নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১
সংগঠন গোছানোর কাজ শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। সারাদেশের মেয়াদোত্তীর্ণ জেলার সম্মেলনগুলোর আয়োজন শুরু হয়েছে। আর এই আয়োজনের মধ্য দিয়েই নতুন কাউন্সিলের কথাও আলোচনা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের কাউন্সিল মানেই সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে নানারকম জল্পনা-কল্পনা। কারণ আওয়ামী লীগের সভাপতি সর্বজন গ্রহণযোগ্য নেতা। তার কোনো বিকল্প নেই। আওয়ামী লীগ নেতারাই মনে করেন যে আওয়ামী লীগ আজকের জায়গায় এসেছে শেখ হাসিনার জন্যই। কাজেই তিনি যতদিন বেঁচে থাকবেন, ততদিন আওয়ামী লীগ সভাপতির পদে অন্যকারও কথা আওয়ামী লীগ ভাবতেই পারে না। এরূপ বাস্তবতায় আওয়ামী লীগের কাউন্সিলগুলোতে প্রধান আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়ায় দলের সাধারণ সম্পাদক কে হবেন। বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করছেন, কাজেই তিনি যে আর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক থাকছেন না, এটা মোটামুটি নিশ্চিত। এরকম একটি পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের নতুন সাধারণ সম্পাদক নিয়ে নানামুখী আলাপ-আলোচনা চলছে। এই আলাপ-আলোচনার মধ্যেই কিছু ওয়াইল্ড কার্ড এন্ট্রি রয়েছেন, যাদের আপাতদৃষ্টিতে দলের সাধারণ সম্পাদক হবার সম্ভাবনা খুবই কম কিন্তু অনেকেই মনে করেন যে আওয়ামী লীগ মাঝেমাঝেই সাধারণ সম্পাদক পদে নাটকীয় সিদ্ধান্ত নেয়। এরকম নাটকীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে কে জানে, তারাও হয়ত সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য বিবেচিত হতে পারেন। এই ওয়াইল্ড কার্ড প্রত্যাশিত সাধারণ সম্পাদক পদে যাদের নাম উচ্চারিত হয়, তাদের মধ্যে রয়েছেন
১) বাহাউদ্দিন নাছিম: বাহাউদ্দিন নাছিম নিঃসন্দেহে আওয়ামী লীগের অন্যতম জনপ্রিয় নেতা এবং তার সাংগঠনিক দক্ষতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। তারপরও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে এখনই তিনি বিবেচিত নন। তবে শেষপর্যন্ত যদি ওয়াইল্ড কার্ড হয়, তাহলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অপ্রত্যাশিতভাবে তার নাম আসতেও পারে।
২) খালিদ মাহমুদ চৌধুরী: খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর নাম গতবার থেকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য আলোচনায় ছিল। বিশেষ করে তরুণ নেতৃত্বকে যখন সামনে আনার কথা বলা হয়েছিল, তখন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর নাম এসেছিল। এখনও অনেকেই মনে করেন যে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এখনও তরুণ এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হবার মতো রাজনৈতিক পরিপক্বতা তার এখনও হয়নি। তবে ওয়াইল্ড কার্ড এন্ট্রি হিসেবে তিনি সবসময় আলোচনায় থাকেন।
৩) মির্জা আজম: আওয়ামী লীগের অন্যতম জনপ্রিয় নেতা মির্জা আজম। তিনি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। নতুন প্রজন্মের নেতৃত্বের মধ্যে তিনি অন্যতম জনপ্রিয় নেতা, এটি নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তিনিও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে একজন ওয়াইল্ড কার্ড এন্ট্রি হিসেবেই বিবেচিত।
৪) শেখ ফজলে নূর তাপস: শেখ ফজলে নূর তাপস কেন্দ্রীয় নেতা নন, কিন্তু তিনি একজন সফল রাজনীতিবিদ হিসেবে নিজের পরিচয় রেখেছেন। বিশেষ করে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে তিনি আলাদা একটি বৈশিষ্ট্য ইতোমধ্যেই দেখিয়েছেন। অনেকেই আওয়ামী লীগের আগামী দিনের নেতা হিসেবে বিবেচনা করে শেখ ফজলে নূর তাপসকে। রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম নেয়া এই নেতা আওয়ামী লীগের কোনো একটি নেতৃত্বে যে আসবেন, তা নিয়ে কারও কোনো সন্দেহ নেই। তবে এখন সাধারণ সম্পাদক হওয়াটা হবে আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় চমক।
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।