নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ১৩ অক্টোবর, ২০২১
বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ অবস্থায় গতকাল আবার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। চিকিৎসকরা তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে তাঁর দীর্ঘ মেয়াদী অসুখ হয়েছে। আর এটিকে ইস্যু করে বিএনপি এবং বেগম খালেদা জিয়ার পরিবার আবার নতুন করে তাকে বিদেশে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। বেগম জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে আবার সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে এবং এভার কেয়ার হাসপাতালের সূত্র বলছে যে তারা বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা করতে হবে এই মর্মে একটি চিকিৎসাপত্র দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন। এই চিকিৎসাপত্র পত্র নিয়ে তারা সরকারের কাছে নুতন করে আবেদন করবেন বলেও বেগম খালেদা জিয়া পরিবারের সূত্রগুলো জানিয়েছে।
উল্লেখ্য যে এর আগে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার বেগম জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেয়ার আবেদন করেছিলেন। কিন্তু ফৌজধারী কার্যবিধির যে ধারায় বেগম জিয়াকে জামিন দেওয়া হয়েছে সেই একই ধারা প্রয়োগ করে তাঁকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য যাওয়ার অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয় বলেই তাঁর সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়। সরকারি সূত্রগুলো বলছে যে এখনো সেই একই পরিস্থিতি বিরাজ করছে কাজেই নুতন করে বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার আবেদন বিবেচনার কোনো সুযোগ নেই। তবে বেগম খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে তিনি আসলেই অসুস্থ এবং এই অসুখের উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁর বিদেশে যাওয়ার বিকল্প নেই। যে কোনো মূল্যে তারা বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে চান। বেগম খালেদা জিয়ার পরিবারের একজন সদস্য বলেছেন যে প্রয়োজনে তারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। প্রধানমন্ত্রী মহানুভবতায় বেগম খালেদা জিয়ার জামিন পেয়েছেন, তারা আশা করেন যে তিনি একই রকম মহানুভবতা দেখিয়ে বেগম জিয়াকে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ করে দেবেন।
বেগম জিয়ার পরিবারের সদস্যরা তার বিদেশ যাওয়ার পথ সুগম করতে একাধিক নির্দেশনা দিয়েছেন। প্রথমত বিএনপি নেতৃবৃন্দকে এখন বড় ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি বা আন্দোলনের হুমকি ধামকি না দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন শামিম এস্কাদার। যাতে সরকারের সঙ্গে মুখোমুখি অবস্থান না হয় সেটি লক্ষ রাখার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। ইতিমধ্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এভারকেয়ার হাসপাতালে বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছেন এবং তিনি বেগম জিয়ার পরিবারের সুরেই বলেছেন যে তার পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা বাংলাদেশের সম্ভব নয়। বিএনপি সামনে যে আন্দোলন কর্মসূচির কথা ভাবছিলো সেই জায়গা থেকে পিছিয়ে এসেছে কিনা তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
অন্যদিকে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে যাওয়ার প্রতিবন্ধকতা দূর করার জন্য তিনি রাজনীতি থেকে বিদায় নিবেন বা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড অংশগ্রহণ করবেন না ইত্যাদি যেকোনো ধরনের মুচলেকা দিতেও প্রস্তুত বলে জানা গেছে বেগম খালেদা জিয়া পরিবারের পক্ষ থেকে। বেগম জিয়ার পরিবারের সদস্যরা মনে করেন যে সরকার মনে করছে যে বেগম খালেদা জিয়া বিদেশে গেলে আবার রাজনৈতিক তৎপরতা শুরু করবেন এবং তারেক জিয়া বাংলাদেশবিরোধী চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র কে আবার নতুন করে চাঙ্গা করবেন। এরকম একটি বিবেচনা থেকেই হয়তো সরকার বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দিচ্ছেন না। কিন্তু সরকারের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছেন যে এরকম ভয়ভীতি কিংবা শঙ্কা থেকে সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ যাওয়া কে বারিত করছে না। বরং বেগম খালেদা জিয়াকে সরকার তাঁর সাধ্যর মধ্যে যেটুকু সুযোগ সুবিধা দেওয়া দরকার সেটুকুই দিয়েছে। এটি যেহেতু একটি আইনি বিষয় এবং বেগম খালেদা জিয়া দুটি মামলায় দণ্ডিত সেহেতু সরকারের নির্বাহী আদেশে তাঁর বিদেশে যাওয়াটা অসম্ভব।
সরকারের একজন দায়িত্বশীল মন্ত্রী বলেছেন যে বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়াটা যদি এতই প্রয়োজনীয় হয় তবে তিনি আদালতে আবেদন করতে পারেন, একমাত্র আদালতে মাধ্যমেই তিনি বিদেশে যেতে পারেন। শেষ পর্যন্ত বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশ যাত্রা এবার সফল হবে না ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে তাঁর জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।