নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১
১লা অক্টোবর থেকে সারাদেশে আওয়ামী লীগের মাঠ পর্যায়ের জরিপ শুরু হচ্ছে। জাতীয় সংসদের সদস্যদের প্রকৃত অবস্থা মূল্যায়নের জন্য এবং তাদের জনপ্রিয়তা যাচাই করার জন্য এই জরিপ করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের একজন সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেছেন যে, নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ এভাবে প্রতি ছয় মাস পরপর এরকম ১টি করে জরিপ করতে পারবে। গত নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ ১২টি জরিপ করেছিল। এবারও এরকমভাবে অনেকগুলো জরিপ হবে বলে জানা গেছে এবং একটি নিরপেক্ষ জরিপ সংস্থা এই মাঠ পর্যায়ের জরিপ করবে বলে জানা গেছে। মূলত পাঁচটি প্রশ্ন নিয়ে আওয়ামী লীগের মাঠ পর্যায়ের জরিপ শুরু হচ্ছে।
প্রথমত, আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি যিনি তার কাজে এলাকাবাসী সন্তুষ্ট কিনা এবং তার কাজে এলাকাবাসী কতটুকু সন্তুষ্ট।
দ্বিতীয়ত, বর্তমান সংসদ সদস্য নির্বাচনের সময় যে অঙ্গীকার করেছিলেন তা কতটুকু প্রতিপালিত হয়েছে এবং সেই বিষয়ে জনগণ কি মনে করেন।
তৃতীয়ত, এলাকায় আওয়ামী লীগের অন্য কোন নেতা আছেন কিনা যিনি সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে অনেক ভালো কাজ করেছেন এবং এলাকার মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়ছেন।
চতুর্থত, অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর কর্ম তৎপরতা কেমন, তারা কীভাবে কাজ করছেন এবং তাদের জনপ্রিয়তা কেমন।
পঞ্চমত, এলাকার সমস্যাগুলো কি কি এবং সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্যরা কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।
এছাড়া ওই এলাকায় আওয়ামী লীগের গ্রুপিং, আওয়ামী লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ কোন ধরণের কোন্দল করছে কিনা বা অন্য কোন অপতৎপরতা আছে কিনা এসব বিষয়ে জরিপ করা হবে। ধারণা করা হচ্ছে যে, ডিসেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে জরিপ পরিচালিত হবে এবং আগামী মার্চের মধ্যে আওয়ামী লীগ তার প্রথম জরিপের ফলাফল হাতে পাবে যেখানে আওয়ামী লীগের যে এমপিরা যেখানে আছেন সেই এমপিদের জনপ্রিয়তা এবং প্রকৃত অবস্থা জানা যাবে। এসমস্ত জরিপগুলো আওয়ামী লীগের মনোনয়নের ক্ষেত্রে একটি বড় ভূমিকা পালন করে। গতবারও এই জরিপের কারণে একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, জাহাঙ্গীর কবির নানক, রেজাউল করিম হীরা সহ এরকম অনেকেই মনোনয়ন পাননি। জরিপে যদি আওয়ামী লীগের কোন এমপি জনপ্রিয় না হন তাহলে আগামী নির্বাচনে তার মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করছেন যে, আগামী নির্বাচন হবে সবথেকে কঠিন এবং চ্যালেঞ্জিং নির্বাচন। সেজন্য এখন থেকে জরিপগুলোর মাধ্যমে একদিকে যেমন প্রার্থীর জনপ্রিয়তা যাচাই করা হচ্ছে অন্যদিকে আওয়ামী লীগ তার নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। যে সমস্ত এমপিরা এলাকায় দুর্বল তারা একটি সুযোগ পাচ্ছেন এলাকায় নিজেদের অবস্থান সংহত করার জন্য। কারণ, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কঠিন লড়াইয়ের মুখোমুখি হতে পারে বলেই মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারা।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের অন্যতম সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ কৃষক
লীগের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আগামীকাল আজ শুক্রবার।
১৯৭২ সালের ১৯ এপ্রিল আজকের এদিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর
রহমান স্বাধীন বাংলাদেশে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। কৃষক লীগের ৫২ বছর পূর্তি
উপলক্ষে সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠার পর বঙ্গবন্ধু কৃষক নেতা শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাতকে
কৃষক লীগের কমিটি গঠনের দায়িত্ব দেন। বঙ্গবন্ধুর দিকনির্দেশনায় ব্যারিস্টার বাদল রশিদকে
সভাপতি ও আব্দুর রউফকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি গঠিত হয়।
সর্বশেষ ২০১৯ সালের ৬ নভেম্বর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কৃষক
লীগের ত্রিবার্ষিক কাউন্সিলে কৃষিবিদ সমীর চন্দকে সভাপতি ও অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম
স্মৃতিকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
কৃষক লীগের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের সভাপতি কৃষিবিদ
সমীর চন্দ দলের নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা জানান।
এসময় তিনি বলেছেন, দেশের কৃষির উন্নয়ন এবং কৃষকের স্বার্থ রক্ষার
জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ কৃষক
লীগ প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে কৃষক লীগ কৃষকদের সংগঠিত করা, তাদের দাবি আদায়
এবং দেশের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করে আসছে।
আজ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৬টায় সংগঠনটির ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
উপলক্ষে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউস্থ সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা এবং দলীয়
পতাকা উত্তোলন। এছাড়াও সকাল ৭টায় মানিক মিয়া এভিনিউ থেকে ধানমন্ডির ৩২ পর্যন্ত শোভাযাত্রা।
সকাল সাড়ে ৭টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন। এছাড়াও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ
হাসিনাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর কর্মসূচি রয়েছে।
এদিন বিকাল ৩টায় কৃষি ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়ামে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী
লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ্রের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী। আলোচনা সভাটি সঞ্চালনা করবেন কৃষক লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ সরকার বিটু।
কৃষক লীগ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ব্রিটিশ হাইকমিশনার বিএনপি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী শামা ওবায়েদ সারাহ কুক
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন মন্ত্রী-এমপি আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে একটি কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন। আজ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনাটি জারি করেছেন। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপি পরিবারের সদস্য স্বজনরা প্রার্থী হতে পারবেন না। এটি আওয়ামী লীগ সভাপতির একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। তৃণমূল পর্যন্ত যে পরিবারতন্ত্র ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল এবং বিভিন্ন জায়গায় যে জমিদারি প্রথা তৈরির শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল সেটা প্রতিরোধের জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতির এই উদ্যোগ তৃণমূলের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।