নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৪০ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১
আকাশ থেকে ঢাকা শহর চেনা যায় না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। দেশ বদলে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আকাশ থেকে চট্টগ্রাম শহরও চেনা যায় না।
আজ সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে তথ্য অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম শুভ জন্মদিন উপলক্ষে আলোকচিত্র অ্যালবামের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এখন ক্ষুধার্ত থাকে না। ক্ষুধার জন্য এখন আর সন্ধ্যার পর ডাক শোনা যায় না।
দারিদ্র্য বিমোচনের ক্ষেত্রেও দেশ বহুদূর এগিয়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ৪১ থেকে ২০ শতাংশে নেমে এসেছে। এখন সহজে খালি পায়ে মানুষ দেখা যায় না।
হাছান মাহমুদ বলেন, আজ থেকে ২০ বছর আগে ঢাকার সড়কে যারা রিকশা চালাতেন, তাদের বেশিরভাগের পায়ে কোনো স্যান্ডেল ছিল না। এখন খালি পায়ে মানুষ দেখা যায় না, ছেড়া কাপড় পরা মানুষ দেখা যায় না।
এই পরিবর্তন কোনো জাদুতে হয়নি উল্লেখ করে সরকারের এ মন্ত্রী বলেন, এটি হয়েছে জননেত্রী শেখ হাসিনার জাদুকরী নেতৃত্বের কারণে।
তিনি আরও বলেন, বিধাতার কাছে আমার প্রার্থনা, শেখ হাসিনা অব্যাহতভাবে এই দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে যাক।
প্রধান তথ্য অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. শাহেনুর মিয়ার সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. মকবুল হোসেন।
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।