নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৫৯ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১
তিন দিন, তিন দিন করে মোট ছয় দিন বিএনপি তাদের সাংগঠনিক অবস্থা এবং দেশের সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করল। দুই ভাগে বিভক্ত এই ধারাবাহিক বৈঠকে বিএনপির নেতৃবৃন্দ খোলামেলা আলোচনা করেছেন। প্রতিটি বৈঠকের ব্যাপ্তি ছিল ছয় থেকে আট ঘণ্টা পর্যন্ত। এই ব্যাপক আলোচনায় তৃণমূলের নেতৃবৃন্দকে সুযোগ দেয়া হয়েছে কথা বলার জন্য। আর এই সমস্ত কথাবার্তায় দলের আন্দোলন নিয়ে যেমন হতাশার কথা এসেছে, তেমনি ভবিষ্যতের করণীয় নিয়েও অনেকে আলোচনা করেছেন। দলের নেতৃত্ব পরিবর্তনের প্রসঙ্গটি এসেছে বারবার। বিশেষ করে দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতারা, যারা বয়সের ভারে ন্যুব্জ, যারা অসুস্থ এবং নেতৃত্ব দিতে অক্ষম তাদের পরিবর্তনের কথা বেশ জোরেশোরেই এসেছে বিএনপির এই সমস্ত আলোচনায়। বিশেষ করে শেষ ৩ দিন গত মঙ্গল, বুধ এবং বৃহস্পতিবারের আলোচনায় একজন যোগ্য মহাসচিবের প্রসঙ্গ বারবার এসেছে যিনি দলকে নেতৃত্ব দেবেন অত্যন্ত সাহসের সঙ্গে। এ প্রসঙ্গে বিএনপির প্রয়াত নেতা খন্দকার দেলোয়ার হোসেনের নাম যেমন এসেছে তেমনি এসেছে কেএম ওবায়দুর রহমানের নাম। এমনকি অনেকে ব্যারিস্টার আব্দুস সালাম তালুকদারের কথাও স্মরণ করেছেন। এই সমস্ত বিবেচনায় বিএনপির মহাসচিব পদে পরিবর্তনের কথাও উচ্চারিত হয়েছে আকারে ইঙ্গিতে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি একজন সজ্জন ভদ্রলোক হিসেবে পরিচিত কিন্তু বিএনপি তার অবস্থান খুবই নড়বড়ে। একদিকে সিনিয়র নেতারা তাকে গ্রহণ করতে পারেনি অন্যদিকে তৃণমূলের মধ্যে তিনি আস্থাশীল নেতা নন। আর এই রকম বাস্তবতায় বিএনপিকে যদি নতুন করে আন্দোলন শুরু করতে হয় তাহলে একজন সার্বক্ষণিক সুস্থ এবং সাহসী মহাসচিব লাগবে বলে বিএনপির অনেক নেতাই মনে করছেন। বিএনপি নেতারা মনে করছেন যে, ২০২৩ সালের মধ্যে যদি বিএনপিকে একটি বড় ধরনের আন্দোলন করতে হয় তাহলে মহাসচিব পদে পরিবর্তনের কোন বিকল্প নেই। বিএনপির মহাসচিব নিয়ে গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে আলোচনা চলছে। বিশেষ করে ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিজেই মহাসচিবের পদ ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।
এক্ষেত্রে বেশ কিছু নাম উচ্চারিত হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভারসাম্য রক্ষার জন্যই মহাসচিব পদে পরিবর্তন করা হয়নি। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে মন্দের ভালো হিসেবে এই পদেই রাখা হয়েছে। তবে বিএনপি নেতারা মনে করেন, বিএনপি যদি এখন বড় ধরনের কোন আন্দোলন গড়ে তুলতে চায় তাহলে মহাসচিব পরিবর্তনের কোনো বিকল্প নেই। মহাসচিব কে হতে পারেন, এ নিয়ে বিএনপিতে নানামুখী আলোচনা আছে। আর সেই আলোচনায় সবচেয়ে এগিয়ে আছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। রুহুল কবির রিজভীর গ্রহণযোগ্যতা তৃণমূল পর্যন্ত বিস্তৃত, বিএনপির মধ্যে তিনি এখনো অন্যতম জনপ্রিয় ব্যক্তি। কিন্তু সমস্যা হলো রুহুল কবির রিজভীও অসুস্থ। তিনি কয়েক দফা হাসপাতালে ছিলেন। তিনি মানসিকভাবে দৃঢ় থাকলেও বিএনপির মতো একটি বড় দলের মহাসচিব হওয়ার মতো কতটুকু সুস্থ সে নিয়ে বিএনপির মধ্যেও প্রশ্ন রয়েছে।
এছাড়াও বিএনপির মহাসচিব পদে অন্যতম আলোচিত নাম মির্জা আব্বাস। কিন্তু মির্জা আব্বাসেরও শারীরিক অবস্থা ভালো না। তাছাড়া সারাদেশে তার গ্রহণযোগ্যতা অনেকটাই কম। তিনি একজন বদমেজাজি হিসেবেও দলের মধ্যে পরিচিত। গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে নিয়ে বিএনপিতে বিভিন্ন আলোচনা হয়। বিএনপিতে তাঁর জনপ্রিয়তাও রয়েছে। কিন্তু তিনি সংখ্যালঘু হওয়ায় বিএনপির মতো একটি সাম্প্রদায়িক এবং মুসলিমপছন দলের মহাসচিব হওয়ার ক্ষেত্রে তিনি কখনোই প্রথম পছন্দ নয়। আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বিএনপিতে অত্যন্ত গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি। তার আর্থিক সচ্ছলতা আছে, দলে তার জনপ্রিয়তা আছে, ঠাণ্ডা মাথার মানুষ এবং নানা ভাবেই তিনি বিএনপির দুঃসময়ে প্রশংসিত হয়েছেন দলের নেতাকর্মীদের দ্বারা। মহাসচিব হিসেবে তিনি অনেক বেশি আস্থাশীল বলে অনেকে মনে করেন।
এছাড়াও বিএনপিতে আরো কিছু নেতা আছেন মহাসচিব হিসেবে যাদের নাম আলোচনা করতে হবে। তবে বিএনপির এই ৬ দিনের বৈঠকের পর বিএনপি আসলে সংগঠন গোছানোর কৌশল কিভাবে নিবে সেটি দেখার বিষয়। তার ওপর নির্ভর করছে মহাসচিব পদে আদৌ কোনো পরিবর্তন আসবে কিনা।
মন্তব্য করুন
এমভি আবদুল্লাহ কবির গ্রুপ সোমালিয়া উপকূল
মন্তব্য করুন
ভারত বিরোধী বিএনপি রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
বিএনপি নেতারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যেসব কথা বলে তা শুনলে জিয়াউর
রহমানও কবরে শুয়ে লজ্জা পেয়ে যেতেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর প্রেসক্লাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কখনো শুনেননি তিনি স্বাধীনতার ঘোষক।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্কুল ঘণ্টা যেমন দপ্তরি বাজায়, তেমনি জিয়াউর
রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে। আজকে বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন
খান অনেক কথা বলেন। মঈন খানের বাবা আব্দুল মোমেন খান ৭৪ সালে খাদ্য সচিব ছিলেন। তিনি
ষড়যন্ত্র করে মার্কিন খাদ্যবাহী জাহাজ ফেরত পাঠিয়েছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান আব্দুল মোমেন খানকে মন্ত্রী
বানিয়েছিল। মঈন খান নিজেও সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিল, দরকার পড়লে দেশ বিক্রি করে দেব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান
মাহমুদ বলেন, দেশ সমৃদ্ধির দিকে যখনই এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।
বিএনপি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর জন্য যেভাবে দাবি করে জিয়াও সেভাবে
কখনো দাবি করেনি। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ছত্রছায়া পাকিস্তানিদের পক্ষে কাজ করেছে।
জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধের সময় বেতন ভুক্ত কর্মচারী ছিলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা হাস্যরসের সৃষ্টি করে। বিএনপির নেতা মঈন খানের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, যার বাবার জন্য এদেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে তার মুখে এসব কথা মানায় না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে ইতিহাস বিকৃতি করে বিএনপি নেতারা বিশদকার বিষোদগার করছে কিন্তু এখন সঠিক ইতিহাস জনগনের সামনে আসার পর তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপির ইতিহাস বিকৃতির পাশাপাশি দেশের জনগণকেও বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিএনপি ড. হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
বিএনপি ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (২৯ মার্চ) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে ইফতার ও ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ইফতার পার্টি না করে, সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করতে। আর বিএনপি বড় বড় হোটেলে ইফতার পার্টির আয়োজন করে। আর সেই ইফতার পার্টিতে তারা আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বলে দিল্লির শাসন মেনে নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ পাকিস্তানে সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। আসলে বিএনপির হৃদয়ে এবং চেতনায় পাকিস্তান। আওয়ামী লীগের চেতনা এবং হৃদয়ে বাংলাদেশ, কোনো বিদেশিদের দাসত্ব নয়।
তিনি বলেন, বিএনপির চারদিকে অন্ধকার, শেখ হাসিনার জনকল্যাণমুখী বিচক্ষণ রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিএনপি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিল। ব্যর্থ হয়ে এখনো অসংলগ্ন কথা বলছে। আশি ভাগ বিএনপি নেতাকর্মীকে দমন-পীড়ন করা হচ্ছে বলে তারা মিথ্যাচার করছে।
এসময় মির্জা ফখরুলকে মিথ্যাচার করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাদের মিথ্যাচারের রাজনীতি কেউ গ্রহণ করছে না বলেই তারা সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব সংকটের প্রভাবের পরও শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ এখনো ভালো আছে।
ওবায়দুল কাদের রাজনীতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন