নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০৩ পিএম, ২৭ অক্টোবর, ২০২১
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্য সফরে যাচ্ছেন। যুক্তরাজ্য, প্যারিস এবং স্কটল্যান্ডে তার সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জলবায়ু পরিবর্তন ছাড়াও কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক বিষয়ে তিনি সেখানে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখবেন এবং বৈঠকে মিলিত হবেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর এই যুক্তরাজ্য সফর ঘিরে লন্ডনে ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া গেছে। বিশেষ করে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া, যুদ্ধাপরাধী গোষ্ঠী এবং জামাতের বিভিন্ন অপশক্তি লন্ডনে প্রধানমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে নানা রকম ষড়যন্ত্র করছে বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যে লন্ডনের আওয়ামী লীগ, যুবলীগের নেতৃবৃন্দ বাংলা ইনসাইডারকে নিশ্চিত করেছেন যে লন্ডনে প্রধানমন্ত্রীর সফর কে নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে এবং বিএনপি-জামাত নানারকম পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। তবে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বলছেন যে বিএনপি-জামাতের এই সমস্ত ষড়যন্ত্র এবং অপতৎপরতা প্রতিহত করতে আমরা প্রস্তুত এবং এরকম অপতৎপরতাকে কোনোভাবেই সফল হতে দেয়া হবে না।
দায়িত্বশীল একাধিক সূত্রগুলো বলছে যে গত তিনদিন ধরে লন্ডনে তারেক জিয়ার নির্দেশে বিএনপি-জামাত এবং স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির বৈঠক করছেন। এই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে অপতৎপরতার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানা গেছে। এই তথ্যগুলো এখন লন্ডনের সচেতন নাগরিকদের মুখে মুখে, তারা এই বিষয়টিকে লজ্জাজনক এবং কুৎসিত বলে মন্তব্য করেছেন। লন্ডনপ্রবাসী একজন বাঙালি বলছেন যে অন্যান্য দেশের প্রধানমন্ত্রীরা যখন বিদেশে যান তখন সব দল মতের লোকরা তাকে ঐক্যবদ্ধভাবে সম্মান জানান, কারণ প্রধানমন্ত্রী কোন ব্যক্তি নন, প্রধানমন্ত্রী একটি ইন্সটিটিউশন। তার সঙ্গে দেশের ভাবমূর্তি মর্যাদা অনেকখানি নির্ভর করে। কাজেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যখন লন্ডনে যাবেন বা পৃথিবীর যেকোনো দেশে তিনি যান না কেন তাকে শ্রদ্ধা জানানো, সম্মান জানানো এবং স্বাগত জানানো প্রত্যেকটি প্রবাসী বাঙ্গালির দায়িত্ব। কিন্তু আমরা দুর্ভাগ্যজনকভাবে এটি না করে এমন সব কর্মকাণ্ড করি যাতে বাংলাদেশের মর্যাদা বিনষ্ট হয়। এর ফলে প্রধানমন্ত্রীই শুধু ছোট হন না যারা এসব অপকর্ম করে তারাও ছোট হন। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে এবার প্রধানমন্ত্রীর লন্ডন সফরের সময় প্রতিবাদ, কালোপতাকা প্রদর্শন সহ বিভিন্ন রকম কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে সক্রিয় করা হয়েছে। সেখানে সেটির মাধ্যমে নানা রকম গুজব এবং প্রচারণা করা হবে। পাশাপাশি এই লন্ডন সফরের সময়ে অন্যান্য ধরনের কোনো অপতৎপরতা করারও পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
সম্প্রতি লন্ডনে বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র টিউলিপ সিদ্দিকের গাড়িতে হামলা করা হয়েছে এবং এই হামলা তদন্তে এটা স্পষ্ট প্রমাণিত হয়েছে যে যুদ্ধাপরাধী গোষ্ঠী তারেকের নির্দেশে এই অপতৎপরতা করেছিল। এবার এই জন্যই প্রধানমন্ত্রীর লন্ডন সফর নিয়ে সর্তকতা অবলম্বন করা উচিত বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। তবে ইতিমধ্যে লন্ডনে আওয়ামী লীগ এবং অন্যান্য সংগঠনগুলো পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে সর্তকতা অবলম্বন করছেন। এ ধরনেরই সফরের যাতে কোন ধরনের নেতিবাচক ঘটনা ঘটে না ঘটে সেটির জন্য তারা বদ্ধপরিকর বলে জানা গেছে।
মন্তব্য করুন
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপে নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তকে
উপেক্ষা করে প্রার্থী হওয়ায় মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে উপজেলার বিএনপিপন্থি দুই প্রার্থীকে
শোকজ করা হয়েছে।
বিএনপি থেকে শোকজ করা দুই প্রার্থী হলেন, চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী
উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর
রহমান তুষার (কাপ পিরিচ প্রতীক) ও ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য
ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসা (চশমা প্রতীক)।
গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র অফিসিয়াল
প্যাডে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত কারণ দর্শানোর
নোটিশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৫ এপ্রিল বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির
সভায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিএনপি নেতা হিসেবে
আপনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। নির্বাচনে
প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার এহেন মনোবৃত্তি সম্পূর্ণরূপে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি এবং দলের
প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা।
দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে জালিয়াতির নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য
আপনার বিরুদ্ধে কেন দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা
হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্যকোনো মাধ্যমে পত্র প্রাপ্তির কিংবা ফোনে অবহিত হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার
মধ্যে যথাযথ কারণ দর্শিয়ে একটি লিখিত জবাব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয় বরাবর
নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।
কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাচনে
চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়নের সাবেক
চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর রহমান তুষার বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য দলীয়ভাবে কারণ
দর্শানোর নোটিশ হাতে পেয়েছি। যথাযথ সময়ে আমি নোটিশের জবাবও দেব। তবে ৮ মে উপজেলা পরিষদ
নির্বাচনে আমি জনগণের চাপে পড়ে প্রার্থী হয়েছি। দলীয় সিদ্ধান্ত যাই হোক না কেন, জনগণের
ভালোবাসা, দোয়া ও সমর্থন নিয়ে শেষ পর্যন্ত আমি নির্বাচনী মাঠে থাকব। আমি টানা ১৯ বছর
বয়ড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে জনগণের সেবা করেছি। যার ফলে পুরো উপজেলায় আমার
একটা অবস্থান রয়েছে। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ আমাকে ভালোবাসে। তাদের ভালোবাসা ও দোয়া
নিয়েই আমি আগামীতে পথ চলতে চাই। আশা করি, এ নির্বাচনে আপামর জনগণ আমার পাশে থাকবে এবং
নির্বাচনে ভালো কিছু হবে, ইনশাআল্লাহ।
তবে বিএনপিপন্থি ভাইস চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য
ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসাকে একাধিকবার মুঠোফোনে
কল দিলেও রিসিভ হয়নি।
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।