নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১৮ অক্টোবর, ২০১৯
আজ শুক্রবার ছুটির দিন। আজকে ১০০জন মানুষকে জিজ্ঞাস করেছি, ছুটির দিন আপনি কিভাবে কাটালেন? এর মধ্যে ৭০ জনই উত্তর দিয়েছেন, শুয়ে বসে কাটালাম। একবার ভাবুনতো বাংলাদেশের কথা যখন আমরা বলি, বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়ক এবং অগ্রযাত্রায় যাচ্ছে তখন এই রাষ্ট্রে এই দেশে বিনোদনের কি ব্যবস্থা আছে?
একটা ছুটির দিনে আপনি যদি পরিকল্পনা করেন বেড়িয়ে কাটাবেন ঘুরে বেড়াবেন। আপনার সন্তানকে নিয়ে ভালো জায়গায় যাবেন। তহলে কি করবেন?
এদেশে সিনেমাহল নেই, যেগুলো আছে তা মৃতপ্রায়। আমরা সম্প্রতি দেখলাম রাজমনী সিনেমাহলও বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশে যে কয়টি সিনেপ্লেক্স আছে সেখানে সব মানুষ, বিশেষ করে মধ্যবিত্তর জন্য সেটা অধরাই থেকে যায়।
আপনি একটি পার্কে যেতে চাইবেন, আমাদের কোন ভালো পার্ক নেই। আমাদের লেকগুলোর যে অবস্থা তা যদি কেউ না দেখেন তাহলে বিশ্বাস করা যাবে না। আপনি গুলশান কিংবা ধানমণ্ডি লেকের কথাই ধরুন, লেকগুলো অপরিচ্ছন্ন এবং এটার পরিবেশ এমন করে রাখা হয়েছে যে সেখানে কোন ভদ্র মানুষ পরিবার নিয়ে গিয়ে কিছুক্ষণ সময় কাটাতে পারবেন না।
বইও সময় কাটানোর একটা ভালো উপায়। কিন্তু আপনি কি বই পড়বেন? আমাদের নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুর পর বাংলাদেশে কথা সাহিত্যে যেমন কোন ভালো লেখকও আসেননি। মানুষ এখন আর বইয়ের দিকে তাকিয়ে থাকে না।
আপনার সন্তানটিকে নিরাপত্তর জন্য আপনি মাঠে পাঠাতে পারছেন না। আপনি তার হাতে তুলে দিচ্ছেন ল্যাপটপ কম্পিউটার বা ট্যাব। আপনি নিজে যখন বিনোদনের কথা ভাববেন তখন আপনি দুদন্ড মুক্ত আকাশ খুঁজে পাবেন না। মুক্ত বাতাস পাবেন না। আমাদের দেশের বায়ুর মান, বিশেষ করে ঢাকা শহরের বায়ুর মানের কি অবস্থা তা তো আমরা সবাই জানি। এরকম বিনোদন শুন্য একটি শহরে আপনার কি দম বন্ধ হয়ে যায় না?
বিস্তারিত আলোচনা দেখুন ভিডিতে...
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন ড. আব্দুর রাজ্জাক শাহজাহান খান
মন্তব্য করুন
ইরান-ইসরায়েল শেখ হাসিনা শান্তির দূত জো বাইডেন ইরান
মন্তব্য করুন
আব্দুর রহমান জাহাঙ্গীর কবির নানক ড. হাছান মাহমুদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকে ধ্বংসের সহজ উপায় কি? এক কথায় এর উত্তর হলো রাজনীতি শূণ্য করা। গণতন্ত্রে রাজনীতি হলো রক্ত সঞ্চালনের মতো। একটি দেহে স্বাভাবিক রক্ত প্রবাহ বন্ধ হলে, মৃত্যু অনিবার্য। তেমনি গণতন্ত্রের মৃত্যু হয় বিরাজনীতিকরণে। বাংলাদেশে বিরাজনীতিকরণে চেষ্টা চলছে বহুদিন থেকে। কিন্তু এখন সবাই মিলে আনুষ্ঠানিক ভাবে দেশকে রাজনীতিহীন করার উৎসবে মেতেছে। রাজনীতি হত্যার উৎসব চলছে দেশে। দেশে এখন কোন রাজনীতি নেই। রাজনৈতিক কর্মসূচী নিয়ে জনগণের হৃদয় জয়ের চেষ্টা নেই। আছে শুধু ‘ব্লেইম গেম’। আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির পাল্টাপাল্টি গালাগালি। কুৎসিত, কদর্য কথার খিস্তি।
দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে শেষ পর্যন্ত যদি স্বজনদেরকে প্রার্থী করেন তাহলে দলের পদ হারাতে পারেন আওয়ামী লীগের দুই প্রেসিডিয়াম সদস্য। গতকাল আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে এ রকম বার্তা দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সাথে দলে বিশৃঙ্খলা এবং ভাই, ভাতিজা, শ্যালক, মামাদেরকে নির্বাচনে প্রার্থী করার তীব্র সমালোচনা করেন। এ ব্যাপারে তিনি কঠোর মনোভাব ব্যক্ত করেন।
ইরান-ইসরায়েল ইস্যু ক্রমশ উত্তপ্ত হচ্ছে। তৈরি হয়েছে যুদ্ধ পরিস্থিতি। ইরান যে কোন সময় ইসরায়েল হামলা করতে পারে। এমন একটি পরিস্থিতিতে সারা বিশ্ব উৎকণ্ঠিত। এক অস্থির যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে পুরো মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে। ইতোমধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো জানিয়েছে, ইরানের আক্রমণের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের ভূখণ্ড তারা ব্যবহার করতে দেবে না। সব কিছু মিলিয়ে একটি বিভাজন এবং বৈরি পরিবেশ তৈরি হয়েছে। সবচেয়ে অবাক করার ব্যাপার হলো এই বৈরি পরিবেশে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য একজন উদার নৈতিক নেতা নেই যিনি এই পরিস্থিতিতে সকল পক্ষকে আস্থায় নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। আর এরকম শূন্যতার মধ্যে শেখ হাসিনাই হতে পারেন আলোকবর্তিকা।
আওয়ামী লীগে নীরবে নিভৃতে পালাবদল ঘটছে। এক সময় আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতা মানে ছিলেন আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, মোহাম্মদ নাসিম, শেখ সেলিম, মতিয়া চৌধুরী। এখন তাদের অধ্যায় আস্তে আস্তে যবনিকা ঘটেছে। শারীরিক ভাবে তারা অনেকেই অসুস্থ। অনেকে এখন রাজনীতিতে অপাঙ্ক্তেয় হয়ে গেছেন। বরং একটি নতুন প্রজন্মকে আওয়ামী লীগ সভাপতি সামনে নিয়ে আসছেন। তাদেরকে নীতি নির্ধারক হিসেবে জায়গা করে দিচ্ছেন। আওয়ামী লীগের এই পালাবদলটি শেখ হাসিনার দূরদর্শী রাজনীতির একটি অংশ বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
বাংলাদেশে এখন সংবাদপত্রের লোডশেডিং চলছে। গত বুধবার থেকে সংবাদপত্র বের হচ্ছে না। টানা ৬ দিন সংবাদপত্র বন্ধের বিশ্ব রেকর্ড করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। না কোন প্রতিবাদে নয়, দাবী আদায়ের জন্য নয়। ছুটির ফাঁদে সংবাদপত্র বন্ধ আছে। সংবাদপত্রকে বলা হয় জরুরী সেবা। চিকিৎসক, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা যেমন জরুরী সেবা দেন, তেমনি সংবাদকর্মীদের কাজও হলো দেশের মানুষকে সার্বক্ষণিকভাবে সঠিক, বস্তুনিষ্ঠ তথ্য দেয়া। বিশেষ করে ছুটির সময় এটার প্রয়োজন আরো বেশী। এবার দেশে একটা দীর্ঘ ছুটি। এসময় সংবাদপত্র অনেক জরুরী। আচ্ছা ভাবুন তো, ছয়দিন যদি হাসপাতালে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হতো, কিংবা আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যদি বলতো ছয়দিন তারা দায়িত্ব পালন করবে না। তাহলে কি হতো? আমিতো মনে করি, সংবাদপত্র বন্ধ রাখার বিষয়টিও তেমনি আঁতকে ওঠার মতো। কিন্তু সংবাদপত্রের মালিকদের এনিয়ে বিকার নেই।