নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৪৪ পিএম, ০৪ অগাস্ট, ২০২১
সারাদেশের প্রতিটি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ে আগামী ৭ আগস্ট থেকে গণটিকা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা টিকাগ্রহণ করবে। পাশাপাশি সবাইকে টিকাগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে ক্যাম্পেইন চালাবে দলের নেতাকর্মীরা।
বুধবার (৪ আগস্ট) আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গসংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের যৌথসভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সভায় অনুষ্ঠিত হয়। টিকাগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে ক্যাম্পেইন সফল ও শোকাবহ আগস্টে দলীয় কর্মসূচি সমন্বয় করতে এ সভার আয়োজন করা হয়।
সভা শেষে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এসব তথ্য জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনা মহামারির এই সময়ে সরকার একনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। সবার জন্য টিকা নিশ্চিত করা হচ্ছে। ৭ থেকে ১৪ আগস্ট সারাদেশে গণটিকা দেয়া হবে। কার্যক্রম সচল রাখতে টিকা গ্রহণের বিকল্প নেই। এজন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক টিকা সংগ্রহ করছে সরকার।
তিনি বলেন, গণটিকা কার্যক্রম সফল করতে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের কাজ করতে হবে। সবাই নিজেরা টিকা নেবেন, টিকা নিতে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। এজন্য একটা ক্যাম্পেইন চালাতে হবে।
এসময় বিএনপির সমালোচনা করে কাদের বলেন, সরকারের এত কর্মসূচি থাকা সত্ত্বেও বিএনপি নির্জলা মিথ্যাচার করছে। তারা সরকারের কার্যক্রম দেখে না। মানুষের পাশে থাকে না। মিথ্যা কথার বাক্স নিয়ে বসেছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আগস্ট মাস এলেই বিএনপি নেতাদের গাত্রদাহ আরও বাড়ে। তারা ইতিহাস অস্বীকার করতে চায়। শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে চায়।’
সভায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, আবদুর রাজ্জাক, আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, সাংস্কৃতিকবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, শ্রম সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুস সবুর, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, শিক্ষা সম্পাদক সামছুন্নাহার চাঁপা, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া ও মহানগর আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।