নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৫৯ পিএম, ২১ অক্টোবর, ২০১৯
আজ বিকেলে হঠাৎ করে একটি খবর আমাদের সবাইকে চমকে দিয়েছে। বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা যারা আমাদেরকে প্রাণ ভরে আনন্দ উপহার দেন, তার আজ ১১ দফা দাবিতে সব ধরণের ক্রিকেট থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রাখার ঘোষণা দিয়েছে। তাদের এই ১১ দফা দাবি যৌক্তিক না যৌক্তিক সেই বিতর্কে আমি যাবো না। কিন্তু এই ঘটনাটি বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য একটি অশনি সংকেত।
আমি জানি না আপনারা আমার সঙ্গে একমত হবেন কিনা, বিভক্তির এই দেশে আমরা যে দু্-একটি বিষয়ে পুরো জাতি ঐক্যবদ্ধ হই তার মধ্যে ক্রিকেট একটি। এই দেশে রাজনীতি বিভক্ত, সাংবাদিকতা বিভক্ত, চিকিৎসকরা বিভিক্ত, এই দেশে আমলারা বিভক্ত, এই দেশে সবাই বিভক্ত। বিভক্তির এই দেশে আমাদেরকে এক সুতোয় গাথে ক্রিকেট। আমাদের ক্রিকেটারা আমাদের অনেকগুলো আনন্দদায়ক মুহূর্ত উপহার দিয়েছে, অনেকগুলো স্বরণীয় মুহূর্ত উপহার দিয়েছে এবং আমাদের ক্রিকেট গৌরব করার অনেক উপলক্ষ দিয়েছে।
সেই ক্রিকেট আজ একটা জটিলতার মধ্যে পড়েছে এবং এই ক্রিকেটের ভবিষৎ নিয়ে নানা রকম জল্পনা-কল্পনা চলছে। আমাদের ক্রিকেট কি আবার জিম্বাবুয়ে কিংবা কেনিয়ার মতো অবস্থায় চলে যাবে? আমাদের ক্রিকেটে একটা দু:সময় সামনে আসছে? বা আমাদের ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ কি? এনিয়ে সাধারণ মানুষ উদ্বিগ্ন।
আমাদের এ কথা স্বীকার করতেই হবে, আমাদের ক্রিকেটে একটা স্বর্ণযুগ ছিল। আমরা মাশরাফি বিন মর্তুজা, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিমসহ অনেক আন্তর্জাতিক মানের খেলোয়ারকে একসঙ্গে পেয়েছিলাম। যে জন্য বাংলাদেশ আজ ক্রিকেট বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাড়ানো একটা দেশের নাম? কিন্তু যেকোন একটা দেশের ক্রিকেটকে বা যেকোন একটা দেশের খেলাধুলাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যেমন ভালো খেলোয়ার দরকার হয় না। ভালো সংগঠক ও গার্ডিয়ানও দরকার হয়। সেরকম গার্ডিয়ান যদি না থাকে তাহলে যেকোন কিছুই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। বিভিন্ন দেশে এমন উদাহরণ রয়েছে।
বিস্তারিত আলোচনা দেখুন ভিডিওতে…
ইউটিউবে ভিডিওটি দেখতে ক্লিক করুন...পর্যবেক্ষণ: পাপন; ক্রিকেটের জন্য ক্ষতিকারক?
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
ইরান-ইসরায়েল শেখ হাসিনা শান্তির দূত জো বাইডেন ইরান
মন্তব্য করুন
আব্দুর রহমান জাহাঙ্গীর কবির নানক ড. হাছান মাহমুদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ইরান-ইসরায়েল ইস্যু ক্রমশ উত্তপ্ত হচ্ছে। তৈরি হয়েছে যুদ্ধ পরিস্থিতি। ইরান যে কোন সময় ইসরায়েল হামলা করতে পারে। এমন একটি পরিস্থিতিতে সারা বিশ্ব উৎকণ্ঠিত। এক অস্থির যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে পুরো মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে। ইতোমধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো জানিয়েছে, ইরানের আক্রমণের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের ভূখণ্ড তারা ব্যবহার করতে দেবে না। সব কিছু মিলিয়ে একটি বিভাজন এবং বৈরি পরিবেশ তৈরি হয়েছে। সবচেয়ে অবাক করার ব্যাপার হলো এই বৈরি পরিবেশে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য একজন উদার নৈতিক নেতা নেই যিনি এই পরিস্থিতিতে সকল পক্ষকে আস্থায় নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। আর এরকম শূন্যতার মধ্যে শেখ হাসিনাই হতে পারেন আলোকবর্তিকা।
আওয়ামী লীগে নীরবে নিভৃতে পালাবদল ঘটছে। এক সময় আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতা মানে ছিলেন আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, মোহাম্মদ নাসিম, শেখ সেলিম, মতিয়া চৌধুরী। এখন তাদের অধ্যায় আস্তে আস্তে যবনিকা ঘটেছে। শারীরিক ভাবে তারা অনেকেই অসুস্থ। অনেকে এখন রাজনীতিতে অপাঙ্ক্তেয় হয়ে গেছেন। বরং একটি নতুন প্রজন্মকে আওয়ামী লীগ সভাপতি সামনে নিয়ে আসছেন। তাদেরকে নীতি নির্ধারক হিসেবে জায়গা করে দিচ্ছেন। আওয়ামী লীগের এই পালাবদলটি শেখ হাসিনার দূরদর্শী রাজনীতির একটি অংশ বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
বাংলাদেশে এখন সংবাদপত্রের লোডশেডিং চলছে। গত বুধবার থেকে সংবাদপত্র বের হচ্ছে না। টানা ৬ দিন সংবাদপত্র বন্ধের বিশ্ব রেকর্ড করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। না কোন প্রতিবাদে নয়, দাবী আদায়ের জন্য নয়। ছুটির ফাঁদে সংবাদপত্র বন্ধ আছে। সংবাদপত্রকে বলা হয় জরুরী সেবা। চিকিৎসক, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা যেমন জরুরী সেবা দেন, তেমনি সংবাদকর্মীদের কাজও হলো দেশের মানুষকে সার্বক্ষণিকভাবে সঠিক, বস্তুনিষ্ঠ তথ্য দেয়া। বিশেষ করে ছুটির সময় এটার প্রয়োজন আরো বেশী। এবার দেশে একটা দীর্ঘ ছুটি। এসময় সংবাদপত্র অনেক জরুরী। আচ্ছা ভাবুন তো, ছয়দিন যদি হাসপাতালে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হতো, কিংবা আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যদি বলতো ছয়দিন তারা দায়িত্ব পালন করবে না। তাহলে কি হতো? আমিতো মনে করি, সংবাদপত্র বন্ধ রাখার বিষয়টিও তেমনি আঁতকে ওঠার মতো। কিন্তু সংবাদপত্রের মালিকদের এনিয়ে বিকার নেই।
প্রথম তিন মাস বর্তমান সরকারের জন্য ছিল অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। বিশেষ করে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে বিরোধী দল অংশগ্রহণ না করার ফলে এই নির্বাচন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে কতটুকু গ্রহণযোগ্য হয়, নির্বাচনের পর কী ধরনের প্রভাব এবং প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় সেটি ছিল সকলের কাছে একটি দেখার বিষয়। তবে সরকার প্রথম তিন মাসে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সংকট গুলোকে ভালোভাবেই মোকাবেলা করতে পেরেছি। এখন পর্যন্ত সরকারের চেষ্টা নিয়ে সাধারণ মানুষের কোন রকম অভিযোগ নেই।
তোফায়েল আহমেদ কি রাজনীতিতে এক অস্তমিত সূর্য? তিনি কি নিভে যাচ্ছেন? বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে তিনি কি নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে অবসরে চলে যাচ্ছেন—এমন প্রশ্নগুলো এখন খুব বড় করে সামনে এসেছে। কারণ সাম্প্রতিক সময়ে যারা তোফায়েল আহমেদকে দেখেছেন তারা আগের তোফায়েল আহমেদের ছায়াকেও দেখতে পারেননি। যে তোফায়েল আহমেদ ছিল সরব, যার ভরাট কণ্ঠস্বরে জাতীয় সংসদ প্রকম্পিত হত, যিনি সবসময় সবাইকে চমকে দিতেন বিভিন্ন দিন তারিখের হিসেব মুখস্থ বলে দিয়ে, যার সবসময় শত শত টেলিফোন নম্বর, বাড়ির ঠিকানা মুখস্থ থাকত, যা স্মৃতিশক্তি নিয়ে সকলে প্রশংসা করত, রাজনীতিতে যিনি একজন যুবরাজের মত পদচারণা করতেন, নানা রকম বিতর্কের পরও তিনি স্বমহিমায় উজ্জ্বল ছিলেন সেই তোফায়েল আহমেদ এখন কোথায়?