ইনসাইড পলিটিক্স

‘আওয়ামী লীগ বা বিএনপির সঙ্গে জোটের রাজনীতি করতে চাই না’

প্রকাশ: ০১:১৭ পিএম, ২৮ অক্টোবর, ২০২১


Thumbnail

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরু ও অর্থনীতিবিদ ড. রেজা কিবরিয়ার নেতৃত্বে গঠিত ‘বাংলাদেশ গণ অধিকার পরিষদ’ নিয়ে আগামীতে ৩০০ আসনে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দিতে চান নুরু।

নিজের রাজনৈতিক পরিকল্পনা নিয়ে গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘নৌকা বা ধানের শীষের বাইরে কেউ কেউ বিকল্প নতুন শক্তির কথা বলছেন। সাধারণ মানুষেরও প্রত্যাশা, আওয়ামী লীগ-বিএনপির দুর্বৃত্তায়নের রাজনীতির বাইরে একটি রাজনৈতিক প্ল্যাটফরম গড়ে উঠুক। তাই আমরা আওয়ামী লীগ বা বিএনপির সঙ্গে জোটের রাজনীতি করতে চাই না। আমরা একটি নতুন রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে মাঠে থাকতে চাই। ২০২৩ সালের নির্বাচনে ৩০০ আসনে দলীয় প্রার্থী দিতে চাই।’

আলাপচারিতায় নূর বলেন, ‘নতুন দলের ঘোষণার আগে ও পরে আমরা বেশ সাড়া পাচ্ছি। ঘোষণা দেওয়ার আগে থেকেই বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের আগ্রহ লক্ষ্য করেছি। আমাদের চারটি অঙ্গসংগঠন। ছাত্র অধিকার, যুব অধিকার, শ্রমিক অধিকার ও প্রবাসী পেশাজীবী অধিকার পরিষদ আগেই গঠন করা হয়েছে। দল ঘোষণার আগে বিভিন্ন ব্যক্তি বলেছিলেন আত্মপ্রকাশের পর তারা নতুন দলে যোগ দেবেন। সেই সাড়াও পাচ্ছি। বিভিন্ন দল থেকেও আমাদের দলে আসার ব্যাপারে অনেকেই যোগাযোগ করছেন। সেদিক থেকে বলা যায়, এ রকম একটি প্রতিকূল পরিবেশে যখন রাজনৈতিক ভিন্নমতের ওপর দমন-পীড়ন চলছে, সেই সময় সর্বসাধারণের বিপুল সাড়া পাচ্ছি।’

কোন কোন রাজনৈতিক নেতা যোগাযোগ করছেন জানতে চাইলে ডাকসুর এই সাবেক ভিপি বলেন, ‘এটা সারপ্রাইজ হিসেবেই থাক। যোগদানের পরই সবাইকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানাব। এখন বললে তো আকর্ষণ থাকবে না।’ সাংগঠনিক কাঠামো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের চার অঙ্গসংগঠন এরই মধ্যে গঠন করা হয়েছে। দেশ-বিদেশে বিভিন্ন কমিটি হচ্ছে। এখন জেলা থেকে ওয়ার্ড পর্যায়ে সব কমিটি গঠনের কাজ চলছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা কমিটি করতে চাই। আমাদের টার্গেট ২০২৩ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে নিজেদের সাংগঠনিকভাবে প্রস্তুত করা। এখন আমরা আগামী নির্বাচনের জন্য দলকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নিচ্ছি। সেভাবেই দল সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’

গণঅধিকার পরিষদের লক্ষ্য কী জানতে চাইলে দলটির এই মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা মনে করি সব সময় সংকটেই সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন হয়। যেহেতু জাতীয়ভাবে রাজনীতিতে একটা সংকট চলছে, দেশে অস্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করছে সে মুহূর্তে আমরা তরুণরা কিন্তু একটি পরীক্ষা দিয়ে এ পর্যন্ত এসেছি। বিশেষ করে কোটা সংস্কার আন্দোলন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনসহ বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আজকের অবস্থানে এসে দাঁড়িয়েছি। এ সময়ে আমাদের আপসহীন ভূমিকা ও কথা বলা বা পাশে থাকার ব্যাপারে দৃঢ়তা মানুষের মধ্যে আশার জন্ম দিয়েছে। আজকের এ সংকট থেকে উত্তরণে তরুণদের একটি ভূমিকা আছে।’

নুরুল হক নূর বলেন, ‘সাধারণ মানুষের যে প্রত্যাশা বা আকাক্সক্ষা- সাম্য, মানবিক মর্যাদা, ন্যায়বিচার ও বৈষম্যহীন রাষ্ট্র তা স্বাধীনতার ৫০ বছরেও সম্ভব হয়নি। বিচার বিভাগ স্বাধীন এ কথা আমরা বলতে পারি না। সেদিক থেকে ন্যায়বিচার আমরা নিশ্চিত করতে পারিনি। গণমাধ্যম বিশেষ করে ব্যক্তির বাকস্বাধীনতা নিশ্চিত হয়নি। পাকিস্তানিরা যেমন আমাদের মুখের ভাষা কেড়ে নিতে চেয়েছিল, ঠিক তেমনি সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তার নামে কালো আইন করে আমাদের বাকস্বাধীনতা কেড়ে নিতে চায়। সে ক্ষেত্রে মানুষ আমাদের কাছে যে প্রত্যাশা করছে এ সংকট থেকে জাতিকে আমরা উদ্ধার করতে পারব।’

দলীয় সরকারের অধীনে ভোটে যাবেন কি না জানতে চাইলে ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, ‘বর্তমান সরকার ২০১৪ ও ২০১৮ সালে প্রতারণামূলক নির্বাচন করেছে। সে কারণে তাদের বিশ্বাস করা যায় না। আমরা দেখেছি দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হয় না। সে ক্ষেত্রে আমাদের দাবি থাকবে অবশ্যই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা অথবা সব দল ও সমাজের গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে একটি নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন করা। আমাদের স্পষ্ট কথা- এ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাব না। সুষ্ঠু ভোট নিশ্চিত করতে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রয়োজন। এজন্য যদি আন্দোলন সংগ্রামে মাঠে নামতে হয় তা হলেও আমরা রাজপথে থেকেই দাবি আদায় করব।’

বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ বা জোটগত আন্দোলনে যাবেন কি না জানতে চাইলে নূর বলেন, ‘মৌলিক দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনে কারও আহ্বানের দরকার নেই। আমাদের প্রত্যেকেরই বর্তমানে মৌলিক দাবি একটি নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ভোট। তা আমার জন্য, বিএনপির জন্য, জাতীয় পার্টি, চরমোনাই পীরের জন্য, সিপিবি বা বাসদের জন্যও প্রয়োজন। এজন্য কারও আহ্বানের প্রয়োজন নেই। যার যার জায়গা থেকে আন্দোলন শুরু করলেই হয়। এতেই সরকার চাপে পড়বে। কারও ব্যানারে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। মৌলিক ইস্যুতে যার যার ব্যানার নিয়ে মাঠে নামলেই কার্যকর আন্দোলন গড়ে উঠবে, দাবি আদায় হবে। এ ক্ষেত্রে জোট বা যুগপৎ আন্দোলনের প্রয়োজন নেই। সব দলের জন্যই নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রয়োজন, কারও একক প্রয়োজন নয়।’

নেতৃত্বে নবীন-প্রবীণের সমন্বয় ঘটবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘৯৭ সদস্যবিশিষ্ট কমিটিতে অনেক অভিজ্ঞ ও নবীন-প্রবীণের সমন্বয় ঘটেছে। তবে আমাদের নেতৃত্বের বড় একটি অংশই তরুণ। কারণ তারা এ প্রতিকূল পরিবেশে নিজের জীবন বিপন্ন করে মানুষের অধিকার আদায়ে রাজপথে অটল থাকে। হামলা-মামলাসহ নানা কারণে তাদের অদম্য শক্তি দমে যায়নি। এই কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে হলে আন্দোলন সংগ্রামের বিকল্প নেই। সে ক্ষেত্রে তরুণরাই সবচেয়ে বেশি ত্যাগ স্বীকার করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে তরুণদের আমরা নেতৃত্বে রেখেছি, ভবিষ্যতেও রাখব। পাশাপাশি সিনিয়ররাও আমাদের পাশে থেকে পরামর্শ দেবেন। আমাদের আহ্বায়ক কমিটিতে সদস্য সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।’

দেশবাসী বা নতুন প্রজন্মের প্রতি আহ্বান কী জানতে চাইলে নুরুল হক নূর বলেন, ‘দেশটা আমাদের সবার। দেশটা গড়ার জন্য যার যার অবস্থান থেকে ভূমিকা পালন করতে হবে। আমাদের রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকবেই। তাই বলে একটি মতকে প্রতিষ্ঠিত করতে আরেকটি মতকে দমিয়ে রাখব, অন্য ধর্মের ওপর আক্রমণ করব, মানুষের ওপর হামলা করব, অসহিষ্ণু আচরণ করব তা হতে পারে না। রাজনীতি যার যার জায়গা থেকে করব, কিন্তু আমরা সামাজিক সম্প্রীতি বজায় রাখব। আগামীতে বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল বাংলাদেশে রূপান্তরিত করতে যার যার জায়গা থেকে ভূমিকা পালন করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গড়া। স্বাধীনতার ৫০ বছরেও মানুষের ভোটাধিকার নেই। তা আমাদের প্রতিষ্ঠা করতে হবে। নইলে মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা ভূলুণ্ঠিত হবে।’



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

খালেদা-তারেককে বাদ দেয়ার কথা ভাবছে বিএনপি

প্রকাশ: ১০:১৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।

সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে বাদ দিয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি কিনা- সেই বিকল্প চিন্তা আমাদের মধ্যে আছে। 

তিনি আরও বলেন, প্রয়োজনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের পক্ষ থেকে একটি কমিটি বা বডি বাছাই করা হবে যারা তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত দিবে। বিষয়টিকে আরও পরিষ্কার করে তুলে ধারার জন্য আলাল বলেন, এরকম কমিটি বা বডির চিন্তা-ভাবনা আছে। হয়তো ওই দুইজনের (খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান) পক্ষ থেকেই বলা হতে পারে- চূড়ান্ত পর্যায়ে গেলে অপশন এ-বি-সি থাকবে। এই নির্দিষ্ট পাঁচজন বা এই বডি মিলে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত দিয়ে দিবে।

উল্লেখ্য, বিভিন্ন সময় পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকদের সাথে বিএনপির বৈঠকে দলটির ভবিষ্যত পরিকল্পনা কিংবা আন্দোলন-সংগ্রাম নিয়ে কোন কিছু জানতে চাইলে বেশির ভাগ সময় কোন সদুত্তর দিতে পারেন না বিএনপির শীর্ষ নেতারা। এক্ষেত্রে তারা বলেন যে, তারা (বিএনপি) লন্ডনের (তারেক জিয়া) সঙ্গে কথা বলে পরে তাদেরকে (কূটনীতিক) জানাবেন। এ রকম বাস্তবতায় কূটনীতিকরা দলের নেতৃত্ব থেকে বিএনপির এই শীর্ষ দুই নেতাকে বাদ দেয়া যায় কিনা সে ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছে বিভিন্ন সময়। এখন দেখার বিষয় শেষ পর্যন্ত বিএনপিতে কি সিদ্ধান্ত আসে।

খালেদা জিয়া   তারেক জিয়া   বিএনপি   সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

পদ্মশ্রী পদক পাওয়ায় শুভেচ্ছা জানাতে বন্যার বাসায় সস্ত্রীক নানক

প্রকাশ: ০৯:২৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘পদ্মশ্রী’ পদকে ভূষিত হওয়ায় দেশের খ্যাতনামা রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে শুভেচ্ছা জানান আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। সঙ্গে ছিলেন তার সহধর্মিনী অ্যাডভোকেট সৈয়দা আরজুমান বানু নারগিস।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বন্যার মোহাম্মদপুরের বাসায় গিয়ে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান নানক ও তার স্ত্রী। এ সময় ঢাকা ১৩ আসনের স্থানীয় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং অন্যান্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
  
শুভেচ্ছাকালে পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, সংগীত অঙ্গনে বন্যার এই অর্জন বাংলাদেশের অর্জন। তার এই অর্জন আমাদের। সংগীত অঙ্গনে বন্যার এই অর্জন আগামী প্রজন্মের কাছে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। 

উল্লেখ্য, গত সোমবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দিল্লিতে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাত থেকে দেশটির চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘পদ্মশ্রী’ পদক গ্রহণ করেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা।

রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা   জাহাঙ্গীর কবির নানক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

তীব্র গরমের জন্য আওয়ামী লীগ দায়ী: মির্জা আব্বাস

প্রকাশ: ০৭:১৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র গরমের জন্য আওয়ামী লীগ সরকারকে দায়ী করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেছেন, আজকে দেশে ঋতু নেই। এখনকার মানুষজনও বলতে পারে না বাংলাদেশে কয়টি ঋতু। দেশটি পরিকল্পিতভাবে ধীরে ধীরে মরুকরণের দিকে যাচ্ছে। এর জন্য দায়ী সরকার।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীতে সাধারণ মানুষের মাঝে বোতলজাত সুপেয় খাবার পানি, স্যালাইন ও হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচতে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন বিএনপির এ নেতা। জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ) এ কর্মসূচির আয়োজন করে।

মির্জা আব্বাস বলেন, ১১শ’র বেশি নদী ছিল বাংলাদেশে। কিন্তু তিনশ’র মতো নদী নিখোঁজ হয়ে গেছে আওয়ামী ভূমি দস্যুদের কারণে। এই হলো দেশের অবস্থা। অন্যদিকে ঢাকা শহরকে ইট-কাঠ-পাথরে ভরে দেওয়া হয়েছে। গাছ দেখা যায় না। ঢাকার চারপাশে জলাশয়গুলো ভরাট হয়ে গেছে। সরকারের মদদপুষ্ট ভূমি দস্যুরা সেসব ভরাট ও দখল করেছে। ভূমি দস্যুদের সঙ্গে সরকারের তলে তলে যোগাযোগ আছে। রাজধানীকে কৃত্রিম মরুভূমি বানানো হয়েছে।

তিনি বলেন, দেশে তাপমাত্রা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিনই হিটস্ট্রোকে কোথাও না কোথাও মানুষ মারা যাচ্ছে। ঢাকা শহরও এর ব্যতিক্রম নয়। এ অবস্থায়ও সাধারণ মানুষকে সহায়তার জন্য জেডআরএফ পানি ও স্যালাইন বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে। কারণ, আমরা রাজনীতি করি সমাজের কল্যাণের জন্য।

তীব্র গরম   মির্জা আব্বাস   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপির ইউটার্ন

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেছেন যে, উপজেলা নির্বাচনটি দলীয় ভিত্তিতে হচ্ছে না। আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীক দিচ্ছেন না। কিন্তু আমাদের অবস্থান হলো খুব সুস্পষ্ট। আমরা এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাব না। এই নির্বাচন কমিশনের অধীনেও কোনো নির্বাচনে যাব না। তার মতে, এই কারণেই বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 

তবে বিএনপির সিদ্ধান্তকে অগ্রাহ্য করে দুই শতাধিক বিএনপির প্রার্থী এখন নির্বাচনের মাঠে। প্রথম দফার নির্বাচনে বিএনপির ৬৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তাদেরকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে বলা হলেও শেষ পর্যন্ত ৪ জন ছাড়া কেউই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা অত্যন্ত সংহত বলেও জানা গেছে। আর এ কারণেই বিএনপি ইউটার্ন নিয়েছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত ছিলো যে, যারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হবেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কিন্তু মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনের পরেও বিএনপির পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কারও বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। বিএনপি এক্ষেত্রে অপেক্ষার নীতি গ্রহণ করেছে বলেই দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানিয়েছে।

তবে বিএনপির একজন সিনিয়র নেতা বলছেন যে, বিএনপি পুরো পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং উপযুক্ত সময় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ব্যাপারে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলেও ওই নেতা অভিমত ত্যক্ত করেছেন। 

বিএনপির আশা ছিলো স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্তের পর দ্বিতীয় এবং তৃতীয় দফায় হয়তো বিএনপির নেতারা নির্বাচনে প্রার্থী হবেন না। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে তার বিপরীত। প্রথম দফার চেয়ে দ্বিতীয় দফায় বিএনপির প্রার্থীর সংখ্যা বেশি এবং তৃতীয় দফাতেও আনুপাতিক হারে প্রার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। এর কারণ হিসেবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, যে সমস্ত এলাকায় বিএনপির জনপ্রিয়তা বেশি এবং যে সমস্ত এলাকায় নেতারা যত বেশি জনবান্ধব তারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন। কারণ তারা মনে করছেন, সংগঠন রক্ষা করা এবং নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য এই নির্বাচনে অংশগ্রহণের কোনো বিকল্প নেই। আর এ কারণেই তারা দলীয় সিদ্ধান্তকে এখন তোয়াক্কা করছে না। 

অন্যদিকে বিএনপির শীর্ষ নেতারা অনুধাবন করছেন যে, উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্তটা অত্যন্ত কঠোর হয়েছে, আত্মঘাতী হয়েছে এবং এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা বিএনপির জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জিং হবে। বিশেষ করে কোন কোন উপজেলায় যদি বহিষ্কার করা হয় তাহলে ওই এলাকাটি বিএনপি শূন্য হয়ে যাবে। এ কারণেই বিএনপি এখন তাদের সিদ্ধান্তকে পুনঃমূল্যায়ন করছে। কেউ কেউ বলছেন যে, বিএনপি ইউটার্ন করেছে। তবে শেষ পর্যন্ত বিএনপির সব সিদ্ধান্ত আসে লন্ডন থেকে। বিএনপি নির্বাচনের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কি নেবে তা জানার এখতিয়ার বিএনপির ঢাকার কোন নেতার নেই। লন্ডন থেকে কি বাণী আসে তার অপেক্ষায় আছে বিএনপি।

বিএনপি   উপজেলা নির্বাচন   বহিষ্কার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বেঁচে যাচ্ছেন রাজ্জাক, ফেঁসে যাচ্ছেন শাজাহান খান

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উপজেলা নির্বাচনে কোন্দল বিভক্তি এবং আধিপত্য ঠেকাতে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুনির্দিষ্ট কিছু নির্দেশনা দিয়েছিলেন। এই নির্দেশনার মধ্যে সবচেয়ে বড় নির্দেশনা ছিল মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কয়েক দফা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, নেতাকর্মীদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনা একমাত্র প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ছাড়া কেউই মানেননি। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিষয়টি বরদাস্ত করা হবে না এবং আগামী ৩০ এপ্রিল দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে তার কঠোর মনোভাবের কথা ইতোমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন। এরকম একটি পরিস্থিতিতে আগামী ৩০ এপ্রিল আওয়ামী লীগের যারা সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। আর এরকম ব্যবস্থা যদি শেষ পর্যন্ত নেওয়া হয়, তাহলে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান বড় ধরনের ঝুঁকিতে পড়তে যাচ্ছেন। গতকাল তাকে এ ব্যাপারে ইঙ্গিতও দিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে শাজাহান খানকে ভর্ৎসনা করেছেন বলেও গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা গেছে।

অন্যদিকে ড. রাজ্জাক তার খালাতো ভাইকে প্রার্থী করলেও এই যাত্রায় তিনি বেঁচে যাচ্ছেন। কারণ আওয়ামী লীগ আত্মীয়স্বজনদের ব্যাপারে যে নীতিমালা গ্রহণ করেছে তাতে বলা হচ্ছে যে, যদি কোন স্বজন আগে উপজেলা চেয়ারম্যান থাকেন তবে তার প্রার্থী হতে কোনও অসুবিধা নেই। আগে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে ছিলেন ড. রাজ্জাকের খালাতো ভাই। কাজেই এবার তিনি প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতি নীতির আওতায় পড়বেন না। আর এ কারণেই তার বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না বলেও জানা গেছে।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেছেন, যে সমস্ত প্রার্থীরা আগে থেকেই উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন তারা এবার প্রার্থী হবেন। এমনকি তারা কোন নেতার স্বজন হলেও প্রার্থী হতে অসুবিধা নেই। এই বিবেচনায় ড. রাজ্জাক এ যাত্রায় বেঁচে যাচ্ছেন।

তবে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতারা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়গুলোকে ইতিবাচক ভাবে নেননি। হয়তো তিনি সরাসরি শাস্তির হাত থেকে বাঁচবেন, তবে তার রাজনৈতিক ভবিষ্যত এই সিদ্ধান্তে কতটা উজ্জ্বল হবে সেটি সময়ই বলে দেবে।

ড. আব্দুর রাজ্জাক   আওয়ামী লীগ   উপজেলা নির্বাচন   শাজাহান খান  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন