প্রেস ইনসাইড

মাসের প্রথম ৭ দিনের মধ্যে গণমাধ্যমকর্মীর বেতন দিতে হবে, সংসদে বিল

প্রকাশ: ০৭:১৭ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২২


Thumbnail মাসের প্রথম ৭ দিনের মধ্যে গণমাধ্যমকর্মীর বেতন দিতে হবে, সংসদে বিল

মাসের প্রথম সাত কর্মদিবসের মধ্যে বেতন পরিশোধ করার বিধান রেখে ‘গণমাধ্যমকর্মী (চাকরির শর্তাবলি) বিল-২০২২’ সংসদে তোলা হয়েছে। বিলে বলা হয়েছে, কোনো গণমাধ্যমকর্মীর বেতনকাল এক মাসের বেশি হবে না। পরবর্তী মাসের সাত কর্মদিবসের মধ্যে বেতন পরিশোধ করতে হবে।

আজ সোমবার (২৮ মার্চ) তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন। এরপর তা ৬০ দিনের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য পাঠানো হয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে।

এই বিলে বলা হয়, প্রতি পাঁচ বছর পরপর গণমাধ্যমকর্মীদের ন্যূনতম ওয়েজ বোর্ড গঠন হবে। ওয়েজ বোর্ড সংবাদপত্র, সংবাদ সংস্থা, বেসরকারি টেলিভিশন, বেতার ও নিবন্ধিত অনলাইন মাধ্যমের জন্য প্রয়োজনে পৃথক পৃথক বেতন কাঠামো নির্ধারণ করবে। 

আগে শুধু সংবাদপত্র ও সংবাদ সংস্থার জন্য এই ওয়েজ বোর্ড গঠন করা হতো। এদিকে তিন বছর পরপর ১৫ দিনের শ্রান্তি বিনোদন ছুটির কথাও বলা হয়েছে বিলে।

বিলে আরও বলা হয়, গণমাধ্যমে পূর্ণকালীন কর্মরত সাংবাদিক, কর্মচারী এবং নিবন্ধিত সংবাদপত্রের মালিকানাধীন ছাপাখানাসহ নিবন্ধিত অনলাইন গণমাধ্যমে বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত কর্মীদের ‘গণমাধ্যমকর্মী’ বলা হবে।

গণমাধ্যমকর্মীদের তিনটি বিভাগ করা হয়েছে এই বিলে। সেগুলো হলো- অস্থায়ী বা সাময়িক, শিক্ষানবিশ এবং স্থায়ী।

বিলে বলা হয়েছে, গণমাধ্যমকর্মীকে সপ্তাহে অন্যূন ৪৮ ঘণ্টা কাজ করতে হবে। এর বেশি কাজ করাতে চাইলে অধিকাল (ওভার টাইম) ভাতা দিতে হবে।

উল্লেখ্য, আগে গণমাধ্যম কর্মীরা চলতেন ‘দ্য নিউজপেপার এমপ্লয়িজ (চাকরির শর্তাবলী) আইন- ১৯৭৪’ এর আওতায়। এর সঙ্গে শ্রম আইনের কিছু বিষয় সাংঘর্ষিক হচ্ছিলো। পরে সাংবাদিকদের শ্রম আইনের আওতায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং তাদের সংজ্ঞায়িত করা হয় শ্রমিক হিসেবে। এই বিল পাস হলে গণমাধ্যমকর্মীরা আর শ্রমিক থাকবেন না, তাদের গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে অভিহিত করা হবে।

দ্য নিউজপেপার এমপ্লয়িজ (চাকরির শর্তাবলী) আইনে সাংবাদিক, প্রেস শ্রমিক ও প্রেস কর্মচারীদের চাকরির শর্ত, আর্থিক বিষয় ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নির্ধারণ করা ছিল। সরকার ওই আইনকে বাতিল করে সব শ্রমিকের জন্য ২০০৬ সালে ‘শ্রম আইন’ প্রণয়ন করে, যাতে সাংবাদিক, প্রেস শ্রমিক ও প্রেস কর্মচারীদের বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

২০১৮ সালে বিলটির নীতিগত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। প্রস্তাবিত এই আইনে বলা হয়েছে, একজন গণমাধ্যমকর্মী বছরে ১৫ দিন নৈমিত্তিক ছুটি পাবেন। এছাড়া প্রতি ১১ দিনে পাবেন একদিন অর্জিত ছুটি। এই ছুটি ভোগ না করলে তা জমা থাকবে এবং চাকরি শেষে সর্বোচ্চ ১০০ দিন নগদায়নের সুবিধা পাবেন।

চিকিৎসকের প্রত্যয়ন সাপেক্ষে একজন গণমাধ্যমকর্মী চাকরির মেয়াদের অন্যূন ১৮ ভাগের এক ভাগ অংশ সময় পূর্ণ বেতনে অসুস্থজনিত ছুটি পাবেন।

বিলে বলা আছে, কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে, একজন গণমাধ্যমকর্মী পূর্ণ বেতনে এককালীন বা একাধিকবার অনূর্ধ্ব ১০ দিন পর্যন্ত উৎসব ছুটি ভোগ করতে পারবেন। আর উৎসবের দিনে কাজ করালে, প্রতি কার্যদিনের জন্য দুইদিনের মূল বেতন বা দুইদিনের বিকল্প ছুটি মঞ্জুর করতে হবে।

এক বছর চাকরির পর, ভবিষ্যৎ তহবিলে কর্মী ও মালিকের আট থেকে ১০ শতাংশ চাঁদার কথা বিলে বলা হয়েছে।

বিলে প্রতি প্রতিষ্ঠানে গণমাধ্যম কর্মী ও মালিকের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য ‘গণমাধ্যম কর্মী কল্যাণ সমিতি’ গঠন করার বিধান রাখা হয়েছে।

প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, সরকার এক বা একাধিক বিভাগীয় এলাকার জন্য গণমাধ্যম আদালত স্থাপন করতে পারবে।

এই আদালতে একজন চেয়ারম্যান এবং দুই সদস্য থাকবে। কর্মরত জেলা জজদের মধ্যে একজন চেয়ারম্যান হবেন। দুই সদস্যের একজন গণমাধ্যম মালিক হবেন আরেকজন গণমাধ্যমকর্মী।

প্রস্তাবিত আইনে বলা আছে, গণমাধ্যম আদালত ফৌজদারি কার্যবিধিতে বর্ণিত সংক্ষিপ্ত বিচার পদ্ধতি অনুসরণ করবে। প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের ওপর ন্যস্ত সব ক্ষমতা গণমাধ্যম আদালতেরও থাকবে।

বিলে গণমাধ্যম আপিল আদালতেরও বিধান রাখা হয়েছে। এর চেয়ারম্যান হবেন হাইকোর্ট বিভাগে কর্মরত বা অবসরপ্রাপ্ত একজন বিচারক অথবা অতিরিক্ত বিচারক। চেয়ারম্যানকে পরামর্শ দেওয়ার জন্য সরকার এক বা একাধিক সদস্য নিয়োগ করতে পারবেন বলে বিলে বিধান রাখা হয়েছে। সদস্যরা হবেন তিন বছর কর্মরত আছেন বা ছিলেন এমন জেলা জজদের মধ্য থেকে।

বিলে আরও বলা হয়েছে, গণমাধ্যম আদালতের আদেশ পালন করতে অস্বীকার করলে বা ব্যর্থ হলে তিন মাসের জেল বা অনূর্ধ্ব পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা হবে।

কোনো গণমাধ্যম মালিক নারী কর্মীকে প্রসূতি কল্যাণ সুবিধা না দিলে সেই মালিককে ২৫ হাজার টাকা দণ্ড দেওয়া হবে বলে বিলে বলা হয়েছে।

ন্যূনতম বেতন হারের কম বেতন দিলে এক বছরের জেল বা পাঁচ বছরের জেলের বিধান রাখা হয়েছে। আর কোনো গণমাধ্যমকর্মী আদালতে মিথ্যা বিবৃতি দিলে তার ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তিন মাসের জেল হবে।

অপরদিকে গণমাধ্যম মালিক মিথ্যা বিবৃতি হলে অনূর্ধ্ব পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা তিন মাসের কারাদণ্ড হবে। মালিকের পক্ষ থেকে অন্যায় আচরণ হলে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাসের জেল হবে।

বিলে বলা হয়েছে, এক বছর চাকরিরত অবস্থায় কোনো গণমাধ্যমকর্মী মারা গেলে মৃতের মনোনীত ব্যক্তি বা তার উত্তরাধিকারীকে কর্মীর প্রত্যেক পূর্ণ বছর বা ছয় মাসের অধিক সময় চাকরির জন্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৩০ দিনের এবং কর্মরত বা কর্মকালীন দুর্ঘটনার কারণে ৪৫ দিনের বেতন দিতে হবে।

বিলে আরও বলা হয়েছে, কোনো গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত কর্মী ছাঁটাই করতে চাইলে সরকারকে দ্রুত লিখিতভাবে জানাতে হবে। ছাঁটাই করতে হলে কর্মীকে এক মাসের লিখিত নোটিশ, অথবা এক মাসের মূল বেতন দিতে হবে। এছাড়া ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রতি বছর চাকরির জন্য ৩০ দিনের মূল বেতন দিতে হবে।

এছাড়া কোনো স্থায়ী গণমাধ্যমকর্মী ৩০ দিনের নোটিশ এবং অস্থায়ী কর্মী ১৫ দিনের নোটিশে চাকরি থেকে ইস্তফা দিতে পারবেন।

তথ্যমন্ত্রী   জাতীয় সংসদ   গণমাধ্যম  


মন্তব্য করুন


প্রেস ইনসাইড

ডিআইইউতে সাংবাদিকতা করার দায়ে ১০ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

প্রকাশ: ০৪:০৪ পিএম, ১৪ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে সাংবাদিকতা করায় সাংবাদিক সমিতির (ডিআইইউসাস) ১০ সাংবাদিককে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বুধবার (১৩ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রক্টর অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন ও রেজিস্ট্রার (ইনচার্জ) মো. আবু তারেক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ বহিষ্কারাদেশ দেওয়া হয়। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে দেশের বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতা সহ ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সাংবাদিক সমিতি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির নাম ব্যবহার করে কিছুসংখ্যক ছাত্র সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে একটি সমিতি চালাচ্ছেন। ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে এ ধরনের কোনো সাংবাদিক সমিতি নেই। ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ এ ধরনের সাংবাদিক সমিতিকে কোনো স্বীকৃতি প্রদান করেনি। এবিষয়ে গত ৫ মার্চ একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, উক্ত সাংবাদিক সমিতি ইউনিভার্সিটির অনুমতি না নিয়ে ক্যাম্পাসের শ্রেণীকক্ষ ব্যবহার করে গত ৯ মার্চ একটি সাধারণ সভার আয়োজন করে। এছাড়া, ১০ মার্চ ২০২৪-২৫ সালের কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মবহির্ভূত।

এরপর ১৩ মার্চ বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান, উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার (ইনচার্জ), প্রক্টর এবং সব বিভাগীয় প্রধানের সমন্বয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে উক্ত সাংবাদিক সমিতির সংশ্লিষ্ট সদস্যকে কেন বহিষ্কার করা হবে না এই মর্মে কারণ দর্শানো; একইসঙ্গে তাদের সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সাময়িক বহিষ্কৃতরা হলেন, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি কালাম মুহাম্মদ (এশিয়ান টিভি), সাধারণ সম্পাদক রেজোয়ানুল হক (একুশে সংবাদ), সহ সভাপতি সাদিয়া তানজিলা সানভি (দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাওছার আলী (রাইজিংবিডি), সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ (দৈনিক ভোরের ডাক), দপ্তর, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. রাকিবুল ইসলাম (দৈনিক আমার সংবাদ/ক্যাম্পাস টাইমস), কোষাধ্যক্ষ জাকারিয়া হুসাইন (বার্তা বিচিত্রা) ও কার্যনির্বাহী সদস্য সম্রাট (প্রিয়দেশ২৪), ইসমাম হোসেন (দৈনিক স্বদেশ প্রতিদিন) ও মুছা মল্লিক (ঢাকা পোস্ট)।

এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রক্টর অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেনকে ফোন করলে তিনি ফোন ধরেননি। এছাড়া রেজিস্ট্রার আবু তারেকের নম্বরে ফোন করলেও নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।

এর আগে গত ১০ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনের ৩০৯ নং কক্ষে ভোট গ্রহণ শেষে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সাংবাদিক সমিতির (ডিআইইউসাস) ২০২৪-২৫ বছরের নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়। নির্বাচন শেষে ফল ঘোষণা করেন ডিআইইউসাস’র উপদেষ্টা ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার সামছুল আলম সাদ্দাম। এতে এশিয়ান টেলিভিশনের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি কালাম মুহাম্মদকে সভাপতি ও একুশে সংবাদের প্রতিনিধি রেজোয়ানুল হককে সাধারণ সম্পাদক করে নয় সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়।


ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি   ক্যাম্পাস   সাংবাদিকতা   ডিআইইউ  


মন্তব্য করুন


প্রেস ইনসাইড

ডিইউজে নির্বাচন: সভাপতি তপু-সোহেল, সম্পাদক আকতার

প্রকাশ: ১০:০৯ পিএম, ১১ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে আগামী দুই বছরের জন্য সভাপতি পদে সমান ভোট পেয়েছেন সাজ্জাদ আলম খান তপু ও সোহেল হায়দার চৌধুরী। তারা দু’জনই পেয়েছেন ৮১২ ভোট করে। তবে এই পদে কে নির্বাচিত হচ্ছেন সে বিষয়ে দুই প্রার্থীর সঙ্গে বসে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত জানাবে নির্বাচন কমিশন।

সাধারণ সম্পাদক পদে আক্তার হোসেন ৬৩৭ ভোট পেয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিজয়ী হয়েছেন। আর সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন নজরুল ইসলাম মিঠু।

সোমবার (১১ মার্চ) রাতে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান ইউএনবির সম্পাদক ফরিদ হোসেন এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

এর আগে সকাল ৯টা থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাব অডিটোরিয়ামে বিরতিহীনভাবে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। রাত সোয়া ৯টায় ভোটের ফল ঘোষণা করা হয়।

এবার নির্বাচনে সভাপতি পদে ছিলেন আবদুল মজিদ, সাজ্জাদ আলম খান তপু ও সোহেল হায়দার চৌধুরী। আর সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলেন আকতার হোসেন, উম্মুল ওয়ারা সুইটি, এ জিহাদুর রহমান জিহাদ ও খায়রুল আলম।

সিনিয়র সহসভাপতি পদে ছিলেন আশরাফুল ইসলাম, আসলাম সানী, নজরুল ইসলাম মিঠু ও হামিদ মোহাম্মদ জসিম।

সহসভাপতি পদে ছিলেন ইব্রাহিম খলিল খোকন, বাঁধন কুমার সরকার, মো. রেজাউর রহিম, রফিকুল ইসলাম সুজন ও সিদ্ধার্থ শঙ্কর ধর।

যুগ্ম সম্পাদক পদে পদে ছিলেন আছাদুজ্জামান, এস এম সাইফ আলী, জাকির হোসেন ইমন, ফজলুল হক বাবু, ফরিদ উদ্দিন সিদ্দিকী ও মো. শাহজাহান মিঞা। কোষাধ্যক্ষ পদের জন্য লড়ছেন- মীর আফরোজ জামান, রেজাউল কারীম, সাকিলা পারভীন ও সোহেলী চৌধুরী।

সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ছিলেন গোলাম মুজতবা ধ্রুব, জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও রাজু হামিদ। আইন বিষয়ক সম্পাদক পদে আসাদুর রহমান, মাসুম আহাম্মদ ও রবিউল হক। প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে আমানউল্লাহ আমান, এম শাহজাহান সাজু ও মুহাম্মদ মামুন শেখ।

দপ্তর সম্পাদক পদে ছিলেন আইরিন নিয়াজি মান্না, এ কে এম ওবায়দুর রহমান ও জান্নাতুল ফেরদৌস চৌধুরী। কল্যাণ সম্পাদক পদে আনোয়ার হোসেন, রেহানা পারভীন ও শাহজাহান স্বপন। ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে ইস্রাফিল হাওলাদার, এস এম বাবুল হোসেন, দুলাল খান ও মো. আসাদুজ্জামান (লিমন আহমেদ)। নারী বিষয়ক সম্পাদক পদে ছিলেন দীপা ঘোষ রীতা, সুমি খান ও সুরাইয়া অনু।

নির্বাহী পরিষদ সদস্য হিসেবে ৮টি পদের জন্য লড়েছেন, অনজন রহমান, আতাউর রহমান জুয়েল, আনোয়ার সাদাত সবুজ, আনোয়ার হোসেন আকাশ, আহমেদ মুশফিকা নাজনীন, এ এম শাহজাহান মিয়া, এম এ রহিম রনো, এম জহিরুল ইসলাম, এস এম মোশাররফ হোসেন, জি এম মাসুদ ঢালী, নাঈম মাশরেকী, নাসরিন বেগম গীতি, মহিউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী হিমেল, মো. কিরণ মোস্তফা, মো. মেহেদী জামান, মো. শাহীন আলম, মো. সাজেদুল ইসলাম রাজু, মোহাম্মদ খসরু নোমান, রাগেবুল রেজা, রারজানা সুলতানা, শহিদুল ইসলাম স্বপন, শাহিদুর রহমান শাহিদ, সাজেদা হক, সাজ্জাদ হোসেন চিশতী এবং সালাম মাহমুদ।

ডিইউজে নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


প্রেস ইনসাইড

প্রেস সচিব ইহসানুল করিমের মৃত্যুতে বাংলা ইনসাইডারের শোক

প্রকাশ: ০৯:২২ পিএম, ১০ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম হেলালের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছে অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ইনসাইডার। একই সঙ্গে তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছে।

হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, কিডনিসহ নানা জটিলতায় আক্রান্ত ইহসানুল করিম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। রোববার সন্ধ্যায় সেখানেই তার মৃত্যু হয় বলে পরিবারের সদস্যরা জানান।

ইহসানুল করিম হেলালের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে সিনিয়র সাংবাদিক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা বলেন, আমি খুব মর্মাহত  কারণ হেলাল ভাইয়ের সাথে আমার সম্পর্ক একেবারেই পেশাগত। উনি এক সময় বাসস-এ কাজ করতেন, আমি তখন একটি ইংরেজি পত্রিকায় কাজ করতাম। উনার চাচা ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব। নানা সময় উনার সাথে আমি কাজ করেছি। বিশেষ করে দীর্ঘদিন আমরা এক সঙ্গে সংসদ কভার করেছি। 

তিনি আরও বলেন, হেলাল ভাই একজন খুবই পেশাদার সাংবাদিক ছিলেন। তিনি একই সাথে ভালো বাংলা এবং ভালো ইংরেজি জানতেন। তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা। হেলাল ভাই সিনিয়র ছিলেন। আমরা যখন সংসদ কভার করতাম তখন সংসদের যাবতীয় বিষয়াদি আমরা তার কাছ থেকে শিখেছি। আবার তিনি যখন সরকারি দায়িত্বে গেলেন তখনও তিনি তার পেশাদারিত্বের জায়গা ভুলে যাননি। আমাদের সাংবাদিকদের যথেষ্ট সুযোগ দেওয়া চেষ্টা করতেন।

উল্লেখ্য, জাতীয় বার্তা সংস্থা বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক ইহসানুল করিম ২০১৫ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তার আগে ছিলেন রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব।

প্রেস সচিব ইহসানুল করিম   বাংলা ইনসাইডার  


মন্তব্য করুন


প্রেস ইনসাইড

নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আবু বক্কর, সম্পাদক বেলায়েত হোসেন

প্রকাশ: ০৩:৪৭ পিএম, ২৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটি-২০২৪-এর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতি পদে আবু বক্কর সিদ্দিক ও সাধারণ সম্পাদক পদে বেলায়েত হোসেন নির্বাচিত হয়েছেন।  বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

সভাপতি পদে মাইটিভি ও দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকার নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি আবু বক্কর সিদ্দিক পেয়েছেন ২১ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে বাংলাভিশন ও দৈনিক মানবকণ্ঠের নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি বেলায়েত হোসেন ২৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

১৫ সদস্যবিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি দুটি নির্বাচিত হয়েছেন দি নিউ নেশন ও খবরপত্র পত্রিকার নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি মীর মোশাররফ হোসেন জুয়েল ও দৈনিক আমার বার্তার নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি সুলতানুল আলম মিলন, যুগ্ন সম্পাদক দুটি পদে নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশ প্রতিদিন ও নিউজ২৪ টিভির নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি বাবুল আখতার রানা ও ডিবিসি টিভির নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি একে সাজু। অর্থ সম্পাদক চ্যানেল২৪ টিভির নিজস্ব প্রতিবেদক হারুনুর রশিদ চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক দৈনিক আলোকিত সকাল পত্রিকার নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি আবু রায়হান রাসেল, প্রচার সম্পাদক পদে নাগরিক টিভির ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকামেইলের নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি সুমন আলী নির্বাচিত হয়েছেন।

কার্যনির্বাহী সদস্য ছয়টি পদে নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) কায়েস উদ্দিন, দৈনিক করোতোয়া নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি নবির উদ্দিন, এনটিভি নিজস্ব প্রতিবেদক 

আসাদুর রহমান জয়, ডেইলি অবজারভার নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি ওবায়দুল হক, প্রথম আলো নওগাঁ জেলার প্রতিনিধি ওমর ফারুক ও দৈনিক জবাবদিহি নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি রাসেল রানা। 

নতুন কমিটি আগামী এক বছরের জন্য দায়িত্ব পালন করবে।


জেলা প্রেস ক্লাব  


মন্তব্য করুন


প্রেস ইনসাইড

ইবি প্রেস ক্লাবের নতুন সভাপতি নাহিদ, সম্পাদক আজাহার

প্রকাশ: ০৬:২৩ পিএম, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) প্রেস ক্লাবের কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন-২০২৪ সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মুনজুরুল ইসলাম নাহিদ (কালের কণ্ঠ) সভাপতি ও একই বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আজাহারুল ইসলাম (দৈনিক জনকণ্ঠ) সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।

সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেস কর্নারে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে তারা নির্বাচিত হয়েছেন। সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সংগঠনের সাবেক সভাপতি একে আজাদ লাভলু ফলাফল ঘোষণা করেন। সহকারী নির্বাচন কমিশনার ছিলেন সংগঠনের সাবেক সভাপতি আলতাফ হোসেন ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক কানন আজিজ।

পরে দুপুর দেড় টায় প্রেস কর্নারে ভিসি অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম আনুষ্ঠানিকভাবে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেন। নবগঠিত কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকসংলগ্ন ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’ ম্যুরালে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন।

ইবি প্রেস ক্লাবের ১৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অন্যরা হলেন- সহ-সভাপতি আদিল সরকার (সময়ের আলো), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিব হোসেন (বাংলাদেশ প্রতিদিন), দপ্তর সম্পাদক নাজমুল হুসাইন (ডিবিসি টেলিভিশন), কোষাধ্যক্ষ আবির হোসেন (একুশে সংবাদ), প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নুর আলম (নয়া শতাব্দী), সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক সাঈফ ইব্রাহিম (সময় জার্নাল) এবং ক্রীড়া সম্পাদক ফরহাদ খাদেম (শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন)।

এছাড়া কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে মনোনীত হয়েছেন, আবু হুরাইরা (প্রতিদিনের সংবাদ), মুতাসিম বিল্লাহ পাপ্পু (সমকাল), আহমাদ গালিব (ঢাকা নিউজ), নজরুল ইসলাম জিসান (প্রতিদিনের চিত্র) ও শাহিন রাজা (বিডি সমাচার)।

নির্বাচন পর্যবেক্ষণ ও ফল ঘোষণা অনুষ্ঠানে ভিসি অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ, শাপলা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রবিউল হোসেন।

এছারাও কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরীন, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচএম আলী হাসান, কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি টিপু সুলতান ও সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিদ হাসানসহ বিভিন্ন বিভাগের সভাপতি, অনুষদের ডিন, শিক্ষক-কর্মকর্তা ও বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)   প্রেস ক্লাব   নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন