নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৫৯ পিএম, ০৩ অগাস্ট, ২০২১
কোনদিন আওয়ামী লীগ করেননি। হঠাৎ করেই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। করতেন ব্যবসা। মনোনয়ন পেয়ে তিনি চিন্তা করলেন যে কিভাবে তার পরিচিতি বাড়ানো যায়। আর এই জন্যই তিনি তার তল্পিবাহক কিছু ব্যক্তিদের নিয়ে গঠন করলেন একটি ভুঁইফোড় সংগঠন। সেই ভুঁইফোড় সংগঠনের ব্যানারে নিয়মিত বিভিন্ন রকম অনুষ্ঠান হতে লাগল। সেই সমস্ত অনুষ্ঠানে তিনি অংশগ্রহণ করা শুরু করলেন প্রধান অতিথি হিসেবে। গণমাধ্যমে তার বক্তব্য এবং ছবি প্রকাশিত হতে থাকলো। পরেরবার আবার তিনি নির্বাচিত হলেন, নির্বাচিত হয়েই তিনি সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হলেন। এটি একটি ভুয়া লীগ সংগঠনের ইতিবৃত্ত। অনুসন্ধান করে দেখা গেছে যে, লীগ বা বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের নাম ব্যবহার করে যেতে ৮৩টি সংগঠন তৈরি হয়েছে তার প্রায় সবগুলি এরকম হাইব্রিড এবং উদ্বাস্তু নেতাদের দ্বারা তৈরি। আবার এই সমস্ত সংগঠনগুলোকে জায়েজ করার জন্য এবং এই সংগঠনগুলোকে ক্ষমতাবান দেখানোর জন্য হাইব্রিড নেতারা অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের শরণাপন্ন হয়েছেন এবং সেই সমস্ত নেতৃবৃন্দকে তারা তাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। সাম্প্রতিক সময়ে ভুয়া লীগের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে এবং এই অভিযানে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে।
বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে যে, হাইব্রিডদের প্রতারণার ৫টি কৌশল রয়েছে। প্রথম কৌশল হলো যে, তারা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন হাইব্রিড এবং রাজনৈতিক পরিচয়হীন মন্ত্রী-এমপিদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং তাদেরকে লাইমলাইটে নিয়ে আসার জন্য প্রস্তাব দেয়। দ্বিতীয়ত, তারা বিভিন্ন অনুষ্ঠানের ছবি সংগ্রহ করে এবং কম্পিউটারে কারসাজির মাধ্যমে এই সমস্ত ছবিগুলোতে নিজেদের ছবি প্রতিস্থাপন করে সেটি তাদের অফিসে বা বিভিন্ন জায়গায় প্রদর্শন করার ব্যবস্থা করেন। কাজেই, মানুষ তাকে ক্ষমতাবান হিসেবে মনে করেন। তৃতীয়ত, তারা বিভিন্ন রকমের বিষয় নিয়ে প্রেসক্লাবে বা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এবং এই অনুষ্ঠানগুলোতে তারা দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে আমন্ত্রণ জানান এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তারা সফল হন। চতুর্থত, তারা বিভিন্ন দিবসকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের কাছে ধর্না দেন এবং তাদের কাছে চাঁদা আদায় করেন। পঞ্চমত, তারা মন্ত্রী-এমপিদের নিয়ে বিভিন্ন রকম বই-পুস্তিকা প্রকাশ করে তাদের সাথে ঘনিষ্ঠ হচ্ছেন চেষ্টা করেন। পরে তারা এটিকে ব্যবহার করেন।
এই সমস্ত মাধ্যমে ভুয়া লীগের নেতারা যে কাজগুলো করেন তার মধ্যে রয়েছে, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, বদলি বাণিজ্য, নিয়োগ বাণিজ্য, মানুষের সঙ্গে প্রতারণা এবং বিভিন্ন রকম তদবির। এগুলো করে তারা বিপুল বিত্তের মালিক হন। এই সমস্ত কাজের জন্যই তারা সংগঠনটিকে ব্যবহার করেন। আর এই সংগঠনগুলোর কাজ একটাই, সেটি হলো লোকজনকে ঠকানো, তাদের সাথে প্রতারণা করা এবং তাদেরকে একটি আবহ দেওয়া যে তারা আওয়ামী লীগের বড় নীতিনির্ধারক। ইতিমধ্যে ভুয়া লীগের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হওয়ার পরপরই এই সমস্ত ভুয়া লীগের হর্তাকর্তারা পালিয়েছেন, অনেকে তাদের সাইনবোর্ড, ব্যানার ইত্যাদি নামে ফেলেছেন। আর পাশাপাশি তাদেরকে যারা পৃষ্ঠপোষকতা দিতেন, সেই হাইব্রিড নেতারাও এখন চুপটি মেরে গেছেন।
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বিএনপি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশবিরোধী একটি অপশক্তি নানা ভাবে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তারা নির্বাচন, শান্তি ও উন্নয়নের বিরোধীতায় লিপ্ত। সারাদেশে তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি আয়োজিত প্রচারপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্র, শান্তি, উন্নয়ন নির্বাচনবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বান মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের ও প্রগতিশীল শক্তির কাছে, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব বিরোধী অপশক্তি আমাদের ভিত্তিমূলে আঘাত করতে যাচ্ছে। তাদের আমাদের প্রতিহত করতে হবে, সেজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটের মাধ্যমে সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগের জন্য জনগণকে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আহ্বান জানিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ভোট দিয়ে আপনার নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করুন। আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে জনগণ সব শক্তির উৎস।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশবিরোধী অপশক্তি জাতির পিতার পরিবারকে হত্যা করে জনগণকে সামরিক স্বৈরশাসনের জাঁতাকলে দীর্ঘকাল পিষ্ঠ করেছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে হত্যার রাজনীতি বন্ধ করেছেন।
আওয়ামী লীগ ওবায়দুল কাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটে আগামী ৮ মে। গতকাল সোমবার (২২ এপ্রিল) ছিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। এদিন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা সরে দাঁড়ানোয় তিন উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ কয়েকজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
জানা গেছে, নোয়াখালীর হাতিয়া ও ফেনীর পরশুরাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। এ ছাড়া বান্দরবানে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে রোয়াংছড়ি উপজেলায় আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী চহ্লামং মারমা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হচ্ছেন। সোমবার ( ২২ এপ্রিল ) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা সরে দাঁড়ানোয় তিন উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ বেশ কয়েকজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
হাতিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। তাঁরা হলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর ছেলে আশিক আলী, স্ত্রী আয়েশা ফেরদাউস ও জাতীয় পার্টির নেতা মুশফিকুর রহমান। গতকাল আশিক আলী ছাড়া বাকি দুজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। হাতিয়া উপজেলা পরিষদের বাকি দুটি পদে একজন করে প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন।
জানতে চাইলে মুশফিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর রাজনীতির হাতেখড়ি সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর হাতে। তিনি ওই পরিবারের একজন সদস্যের মতো। মাঝখানে কিছু ভুল–বোঝাবুঝির কারণে দূরত্ব থাকলেও তা ঘুচে গেছে। আশিক আলীর সমর্থনে তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।
স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী বলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জোড় করাতে তাঁর ছেলে প্রার্থী হয়েছেন। দলের অন্য কেউ আগ্রহ দেখাননি। ছেলের প্রতিদ্বন্দ্বীরা নিজ থেকেই প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন।
ফেনীর পরশুরাম উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থীর মধ্যে দুজন গতকাল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। এতে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন কেবল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ফিরোজ আহমেদ মজুমদার। প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন উপজেলা পরিষদের তিনবারের চেয়ারম্যান ও পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন মজুমদার ও উপজেলার বক্সমাহমুদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হাসেম চৌধুরী।
ভাইস চেয়ারম্যান পদের চারজনের মধ্যে তিনজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। বর্তমানে একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক নুর মোহাম্মদ শফিকুল হোসেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন ইকরামুল করিম মজুমদার, নজরুল ইসলাম ও আবদুল রসুল মজুমদার।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেত্রী শামসুন নাহার পাপিয়া। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন নিলুফা ইয়াসমিন।
এদিকে বান্দরবানে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে রোয়াংছড়ি উপজেলায় আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী চহ্লামং মারমা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। গতকাল চারজন প্রার্থীর মধ্যে তিনজন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করায় চহ্লামং মারমা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন বলে রিটার্নিং এস এম কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন জানিয়েছেন।
তবে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বলেছেন, আওয়ামী লীগ নেতাদের অনুরোধ ও প্রচ্ছন্ন চাপে তাঁরা প্রার্থিতা প্রত্যাহারে সম্মত হয়েছেন। রোয়াংছড়ি উপজেলা থেকে আওয়ামী লীগের তিনজন ও জনসংহতি সমিতির সাবেক এক নেতা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। চারজনের মনোনয়নই রিটার্নিং কর্মকর্তা বৈধ ঘোষণা করেছিলেন। প্রার্থীরা নিজেদের মতো করে প্রস্তুতিও নিয়েছেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর প্রার্থীরা জানিয়েছেন, গতকাল প্রত্যাহারের শেষ দিনে হঠাৎ করে আওয়ামী লীগের নেতারা তৎপর হয়ে ওঠেন। প্রার্থিতা তুলে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করে এবং প্রচ্ছন্নভাবে চাপ দিতে থাকেন।
মন্তব্য করুন
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র সহসভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তবে ব্যক্তিগত বিরোধ ও তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে মত বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের অনেকের। সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গনে তুমুল জনপ্রিয় এই নেতাকে বাদ দেওয়ায় ফোরামের নেতাদের ওপর ক্ষুব্ধ বিএনপির সিনিয়র নেতারাও। এ নিয়ে বিএনপিতে এখন বিভক্ত স্পষ্ট।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশবিরোধী একটি অপশক্তি নানা ভাবে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তারা নির্বাচন, শান্তি ও উন্নয়নের বিরোধীতায় লিপ্ত। সারাদেশে তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি আয়োজিত প্রচারপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।