নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১৩ অক্টোবর, ২০২১
নিক্সন চৌধুরী স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করে ফরিদপুরে একটি আসনে বিজয়ী হয়েছেন। কিন্তু এখন ফরিদপুরের রাজনৈতিক মেরুকরণে নিক্সন চৌধুরী আওয়ামী লীগের একক নেতা হিসেবে আবির্ভূত হতে যাচ্ছেন বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। যদিও ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের নেতাদের খনী। আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা রয়েছেন ফরিদপুরে। ফরিদপুরই একমাত্র জেলা যেখানে প্রেসিডিয়ামের তিনজন সদস্য রয়েছেন। তারপরও নিক্সন চৌধুরী কিভাবে ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের ত্রাতা হন সেই প্রশ্ন নিয়েই এখন রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা রকম আলোচনা চলছে।
বিশেষ করে আজকে এক সময় ফরিদপুরের একক নেতা, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য খন্দকার মোশারফ হোসেনের ইপিএস এ এইচ এম ফুয়াদ গ্রেফতার হওয়ার প্রেক্ষিতে নিক্সন চৌধুরীর নাম আবার নতুন করে আলোচনা এসেছে। অর্থ পাচার মামলায় সাবেক মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশারফ হোসেন সহকারী একান্ত সচিবকে আজ গ্রেফতার করে পুলিশ।
গতরাতে ঢাকার বসুন্ধরা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ তদন্ত) জামাল পাশা আজ ফুয়াদের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ফুয়াদের বিরুদ্ধে দুই হাজার কোটি টাকা অর্থ পাচার মামলা ছাড়াও বেশ কয়েকটি মামলা আছে। ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে ভাংচুরের মামলার আসামিও এই ফুয়াদ। ফুয়াদের গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে অনেকেই মনে করছেন ফরিদপুরের রাজনীতিতে ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশারফ হোসেনের অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি ঘটলো। এছাড়াও ফরিদপুরে আরও তিনজন প্রেসিডিয়াম সদস্য রয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন বেগম সাজেদা চৌধুরী, কাজী জাফর উল্লাহ এবং আব্দুর রহমান। বেগম সাজেদা চৌধুরী বরেণ্য এবং প্রবীণ রাজনীতিবিদ। আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের কাণ্ডারি। কিন্তু বয়সের কারণে এখন রাজনৈতিক বিষয় থেকে তিনি নিজেকে গুটিয়ে রেখেছেন। তাকে সংসদ উপনেতা রাখা হয়েছে শুধু মাত্র তার অতীত অবদানের জন্য। অন্যদিকে, কাজী জাফর উল্লাহ নিক্সন চৌধুরীর কাছে দুইবার হেরে জাতীয় রাজনীতিতে বড় নেতা হলেও এলাকার রাজনীতিতে তার অবস্থান খুইয়েছেন। এখন কাজী জাফর উল্লাহর ফরিদপুরের রাজনীতিতে কোনো ভূমিকাই নেই বলে অনেকে মনে করেন।
অন্যদিকে আব্দুর রহমান প্রেসিডিয়াম সদস্য হলেও গত নির্বাচনে মনোনয়ন পান নি। তার বদলে একজন সাবেক আমলাকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। কাজেই ফরিদপুরের রাজনীতিতে তিনি অপাংতেও হয়ে আছেন। নিক্সন চৌধুরী আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থীর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র হয়ে নির্বাচিত হন দুই দুইবার। এবার তিনি আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী যুব লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হয়েছেন। যার ফলে তিনি এখন আওয়ামী লীগের বাইরে নন। তিনি এলাকায় বিপুল জনপ্রিয়। বিশেষ করে ইঞ্জিনিয়ার মোশারফের কোণঠাসা হয়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে নিক্সন চৌধুরী এখন ফরিদপুরের রাজনীতির মুখ্য ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন বলে অনেকে মনে করছেন।
অন্যান্য নেতাদের নিষ্ক্রিয়তা এবং নানা বাস্তবতায় এলাকার অবস্থান ক্ষুণ্ণ হওয়ার কারণে নিক্সন চৌধুরীকে ঘিরেই এখন ফরিদপুরের রাজনীতির নতুন মেরুকরণ হয়েছে। কাজেই নিক্সন চৌধুরী আজকের এই ঘটনার পর মোটামুটি স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে নিক্সন চৌধুরী ফরিদপুরের রাজনীতিতে একক নেতা।
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।