নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৫৬ পিএম, ১৬ অক্টোবর, ২০২১
দুর্গাপূজায় মন্দির, মণ্ডপে হামলা এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ঘরবাড়ি ও দোকানপাট ভাঙচুর এবং তাঁদের ওপর নির্যাতনের ঘটনায় রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি আস্থা হারিয়েছে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ।
শনিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত এসব ঘটনার প্রতিবাদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ওই পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত এ মন্তব্য করেন। হামলার প্রতিবাদে আগামী শনিবার সারা দেশে সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত গণ–অনশন, গণ–অবস্থান ও বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা দেওয়া হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে।
সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে রানা দাশগুপ্ত বলেন, রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি আমাদের আর আস্থা নেই। অব্যাহতভাবে হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারীদের মধ্যে একাত্তরে পাকিস্তানি ভাবধারার প্রেতাত্মা যেমন আছে, তেমনি অন্যান্য দলের লোকও রয়েছে।
রানা দাশগুপ্ত আরও বলেন, সরকারি দলের ভেতর ঘাপটি মেরে থাকা লোক হামলায় ছিল। মুজিব কোট গায়ে দিয়ে তারা হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল। যেমন কর্ণফুলী থানায় ‘জয় বাংলা’ ক্লাবের পক্ষ থেকে হামলা হয়েছে। যেখানে দুই ভাই সদ্য বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন।
কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন অবমাননার ঘটনার জের ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত হামলার ঘটনার তালিকা তুলে ধরা হয় সংবাদ সম্মেলনে।
এ সময় লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বিজয়া দশমীর দিন নোয়াখালীর চৌমুহনীতে পূজামণ্ডপে যতন সাহাকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়। ইসকন মন্দিরের প্রভু মলয় কৃষ্ণ দাসকে নির্মমভাবে খুন করা হয়। গতকাল সকালে ইসকন মন্দিরের পুকুরে জনৈক ভক্তের লাশ ভেসে ওঠে। একই দিনে চট্টগ্রাম মহানগরের জে এম সেন হলেও হামলা হয়েছে। এর আগে চাঁদপুরে হামলায় মানিক সাহা নামে একজন মারা যান।
রানা দাশগুপ্ত বলেন, সাম্প্রদায়িক হামলাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে উড়িয়ে দেওয়ার কোনো সুযোগ আর নেই। আমরা মনে করি ও বিশ্বাস করি, সবটাই পরিকল্পিত। যার মূল লক্ষ্য, এক দিকে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আন্তর্জাতিক পরিসরে বিনষ্ট করা, অন্য দিকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে অগ্রসরমান উন্নতিকে ব্যাহত করা। এ ছাড়া বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিতাড়িত করে গোটা দেশকে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করা।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ব্রিটিশ হাইকমিশনার বিএনপি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী শামা ওবায়েদ সারাহ কুক
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন মন্ত্রী-এমপি আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে একটি কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন। আজ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনাটি জারি করেছেন। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপি পরিবারের সদস্য স্বজনরা প্রার্থী হতে পারবেন না। এটি আওয়ামী লীগ সভাপতির একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। তৃণমূল পর্যন্ত যে পরিবারতন্ত্র ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল এবং বিভিন্ন জায়গায় যে জমিদারি প্রথা তৈরির শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল সেটা প্রতিরোধের জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতির এই উদ্যোগ তৃণমূলের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।