কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করে চাঁদা আদায়, বিভিন্ন দিবসে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে চাঁদাবাজি করা এবং দলের নাম ভাঙ্গিয়ে মন্ত্রী-এমপিদের কাছে গিয়ে তদবির বাণিজ্য করা। এছাড়াও এরা টেন্ডার বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্র বলছে যে, এদের মূল কাজ হলো লোকজনকে প্রতারণা করে চাঁদা আদায় করা এবং আওয়ামী লীগের সংগঠন হিসেবে পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তিকে ব্ল্যাকমেইলিং করা। আর এই সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার প্রেক্ষিতে এখন এই সংগঠনগুলোর হোতারা অনেকেই নিজেদেরকে গুটিয়ে নিয়েছে। কদিন আগেও বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের চারপাশে এই সমস্ত ভুঁইফোড় সংগঠনের পোস্টার-ব্যানার দেখা গেলেও এখন সেগুলো অনেকগুলি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

এমপি-মন্ত্রী পরিবারের সদস্যরা নির্বাচন করতে পারবেন না: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশ: ০৫:২৪ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কোন এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য বা স্বজনদের কেউ প্রার্থী হতে পারবেন বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সন্মেলনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক করতে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী–সংসদ সদস্যদের সন্তান, পরিবারের সদস্য ও নিকটাত্মীয়দের ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যারা এ নির্দেশ অমান্য করে উপজেলা নির্বাচন করবেন, তাদের বিরুদ্ধে দল বহিষ্কারাদেশসহ কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জানা যায়, শুধু সন্তান, পরিবার বা নিকটাত্মীয় ছাড়াও মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের প্রকাশ্যে বা গোপনে উপজেলা নির্বাচনে কোনোভাবে সম্পৃক্ত না হওয়ার বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কারণ, স্থানীয় পর্যায়ে নিজের প্রভাব বাড়ানোর জন্য মন্ত্রী–সংসদ সদস্যরা আত্মীয়–পরিজন ছাড়াও ‘মাই ম্যান’ তৈরি করার লক্ষ্যে পছন্দের প্রার্থী নিয়ে মাঠে নামছেন। এতে দলের তৃণমূলের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে বলে দলের নীতিনির্ধারকেরা মনে করছেন। এ ছাড়া স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশকেও ব্যবহারের চেষ্টা করছেন মন্ত্রী-সংসদ সদস্যরা। এ জন্যই কড়া অবস্থান।

প্রথম ধাপে আগামী ৮ মে দেশের ১৫২টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমার শেষ সময় ১৫ এপ্রিল, বাছাই ১৭ এপ্রিল, প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ২৩ এপ্রিল।

আর দ্বিতীয় ধাপে ১৬১টি উপজেলায় আগামী ২১ মে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। তফসিল অনুযায়ী, এ ধাপে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ২১ এপ্রিল, বাছাই ২৩ এপ্রিল, প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল এবং প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। এই নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান, সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট হবে।

নির্বাচন কমিশন জানায়, দেশের ৪৮১টি উপজেলায় চার ধাপের নির্বাচন শুরু হবে ৮ মে, শেষ হবে জুনের প্রথম পক্ষে। ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দুই ধাপের তফসিলও ঘোষণা করা হয়েছে।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপিতে প্রকাশ্য বিদ্রোহ

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা না করা নিয়ে প্রকাশ্য বিদ্রোহ দেখা দিচ্ছে বিএনপিতে। বিএনপির একাধিক শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, দল সামলাতে তারা হিমশিম খাচ্ছে। উপজেলা নির্বাচনে এখন পর্যন্ত যে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে তাতে শুধুমাত্র প্রথম পর্যায়ের জন্য মনোনয়ন পত্র দাখিল সমাপ্ত হয়েছে। 

প্রথম পর্যায়ে যে মনোনয়নপত্র দাখিল করা হয়েছে সেখানে এখন পর্যন্ত বিএনপির ৯৭ জন নেতা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বলে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া গেছে। বিএনপির এই নেতারা এখন কিছুতেই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারে রাজি নন। বরং তারা বলছেন যে, নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর এ ধরনের সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী এবং অমর্যাদাকর।

বিএনপির যারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাদের বক্তব্য হচ্ছে যে, তারা দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন না। উপজেলা নির্বাচন দলগতভাবে হচ্ছে না। আর একারণেই উপজেলা নির্বাচনে যদি তারা অংশগ্রহণ করে সেজন্য দল তাদেরকে বাধা দিতে পারে না। বিএনপির যারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তাদের বক্তব্য হল সুস্পষ্ট। তারা বলছেন যে, যদি দলীয় প্রতীকে নির্বাচন নির্বাচন হতো এবং দলের জন্য মনোনয়নের ব্যবস্থা করা হত তাহলে এই নির্বাচনে বিএনপির নেতাদেরকে নির্দেশনা দেওয়ার একটা বিষয় ছিল। কিন্তু যেহেতু তারা স্বউদ্যোগে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন সেজন্য এই নির্বাচনের ব্যাপারে কেন্দ্রের কোন নির্দেশনা থাকা উচিত নয় বা কেন্দ্রীয় নির্দেশনা দিতে পারেন না। 

প্রথম ধাপে ৮ মে অনুষ্ঠিত হবে ১৫২টি উপজেলার নির্বাচন। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিভক্ত অবস্থায় রয়েছে। প্রায় প্রতিটি উপজেলায় আওয়ামী লীগের তিন থেকে চারজন প্রার্থী রয়েছেন বলে জানা গেছে। আর এরকম পরিস্থিতিতে বিএনপির যারা নির্বাচনে ইচ্ছুক তারা মনে করছেন যে, এটি তাদের জন্য একটি সুবর্ণ সুযোগ। বিভক্ত আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে একক বিএনপি প্রার্থী উপজেলাগুলোতে আওয়ামী লীগের জন্য একটি বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে এবং এটি সংগঠনের জন্য লাভ হবে বলে অনেকে মনে করছেন। 

উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন এরকম অন্তত দু জনের সঙ্গে আলাপ করে দেখা গেছে। তারা বলছেন যে, বিএনপি কোনো রকম বিচার বিবেচনা ছাড়া এবং বাস্তবতাকে উপলব্ধি না করেই নির্বাচনের ব্যাপারে একতরফা এবং অবাস্তব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। যার সাথে বাস্তবতার কোন মিল নেই৷ এমনিতেই বিএনপির সংগঠনের অবস্থা নাজুক। নেতাকর্মীদের মধ্যে অনেকে জেলে, অনেকে পলাতক। এরকম অবস্থায় স্থানীয় পর্যায়ে নির্বাচন সংগঠন শক্তিশালী করার একটি বড় ধরনের উপায় বলে অনেকেই মনে করছেন। আর এ কারণেই তারা কেন্দ্রীয় নির্দেশ অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণের ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন এবং এ নিয়ে তারা কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলছেন।

বিএনপির অনেক নেতা স্বীকার করেছেন যে, উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে দল চাঙা হত এবং সাংগঠনিক কার্যক্রম বাড়ানো যেত। আর এ কারণেই তারাও উপজেলা নির্বাচনে যারা অংশগ্রহণ করছে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা না গ্রহণ করার পক্ষে। তবে বিএনপির বিভিন্ন মাঠ পর্যায়ের নেতা যারা আগ্রহী আছেন তারা বলেছেন যে, বিএনপি যদি তাদেরকে হবিষ্কারও করে তাহলেও তাদের কিছু যায় আসে না। তারপরও তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে রাজি।

বিএনপি   বিদ্রোহ   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

এক যুগেও নেই ইলিয়াস আলীর সন্ধান, ফেরার প্রত্যাশায় বিএনপি

প্রকাশ: ০৯:৩৩ এএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকার বনানীর বাসায় ফেরার পথে গাড়িচালক আনসার আলীসহ ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল নিখোঁজ হন বিএনপির তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি এম ইলিয়াস আলী। এক যুগ পার হলেও ইলিয়াস আলী জীবিত না মৃত সে খবর কেউ দিতে পারেনি দীর্ঘ এই সময়ে।

তবে সিলেটের বিএনপি নেতারা মনে করেন, ইলিয়াস সরকারের হেফাজতে অক্ষতই আছেন। তাকে ফিরে পেতে কেবল সরকারের সদিচ্ছার প্রয়োজন। নিখোঁজের ১২ বছর পূর্তিতে তাকে ফিরে পেতে গতকাল নানা কর্মসূচি পালন করেছে সিলেট বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন। ইলিয়াস আলী ‘নিখোঁজ’র পর সিলেটে গঠন করা হয় ‘ইলিয়াস মুক্তি সংগ্রাম পরিষদ’। এ বছর ‘ইলিয়াস মুক্তি সংগ্রাম পরিষদ’র কোনো কর্মসূচি না থাকলেও সমাবেশ, স্মারকলিপি প্রদান এবং দোয়া ও মিলাদ মাহফিল করেছে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন। এক যুগেও ইলিয়াসের সন্ধান না মিললেও হাল ছাড়েননি বিএনপি নেতারা।

তাদের ধারণা, ইলিয়াস আলী এখনো জীবিত আছেন। ইলিয়াসের অবস্থান সম্পর্কে সরকার জ্ঞাত আছে। কিন্তু সরকারের সদিচ্ছার অভাবে ইলিয়াস আলীর সন্ধান মিলছে না। ইলিয়াস আলী নিখোঁজের এক যুগপূর্তির দিন গতকাল জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে সিলেট বিএনপি। এ ছাড়া বাদ আসর জেলা বিএনপির উদ্যোগে হজরত শাহজালাল (রহ.) দরগাহ মসজিদে ইলিয়াস আলীর সন্ধান কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া ইলিয়াসকে ফিরে পেতে বাদ জোহর একই মসজিদে দোয়া ও মিলাদের আয়োজন করে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল। স্মারকলিপি প্রদানের আগে গতকাল দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করে বিএনপি।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, দীর্ঘ ১২ বছর ধরে ইলিয়াস আলী ফেরার অপেক্ষায় আছেন সিলেটবাসী। ইলিয়াসের জনপ্রিয়তায় আতঙ্কিত হয়ে সরকার তাকে গুম করেছে।

ইলিয়াস নিখোঁজ প্রসঙ্গে জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আশিক উদ্দিন বলেন, ইলিয়াস আলীর সন্ধান পেতে তার সহধর্মিণী হাই কোর্টে রিট করেছিলেন। কিন্তু সরকারের অদৃশ্য হস্তক্ষেপে এক যুগেও সেই রিটের শুনানি হয়নি। এতে প্রমাণিত হয় ইলিয়াস নিখোঁজের পেছনে সরকার জড়িত।


ইলিয়াস আলী   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

খন্দকার মোশাররফকে দেখতে বাসায় গেলেন ফখরুল

প্রকাশ: ০৯:৩৫ পিএম, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপি সিনিয়র স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিতে তার বাসায় যান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের গুলশানের বাসায় যান বিএনপি মহাসচিব। এরপর প্রায় এক ঘণ্টা তারা একান্ত আলাপ করেন।

বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, এই দুই নেতা একান্তে প্রায় এক ঘণ্টা সময় কাটান। এ সময় দুজন পরস্পরের খোঁজ নিয়েছেন।

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ খন্দকার মোশাররফ হোসেন। এরপর দুই দফায় সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফেরেন তিনি।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন   মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

নির্বাচন বর্জন: লাভের চেয়ে ক্ষতি হচ্ছে বেশি বিএনপির

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা নির্বাচনে নাটকীয়ভাবে বর্জনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে দীর্ঘ ১৭ বছরের বেশি ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। বিএনপির এ সিদ্ধান্তে হতবাক স্থানীয় পর্যায়ের নেতারা। 

বিএনপির স্থানীয় পর্যায়ের একাধিক নেতার সঙ্গে আলাপ করে দেখা গেছে যে, শেষ পর্যন্ত তাদের ধারণা ছিল উপজেলা নির্বাচনের বিষয়টি তারা উপেক্ষা করবে। এমনকি দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সিনিয়র নেতারা অনেক প্রার্থীকে সবুজ সংকেত দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে গতকাল বিএনপি উজজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। 

উপজেলা নির্বাচন এবার দলীয় প্রতীকে হচ্ছে না। উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীক ব্যবহার করছে না। এরকম একটি নির্বাচন বিএনপি কেন বর্জন করলো এবং এ বর্জনের ফলে কি লাভ হবে তা নিয়ে বিএনপির মধ্যেই আলোচনা হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই প্রথম দফা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির দলীয় পদ পদবী রয়েছে এমন ৪৭ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। দলীয় পদ পদবী নেই কিন্তু বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এরকম আরও ৭৬ জন উপজেলা নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছিলেন। এখন তারা কি করবেন এ নিয়ে তারা নিজেরাই একটি বিব্রতকর অবস্থায় রয়েছেন। 

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে যে, যারা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন তারা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলেই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। এবং তাদের আশ্বস্ত করা হয়েছিল যে, নির্বাচনের ব্যাপারে বিএনপি নমনীয় থাকবে। কিন্তু গতকাল বিএনপির এ সিদ্ধান্ত তাদেরকে হতাশ করেছে। এর ফলে বিএনপির মধ্যে দু’ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছে। 

অনেকেই যারা স্থানীয় পর্যায়ে পদ পদবী গ্রহণ করে আছেন তারা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে পারেন। কারণ যদি নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করেন, তাহলে তাদেরকে বহিষ্কার করা হবে। এর আগে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে সিটি কর্পোরেশনসহ স্থানীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় ২ শতাধিক বিএনপির নেতাকে বহিষ্কার করা হয়। এখন আবার নতুন করে বিএনপি যদি তাদেরকে বহিষ্কার শুরু করে তাহলে তাদের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ক্ষতিগ্রস্থ হবে। একারণে অনেকে প্রত্যাহার করতে পারেন। কমিটিতে যাদের পদ পদবী নেই তাদেরকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে রাখা কঠিন হবে বলে অনেকে মনে করছেন।  

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিএনপি সভাপতি নরেন্দ্র চন্দ্র সরকার প্রার্থী হয়েছেন। তিনি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে কথা বলেই প্রার্থী হয়েছেন। এখন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার ফোন ধরছেন না বলে তিনি জানিয়েছেন। 

বিএনপির একাধিক সূত্র বলছে, মূলত দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শেষ মুহূর্তে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এবং এ সরে যাওয়ার সিদ্ধান্তটি দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকেও আলোচিত হয়নি বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, উপজেলা নির্বাচন করা নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই আলোচনাটি শেষ পর্যন্ত হয়নি। এবং এ আলোচনা না হওয়ার কারণে এখন দলটি নতুন করে সংকটের মধ্যে পড়তে যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।

নির্বাচন বর্জন   বিএনপি   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন