নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৪৯ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১
শিক্ষামন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দিপু মনি এমপি বলেছেন, ‘মিডিয়ার ওপর ভর করে মিথ্যাচারের মাধ্যমে বিএনপি নেতাকর্মীরা অপরাজনীতি করছে। বিএনপির কিছু লোককে সারাদিন কয়েকটি মিডিয়াতে দেখা যায়। মানুষের সঙ্গে তারা নেই। অথচ আওয়ামী লীগের অসংখ্য নেতাকর্মী মানুষের জন্য কাজ করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।’
শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ নগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের হাতে গড়া আওয়ামী লীগ সরকার আজ দেশকে দুর্বার গতিতে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। `৯৬ এ বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশে প্রথম মোবাইল আনলেন ও ইন্টারনেট এনেছিলেন। করোনাকালীন শিক্ষাক্ষেত্রে ঘাটতি পূরণে এই ইন্টারনেট সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করেছে। ফলে সারা পৃথিবীর সাথে তাল মিলিয়ে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে আজ বাংলাদেশ।’
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সংস্কৃতিক সম্পাদক বাবু অসীম কুমার উকিল এমপি, আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য মারুফা আক্তার পপি ও রেমন্ড আরেং।
এছাড়াও আরও বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট জহিরুল হক খোকা, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এহতেশামুল আলম ও সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্ত।
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।