নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০১ পিএম, ১৪ অক্টোবর, ২০২১
নির্বাচন কমিশন গঠনকে ঘিরেই আন্দোলনে যেতে চায় বিএনপি। আর সেই আন্দোলনে বিএনপিকে পিছন থেকে মদদ দিচ্ছে দেশের সুশীল সমাজের একটি অংশ। গত কিছুদিন ধরেই রাজনীতির মাঠে বিএনপি চাঙ্গা ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিএনপি নতুন করে আন্দোলন শুরু করার হুমকি দিচ্ছে, এমনকি নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সরকার ছাড়া আগামী কোন জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না বলেও ঘোষণা দিয়েছে। এরকম একটি পরিস্থিতির মধ্যেই আওয়ামী লীগ পাল্টা আঘাত হেনেছে। আওয়ামী লীগ বলছে যে, নির্বাচন যথাসময়ে হবে, সংবিধান অনুযায়ী হবে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার একটি মৃত ইস্যু। কথার এই বাহাসের মধ্যে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়ে যাচ্ছে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে এখন সরকার ব্যস্ত। সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে বলা হয়েছে যে, সার্চ কমিটির মাধ্যমেই নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। আইনমন্ত্রী বলেছেন যে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে নতুন আইন প্রণয়ন সম্ভব না। আগামী নির্বাচন কমিশন আইন করে নতুন আইনের মাধ্যমে করা হবে। বর্তমান নির্বাচন কমিশন সার্চ কমিটির মাধ্যমেই করা হবে।
কিন্তু এর মধ্যেই সুশীল সমাজ সার্চ কমিটি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে। সুশীল সমাজের পক্ষ থেকে এ নিয়ে বেশ সমাজকে নিয়ে বেশ সরব দেখা যাচ্ছে। তারা বক্তৃতা-বিবৃতির মাধ্যমে সার্চ কমিটির প্রচ্ছন্ন বিরোধিতা করছে। বরং আইন প্রণয়নের উপর গুরুত্ব দিতে চাইছে। ফলে নির্বাচন কমিশন নিয়ে সার্চ কমিটি গঠনের আগেই বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে এবং এই বিতর্কে একই বিন্দুতে দাঁড়িয়ে আছে সুশীল সমাজ এবং বিএনপি। দেশের সুশীল সমাজ সবসময় রাজনৈতিক দুটি দলের মধ্যে বিভক্তি এবং বিভাজন সৃষ্টি করতে চায়। রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত এবং নিয়ন্ত্রণের বাইরে নিয়ে যেতে চায়। যেখান থেকে সুশীল সমাজের গুরুত্ব বাড়বে এবং সুশীল সমাজ রাজনীতির লাটাই হাতে নিতে পারবে। সে রকম একটি পরিকল্পনা থেকেই দেশের সুশীল সমাজের একাংশ তৎপর কিনা সে প্রশ্ন নতুন করে উঠেছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, রাজনৈতিক অঙ্গনে যখন বিএনপির প্রায় একা, ২০ দলীয় জোট নেই বললেই চলে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যাপারে বিএনপি নেতাদের মধ্যে এখন নেতিবাচক মনোভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সেরকম একটি পরিস্থিতিতে বিএনপি হঠাৎ করে আন্দোলনের এত উত্তেজনা এবং আগ্রহ পাচ্ছে কোত্থেকে সেটি একটি বড় প্রশ্ন। আর এই সময় দেখা যাচ্ছে যে দেশের সুশীল সমাজ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে অত্যন্ত সরব এবং সক্রিয় হয়েছেন। তারা একের পর এক নানা রকম ইস্যুতে বিবৃতি দিচ্ছেন। তবে বিভিন্ন সূত্র বলছে, নির্বাচন কমিশন নিয়ে সুশীল সমাজ সোচ্চার শক্ত অবস্থান নিতে চায়। আর সেই শক্ত অবস্থানের সুবিধা ভোগ করবে বিএনপি। তবে সুশীল সমাজের একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে তারা বলছেন যে, তারা একটি অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন চান। এজন্য নির্বাচন কমিশন গঠনটি গুরুত্বপূর্ণ, বিএনপির আন্দোলনের সঙ্গে এর কোন সম্পর্ক নেই। কিন্তু সমান্তরাল ধারায় যখন নির্বাচন কমিশন নিয়ে বিএনপি এবং সুশীল সমাজ প্রায় একই ভাষায় কথা বলছে তখন এই দুজনের নেপথ্যে কোন ঐক্য আছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখা দেখা দরকার বলে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, হয়তো সার্চ কমিটি গঠনের পরপরই সুশীল সমাজ এ ব্যাপারে সোচ্চার হবে আর বিএনপি আন্দোলনের ঘোষণা দেবে। তাহলে বিএনপির আন্দোলনকে একটি প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি দেওয়ার জন্যই কি সুশীল সমাজের বর্তমান তৎপরতা?
মন্তব্য করুন
পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার হ্যালো পিওর গোল্ড
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পবিত্র মাহে রমজানের আগে আবারও বাড়লো চিনির দাম। কেজিতে ২০ টাকা বাড়িয়ে প্রতিকেজি সরকারি মিলের চিনির সর্বোচ্চ খুচরা দাম ১৬০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি)।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে চিনি ও খাদ্য শিল্প মন্ত্রণালয় জানায়, চিনির এ দাম অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক ও দেশীয় চিনির বাজার মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিএসএফআইসি কর্তৃক উৎপাদিত চিনির বিক্রয়মূল্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজারে রোজা উপলক্ষ্যে চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।
এখন থেকে করপোরেশনের ৫০ কেজি বস্তাজাত চিনির মিলগেট বিক্রয়মূল্য ১৫০ টাকা (এক কেজি) ও ডিলার পর্যায়ে বিক্রয়মূল্য ১৫৭ টাকা (এক কেজি) নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া করপোরেশনের ১ কেজি প্যাকেটজাত চিনির মিলগেট বা করপোরেট সুপারশপ বিক্রয়মূল্য ১৫৫ টাকা ও বিভিন্ন সুপারশপ, চিনি শিল্প ভবনের বেজমেন্টে ও বাজারে সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয়মূল্য ১৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাজারে সরকারি চিনির নামে মোড়কজাত করে চড়া দামে বিক্রি করছে কিছু প্রতিষ্ঠান। সবশেষ কেজিপ্রতি ১৪০ টাকা চিনির মূল্য নির্ধারণ করে সংস্থাটি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের জন্য ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ কিনছে ভারত। এই খবরে দেশের বাজারে ব্যাপক দরপতন শুরু হয়েছে। সরবরাহ বাড়তে থাকায় খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে অন্তত ৩০ টাকা কমেছে। অথচ রোজা শুরুর আগেও পেঁয়াজের দাম বাড়ছিল। বাজার নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সরকার তখন ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার বিশেষ উদ্যোগও নিয়েছিল।