নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ০৪ অগাস্ট, ২০২১
বেশ কিছুদিন ধরেই আওয়ামীপন্থী চিকিৎসকরা দ্বিধা বিভক্ত। কয়েকটি দল এবং উপদলে বিভক্ত। আওয়ামীপন্থী চিকিৎসকদের মূল সংগঠন ‘স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ’। এখন চিকিৎসকদের সংগঠন ‘মেডিকেল এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’ স্বাচিপ নিয়ন্ত্রিত। কিন্তু বিএমএ এবং স্বাচিপ নিয়ে এখন আওয়ামীপন্থী চিকিৎসকরা কোন্দলে জড়িয়ে পরেছেন। সম্প্রতি এই কোন্দল প্রকাশ্য হয়েছে। আজ দেশের কয়েকটি সংবাদপত্রে এই কোন্দলের প্রকাশ্য এবং কুৎসিত রূপ দেখা গেল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক চিকিৎসক কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দের পক্ষ থেকে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, মিথ্যা ও বানোয়াট রিপোর্টের জোরালো প্রতিবাদ’ শিরোনামে ঐ বিজ্ঞাপনে সরাসরি আক্রমণ করা হয়েছে স্বাচিপ সভাপতি অধ্যাপক ডা: ইকবাল আর্সলানকে। ঐ বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে... “ প্রোভিসি প্রশাসন পদের জন্য বিএসএমএমইউ অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভী একজন প্রার্থী ছিলেন। তিনি অধ্যাপক ডা. মো: ইকবাল আর্সলান সাহেবের মাধ্যমে বিভিন্ন মহলে চেষ্টা তদবির চালান বলে জানা যায়। এই অধ্যাপক ডা. মো: ইকবাল আর্সলানের পিতা বিগত ১৯৯৩ সালে জামায়াত-বিএনপি সরকারের একজন এমপি ছিলেন। অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান নিজেও বিভিন্ন সময়ে জামায়াত-বিএনপি ও ছাত্র শিবিরের মতো দেশ ও স্বাধীনতা বিরোধী লোকজনের পৃষ্ঠপোষকতা করেছিলেন ও করে চলেছেন। তার অনুসারী লোকদের হাত ধরেই বিগত প্রশাসন কুখ্যাত মোনায়েম খানের লোকজনকে (ডা. রবার্ট) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকুরী দিয়েছে। সম্প্রতি সচিব ও পুলিশদের বিরুদ্ধেও বিভিন্ন উস্কানিমূলক কথাবার্তা অনলাইনে ও প্রিন্ট মিডিয়াতে প্রচার করেছেন।’
প্রশ্ন হলো, স্বাচিপ আওয়ামী লীগের স্বীকৃত সংগঠন। এই সংগঠনের প্রধান নেতা (সভাপতি) ডা: ইকবাল আর্সলান। আওয়ামী লীগের একজন নেতার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ গুরুতর। এই অভিযোগ কি দলীয় ফোরামে করা হয়েছে? এই অভিযোগ যদি সত্য হয় তাহলে প্রশ্ন উঠতেই পারে, এরকম একজন ব্যক্তি কিভাবে দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের নেতা থাকেন? আর এই অভিযোগ যদি মিথ্যা হয়, তাহলে এধরনের অভিযোগ করার উদ্দেশ্য কি? এই প্রকাশ্য কোন্দল আওয়ামী লীগেরই ক্ষতি করছে।
মন্তব্য করুন
বিএনপি ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (২৯ মার্চ) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে ইফতার ও ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ইফতার পার্টি না করে, সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করতে। আর বিএনপি বড় বড় হোটেলে ইফতার পার্টির আয়োজন করে। আর সেই ইফতার পার্টিতে তারা আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বলে দিল্লির শাসন মেনে নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ পাকিস্তানে সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। আসলে বিএনপির হৃদয়ে এবং চেতনায় পাকিস্তান। আওয়ামী লীগের চেতনা এবং হৃদয়ে বাংলাদেশ, কোনো বিদেশিদের দাসত্ব নয়।
তিনি বলেন, বিএনপির চারদিকে অন্ধকার, শেখ হাসিনার জনকল্যাণমুখী বিচক্ষণ রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিএনপি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিল। ব্যর্থ হয়ে এখনো অসংলগ্ন কথা বলছে। আশি ভাগ বিএনপি নেতাকর্মীকে দমন-পীড়ন করা হচ্ছে বলে তারা মিথ্যাচার করছে।
এসময় মির্জা ফখরুলকে মিথ্যাচার করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাদের মিথ্যাচারের রাজনীতি কেউ গ্রহণ করছে না বলেই তারা সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব সংকটের প্রভাবের পরও শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ এখনো ভালো আছে।
ওবায়দুল কাদের রাজনীতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য নতুন করে তৎপরতা শুরু করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। বিশেষ করে বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ইতোমধ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছেন। বেগম জিয়া আর ভবিষ্যতে রাজনীতি করবেন না, রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন এ রকম একটি বক্তব্য সামনে নিয়ে আসছেন শামীম ইস্কান্দার।