প্রেস ইনসাইড

সিডনিতে শোকে, শ্রদ্ধায় এবং গৌরবে আব্দুল গাফফার চৌধুরীকে স্মরণ

প্রকাশ: ১০:৩১ এএম, ০২ সেপ্টেম্বর, ২০২২


Thumbnail সিডনিতে শোকে, শ্রদ্ধায় এবং গৌরবে আব্দুল গাফফার চৌধুরীকে স্মরণ

সিডনি থেকে প্রকাশিত মুক্তমঞ্চ পত্রিকার আয়োজনে গত ২৭ আগস্ট, ২০২২, সন্ধ্যায় শোকে ও শ্রদ্ধায় স্মরণ করা হলো প্রয়াত কিংবদন্তী সাংবাদিক​, মুক্তমঞ্চ পত্রিকার উপদেষ্টা​ আব্দুল গাফফার চৌধুরীকে। উক্ত স্মরণ সভাটিতে যেন এক সাংস্কৃতিক মিলনমেলা বসেছিল সিডনি প্রবাসী সুধীজনদের। আলোচকদের মধ্যে অনেকেই আব্দুল গাফফার চৌধুরীর ঘনিষ্ঠজন ছিলেন। ২০০০ এবং ২০০৫ সালে তিনি অস্ট্রেলিয়ায় এসেছিলেন। 

এই মহাত্মনের স্মরণে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেউ হয়েছেন অশ্রুসজল, কেউ হয়েছেন বাকরুদ্ধ। মুক্তমঞ্চ পত্রিকার সম্পাদক আল নোমান শামীমের সভাপতিত্বে এবং উপন্যাসিক ড. শাখাওয়াৎ নয়নের সঞ্চালনায় আব্দুল গাফফার চৌধুরীর জীবন ও কর্মের বিভিন্ন বিষয়ে অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন শিক্ষাবিদ, কবি এবং রাজনীতিবিদ ড. আবুল হাসনাৎ মিল্টন, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠক নেহাল নেয়ামুল বারী, রাজনীতিবিদ গামা কাদির, কলামিস্ট এবং গল্পকার অজয় দাশগুপ্ত, বঙ্গবন্ধু কাউন্সিলের সভাপতি শেখ শামিমুল হক, প্রশান্তিকা ডট কম এর সম্পাদক আতিকুর রহমান শুভ, শিক্ষাবিদ এবং সাংস্কৃতিক সংগঠক ড. কাইয়ুম পারভেজ, কবিতা পারভেজ, শিক্ষাবিদ এবং রাজনীতিবিদ ড. খায়রুল চৌধুরী, রাজনীতিবিদ প্রবীর মৈত্র, রাজনীতিবিদ শফিকুল আলম, শিল্পী এবং শিক্ষাবিদ ড. পলাশ বসাক, রাজনীতিবিদ সেলিমা বেগম, মোটিভেশনাল স্পিকার পল মধু, সাংস্কৃতিক সংগঠক ড. স্বপন পালসহ অনেক গুণীজন।

অস্ট্রেলিয়া আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ড. আবুল হাসনাৎ মিল্টন বলেন, ‘একটা সময় ছিল যখন বাংলাদেশের রাজনীতি দিশেহারা হয়ে পড়েছিল, সেই দুর্দিনে এই আব্দুল গাফফার চৌধুরী জাতিকে পথ দেখিয়েছেন। ড. কামাল হোসেন প্রসঙ্গে একটা সময় তিনি শেখ হাসিনার সমালোচনা করেছিলেন, তখন অন্যান্য বুদ্ধিজীবিরা তাঁকে আওয়ামীলীগের রাজনীতির বাতিঘর শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা না হারাতে অনুরোধ করেন। তিনি সেই অনুরোধ রেখেছিলেন এবং আমৃত্যু তিনি জাতীয় বিবেকের ভুমিকায় অবিচল থেকেছেন’।

একুশে একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা ও সামাজিক সংগঠক নেহাল নেয়ামুল বারী বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে গাফফার চৌধুরীর অবদান, ভাষা আন্দোলনে অবদান উল্লেখ করে বলেন, এক জাতি একজনই গাফফার চৌধুরীর জন্ম দেয়। শহীদ দিবসের সঙ্গীতসহ গাফফার চৌধুরীর বিভিন্ন সাহিত্য প্রতিভার দিক আলোচনা করেন তিনি।

অত্যন্ত আবেগঘন বক্তব্যে হৃদয়ে দাগ কেটেছেন অজয় দাশগুপ্ত দাদা এবং ড. কাইউম পারভেজ। অজয় দাশগুপ্ত বলেন– “যতদিন এই পৃথিবীতে মাত্র একজন বাঙালি বেঁচে থাকবে ততদিন পর্যন্ত তাঁর লেখা ‘আমার ভায়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কী ভুলিতে পারি’ বেঁচে থাকবে”।

কাইউম পারভেজ স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘একবার আমাকে একজন প্রশ্ন করেছিল– উনি (আব্দুল গাফফার চৌধুরী) তো শুধু একটি গানই লিখে গেছেন, আর কি অবদান আছে? আমি উত্তরে তাকে বলেছিলাম– জি, ওই একটি গানই একটি দেশ স্বাধীন হয়েছে। কে না জানে একাত্তরের এই স্বাধীনতার বীজ রোপিত হয়েছিল ওই ৫২ এর একুশে ফেব্রুয়ারিতেই। আর এই গানটাই ছিল তার প্রধান অস্ত্র, যেটা বাঙালি জাতি মনে রেখেছে’।

কবিতা পারভেজ আবেগ আপ্লুত কন্ঠে বলেন, আসলেই আমরা গাফফার চাচার জীবনকে নিয়ে যখন কথা বলছি, তখন তা উদযাপনই হবে, কেননা, এক জীবনে এতো অর্জন খুব বেশী মানুষের হয় না। কবিতা পারভেজ তাঁর পিতা এম আর আখতারের সাথে গাফফার চৌধুরীর গভীর সম্পর্কের গল্প শোনান।

বঙ্গবন্ধু কাউন্সিলের সভাপতি শেখ শামীম বলেন, বঙ্গবন্ধুর অত্যন্ত কাছের মানুষটি ছিলেন গাফফার চৌধুরী। আওয়ামী লীগের রাজনীতির মাঠে কঠোর সমালোচক হলেও তিনি শেখ হাসিনা আর বাংলাদেশের প্রশ্নে ছিলেন কোমল হৃদয়ের একজন।

জনাব গামা আব্দুল কাদির দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে বলেন, আব্দুল গাফফার চৌধুরীকে হারানোটা আমাদের জাতির জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। আমরা তাঁর লেখার জন্য সবসময় অপেক্ষা করতাম। তিনি চিরস্মরনীয় হয়ে থাকবেন।

ড. খায়রুল চৌধুরী বলেন, ‘উলংগং ইউনিভার্সিটিতে আমার থিসিস লেখার সময় আমরা বাঙালি নাকি বাংলাদেশী এই বিতর্কের সেরকম কোনো টেক্সট পাচ্ছিলাম না; একমাত্র ভরসা ছিল আব্দুল গাফফার চৌধুরীর লেখা একটি বই এবং পত্র–পত্রিকায় প্রকাশিত নিবন্ধ। যা আমাকে খুবই সাহায্য করেছে’। এছাড়াও তিনি বলেন, আমাদের সময়ের এই মহান মানুষটি আমাদের জাতিসত্ত্বার ইতিহাসকে টেক্সটচুয়ালাইজড করেছেন। তাঁর অবদানকে অস্বীকার করা যাবে না’।

সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠক শফিকুল আলম গাফফার চৌধুরীর জীবনের বিভিন্ন দিক উল্লেখ করে বলেন, গাফফার চৌধুরী শুধুই লেখক বা গীতিকার বা কবিই ছিলেন না, তিনি ছিলেন স্বাধীনতার চার মূল নীতির প্রশ্নে আমৃত্যু লড়াই করে যাওয়া সংগ্রামী পুরুষ। বাংলাদেশের আজ তাঁর মতো শক্ত কথা সহজে বলার কলমের কাছেই আশ্রয় খোঁজে।

সাবেক কাউন্সিলর রাজনীতিবিদ প্রবীর মৈত্র গাফফার চৌধুরীর পারিবারিক ঐতিহ্যের উপর আলোকপাত করতে গিয়ে বলেন, ‘হাজী ওয়াজেদ চৌধুরী, জওহরলাল নেহেরুর বাবা মতিলাল নেহেরুর সেক্রেটারি ছিলেন। অল ইন্ডিয়ান কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির মেম্বার ছিলেন’।

আতিকুর রহমান শুভ বলেন, ‘তিনি ছিলেন আমাদের পাঠ্যপুস্তকের মতো। তাকে পড়ে পড়ে আমরা বেড়ে উঠেছি। যে বয়সটা ছিলো গল্প– উপন্যাস পড়বার ঠিক সেই বয়স থেকে আমরা তাঁর কলাম পড়তাম। কখনও দুর্বোধ্য মনে হতো না। গল্পের মতো করে তিনি আমাদের ইতিহাসকে বিশেষ করে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশকে চিনিয়েছেন। এক্টিভিস্টের মতো কাজ করে গেছেন। আমার বন্ধুর ছোট ভাই এক ব্লগারকে মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরিয়ে এনে বিদেশে প্রতিষ্ঠা করে দিয়েছেন। পরীমণির মতো একজন চিত্রনায়িকার বাঁচার অধিকারকেও তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন। আসছে ফেব্রুয়ারির বইমেলায় তাঁর অসমাপ্ত জীবনীও বই আকারে আসছে। এই খবরটা আমি জানতাম। সেটাও সিডনির সুধীজনদের জানালাম’।

সাংস্কৃতিক সংগঠক ডঃ স্বপন পাল বলেন, গাফফার চৌধুরীরা অসাম্প্রদায়িক সমৃদ্ধিশালী যে বাংলাদেশের পথ দেখিয়েছেন, তা থেকে আমাদের সরে আসার কোনো পথ নেই।

আওয়ামী পরিবারের রাজনীতিক সেলিনা বেগম বলেন, গাফফার চৌধুরীরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অবিচল ছিলেন, ছিলেন বলেই বাংলাদেশকে বুকে ধারন করেছেন, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ তৈরিতে জননেত্রী শেখ হাসিনার অন্যতম আলোকবর্তিতা হিসেবে ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছেন।

অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগ নেতা এমদাদ হক বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, সাংস্কৃতিক বিপ্লবের মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে কালজয়ী লেখককে বাংলাদেশ মনে রাখবে।

ড. পলাশ বসাক বলেন, বাংলাদেশে জন্মগ্রহণকারী অনেক বুদ্ধিজীবি আমরা দেখেছি; তাঁরা অনেকেই একটা সময়ের ডিরেইল্ড হয়ে গেছেন। কিন্তু আব্দুল গাফফার চৌধুরী আমৃত্যু দেশ ও জাতির পক্ষে অবিচল থেকেছেন। অসাম্প্রদায়িকতার ব্যাপারে তিনি ছিলেন আপোষহীন।

কলামিস্ট পল মধু বলেন, গাফফার চৌধুরীর স্মরণ সভায় উনার স্মৃতির প্রতি অর্ঘ্য নিবেদন আমাদের জন্য সম্মানের। এতো বড় মাপের মানুষকে আমরা সম্মান করছি, অনুভব করার চেস্টা করছি, এটি আমাদের জন্যও বড় সম্মান।

অনুষ্ঠান শুরু হয় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় ড.পলাশ বসাকের কন্ঠে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে, দেশের গান গেয়ে শোনান মারিয়া মুন, তারপর আব্দুল গাফফার চৌধুরীর জীবন ও কর্মের উপর একটি সংক্ষিপ্ত ভূমিকা পাঠ করেন শাখাওয়াৎ নয়ন। অতঃপর পলাশ বসাকের নেতৃত্বে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’ এই অমরকাব্যগাঁথা সমবেতভাবে গেয়ে আলোচনা শুরু করা হয়।

​এসময় আরাও উপস্থিত ছিলেন অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ প্রেস ও মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি মোঃ রহমতুল্লাহ, সহ-সভাপতি কাজি সুলতানা সিমি,  শিল্পী আতিক হেলাল ও আফরীন মিতা,  সিডনি বেঙ্গগলিজ ডট কমের আবু তারিক, অপু সারোয়ার, আবৃত্তিশিল্পী নুসরাত জাহান স্মৃতি, আবৃত্তিশিল্পী আরিফুর রহমান, আবৃত্তিশিল্পী ফরহাদ আসমার, সাংস্কৃতিক কর্মী নামিদ ফারহান, জে জে অপূর্ব, আসরাফ আরিস, জাহাঙ্গীর হোসেন, সামাজিক সংগঠক সাজ্জাদ হোসেন, কবি ফজলুল মিরাজসহ সিডনির সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক পরিমন্ডলের পরিচিতজন।

কথাসাহিত্যিক শাখাওয়াৎ নয়নের তথ্যসমৃদ্ধ সঞ্চালনা আলোচনা সভাটিকে অলংকৃত করেছে। মুক্তমঞ্চ পত্রিকার সম্পাদক আল নোমান শামীম সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে নৈশভোজের আহবান জানান এবং অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

সিডনি   আব্দুল গাফফার চৌধুরী  


মন্তব্য করুন


প্রেস ইনসাইড

প্রথম আলো বিক্রি: কর্ণফুলী গ্রুপের সাথে আলোচনা শুরু?

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

প্রথম আলো বিক্রির গুঞ্জন সত্য হিসেবে পল্লবিত হতে শুরু করেছে। প্রথম আলো বিক্রির জন্য দু’টি প্রতিষ্ঠানের মালিকপক্ষ অনানুষ্ঠানিকভাবে আলাপ-আলোচনা শুরু করেছেন বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে নিশ্চিত করেছে। ট্রান্সকম গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ‘মিডিয়া স্টার লিমিটেড’ বিক্রির বিষয়টি নিয়ে পর্দার আড়ালে আলাপ-আলোচনা এবং দর কষাকষি শুরু হয়েছে বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানাচ্ছে, প্রথম আলোর সম্পাদক এবং প্রকাশক মতিউর রহমান যিনি মিডিয়া স্টার লিমিটেডের অন্যতম অংশীদারও বটে। তিনি কর্ণফুলী গ্রুপের সঙ্গে প্রাথমিক আলাপ-আলোচনা শুরু করেছেন বলে জানা গেছে।

বিভিন্ন সূত্র বলছে, মতিউর রহমানের আগ্রহ পত্রিকাটি সাবের হোসেন চৌধুরীর কাছে বিক্রি করা। সাবের হোসেন চৌধুরী এর আগেও তার মালিক ছিলেন।

মতিউর রহমান সাপ্তাহিক একতার সম্পাদক ছিলেন। কমিউনিস্ট পার্টির মালিকানাধীন পত্রিকাটি থেকে গ্লাসনোস্ট এবং পেরেস্ট্রোইকা পর সরে যান মতিউর রহমান। এরপর তিনি আজকের কাগজের বিশেষ প্রতিবেদক হিসেবে নাঈমুল ইসলাম খানের অধীনে যোগদান করেন। আজকের কাগজে যোগদানের পরে তিনি আজকের কাগজের ভাঙ্গন প্রক্রিয়া তরান্বিত করার চেষ্টা করেন। আজকের কাগজের তরুণ-উদ্দীপ্ত কর্মীবাহিনীকে কাজে লাগিয়ে তিনি নতুন করে একটি পত্রিকা করার প্রক্রিয়া শুরু করেন। সেই সময় তিনি পর্দার আড়ালে বর্তমান পরিবেশ ও জলবায়ু মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা শুরু করেন।

সাবের হোসেন চৌধুরীর সাথে তার চুক্তি ছিল আজকের কাগজের পুরো কর্মী বাহিনী নিয়ে তিনি আরেকটি নতুন পত্রিকা তৈরী করবেন। এবং সেই আলোচনার ফলশ্রুতিতেই আজকের কাগজে অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটে এবং এক পর্যায়ে প্রয়াত কাজী শাহেদ আহমেদ পত্রিকার কর্তৃত্ব গ্রহণে বাধ্য হন। এসময় মতিউর রহমান সাবের হোসেন চৌধুরীর অর্থায়নে ‘ভোরের কাগজ’ প্রকাশের উদ্যোগ নেন। সেই সময় শাহবাগ থেকে ভোরের কাগজ প্রকাশের জন্য যে অফিস তা আজকের কাগজের ভাঙ্গনের বহু আগেই মতিউর রহমান নিয়েছিলেন।

মতিউর রহমান ‘আজকের কাগজ’ পত্রিকাতে গিয়েছিলেন পত্রিকা থেকে কর্মীদেরকে ভাগিয়ে নেওয়ার জন্য বলেও আজকের বাস্তবতায় প্রতিয়মান হয়। আজকের কাগজ থেকে ভোরের কাগজের জন্ম হওয়ার সময় প্রথমে এই পত্রিকার প্রকাশক ছিলেন নাঈমুল ইসলাম খান। এর পিছন থেকে অর্থ বিনিয়োগ করেন সাবের হোসেন চৌধুরী এবং কর্ণফুলী গ্রুপ।

প্রথম দিকে সাবের হোসেন চৌধুরী কাগজ পত্রে কোন মালিকানায় ছিলেন না। এরপর ঘটে নাটকীয় ঘটনা। নাঈমুল ইসলাম খানকে ভোরের কাগজ থেকে বের করে দেওয়া হয় এবং সেখানেও সাংবাদিকদের কৌশলে ব্যবহার করেন মতিউর রহমান। মতিউর রহমান যেহেতু রাজনৈতিকভাবে অভিজ্ঞ। কমিউনিস্ট পার্টির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন সেকারণে তিনি আজকের কাগজের বিভাজন প্রক্রিয়া ভোরের কাগজে পুনঃপ্রয়োগ করেন এবং ভোরের কাগজের তরুণ সংবাদকর্মীদের উত্তেজিত করে নাঈমুল ইসলাম খানকেই ভোরের কাগজ থেকে সরিয়ে দিতে সফল হন।

এরপর ভোরের কাগজে পাদপ্রদীপে আসে কর্ণফুলী গ্রুপ এবং সাবের হোসেন চৌধুরীরা। তাদের প্রিন্টার্স লাইনে নাম প্রকাশিত হয়। ভোরের কাগজ যখন একটি মর্যাদার জায়গায় পৌঁছে গেছে এবং ভোরের কাগজ যখন সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য নাম হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে ঠিক সেই সময় নতুন করে ষড়যন্ত্র করেন মতিউর রহমান। তিনি ভোরের কাগজের কর্মীদের নিয়ে ট্রান্সকম গ্রুপের লতিফুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং ভোরের কাগজ থেকে সিংহভাগ কর্মীদের বের করে নিয়ে গিয়ে প্রথম আলো তৈরী করেন। যেটি ট্রান্সকম গ্রুপের মালিকানাধীন ছিল। শুধুমাত্র শ্যামল দত্ত ছাড়া ভোরের কাগজে উল্লেখযোগ্য আর কেউ থাকেননি। সবাই মতিউর রহমানের সাথে প্রথম আলোতে যোগদান করেন। অচিরেই ভোরের কাগজের জনপ্রিয়তা প্রথম আলো গ্রহণ করে। এখন মতিউর রহমান ট্রান্সকম গ্রুপের অভ্যন্তরীণ বিরোধ এবং মালিকানার দ্বন্দ্বের কারণে পত্রিকাটি অন্য মালিকের কাছে হস্তান্তর করতে চেষ্টা করছেন।

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, প্রথম আলো বিক্রির পিছনে দুই বোনের বিরোধ থাকলেও প্রথম আলোকে ট্রান্সকম গ্রুপের থেকে মুক্ত করার ক্ষেত্রে মূখ্য ভূমিকা রাখছেন মতিউর রহমান নিজেই। কারণ সামনের দিনগুলোতে সিমিন রহমান এবং শাজরেহ হক এর বিরোধ কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে এ নিয়ে একটি অনিশ্চয়তা রয়েছে। আর একারণেই তিনি কর্ণফুলী গ্রুপের কাছে আবার ফেরত যেতে চাইছেন। মতিউর রহমান ভোরের কাগজ থেকে বের হওয়ার পর কিছুদিন সাবের হোসেন চৌধুরীর সম্পর্কের শিথিলতা থাকলেও এখন তা আবার আগের মত হয়েছে বলে জানা গেছে।

একাধিক সূত্র বলছে যে, কর্ণফুলী গ্রুপের সঙ্গে মতিউর রহমানের পর্দার আড়ালের বৈঠক ফলপ্রসূ হলে মিডিয়া স্টারের বোর্ড সভায় প্রথম আলো বিক্রির বিষয়টি মতিউর রহমান নিজেই উপস্থাপন করতে পারেন।

তবে বিভিন্ন সূত্র বলছে যে, মিডিয়া স্টারের অন্যতম মালিক ট্রান্সকম গ্রুপের দুই বোন শেষ পর্যন্ত কর্ণফুলী গ্রুপের কাছে পত্রিকা বিক্রি করবেন নাকি অন্য কোন বৃহত্তর শিল্প গ্রুপের কাছে পত্রিকাটি বিক্রি করবেন সেটি বোঝা যাবে আরও পরে।

প্রথম আলো   কর্ণফুলী গ্রুপ   ট্রান্সকম গ্রুপ  


মন্তব্য করুন


প্রেস ইনসাইড

ট্রান্সকমের বিরোধ: বিক্রি হচ্ছে প্রথম আলো?

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ট্রান্সকম গ্রুপের পারিবারিক বিরোধের কারণে প্রথম আলো বিক্রি হয়ে যাচ্ছে—এমন গুঞ্জন এখন মিডিয়া পাড়ায়। বিভিন্ন সূত্র দাবি করেছে যে, মামলার সমঝোতা করতে গিয়ে দুই বোন একটি আপস ফর্মুলা আসার চেষ্টা করছে এবং সেই আপস ফর্মুলা অংশ হিসেবে তারা কিছু প্রতিষ্ঠান বিক্রি করে দেওয়ার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছেন। এই পরিকল্পনা যদি শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত হয় তাহলে প্রথম আলো বিক্রি হয়ে যাবে। 

ট্রান্সকম গ্রুপের মালিকানাধীন দেশের অন্যতম জনপ্রিয় এই দৈনিক পত্রিকাটিকে কেনার জন্য অন্তত দুজনের আগ্রহের কথা শোনা যাচ্ছে। এদের মধ্যে অন্যতম হল দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্প গ্রুপ বসুন্ধরা। অন্যজন হলেন বর্তমান পরিবেশ পরিবেশ এবং জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর কর্ণফুলী গ্রুপ। 

উল্লেখ্য, ট্রান্সকম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত লতিফুর রহমানের মৃত্যুর পর তাদের দুই বোনের বিরোধ এখন আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। গত পয়লা ফেব্রুয়ারি লতিফুর রহমানের ছোট মেয়ে শাজরেহ হক ট্রান্সকম গ্রুপের সিইও এবং তার বড় বোন সিমিন রহমানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাত, প্রতারণা এবং শেয়ার জালিয়াতের মামলা করেন। এই মামলায় তিনি তার মা, বোন, ভাগ্নে সহ আটজনকে অভিযুক্ত করেন এবং তাদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাত, সম্পত্তি দখল এবং শেয়ার হস্তান্তরের অভিযোগ আনেন। এই অভিযোগ এখন তদন্ত করছে পিবিআই। 

অভিযোগে বলা হয়েছে, জাল জালিয়াতি করে শেয়ার হস্তান্তর করা হয়েছে। কোনো দলিলে তিনি সই করেননি। অথচ তার এবং ভাইয়ের নামে যে শেয়ার দেওয়া হয়েছে তার প্রায় দ্বিগুণ শেয়ার আছে সিমিনের নামে। এরপর ২২ মার্চ শাজরেহ হক আরেকটি মামলা করেন, যেখানে তিনি তার ভাইকে হত্যার অভিযোগ আনেন। এতে আসামি করা হয় বোন সিমিন রহমান এবং যারাইফ আয়াত হোসেনসহ ১১ জনকে। মাকে এই মামলার আসামি করেননি। 

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে ১৬ জুন গুলশানের বাসায় নিজের শোবার ঘরে মারা যান সিমিন এবং শাজরেহের ভাই আরশাদ ওয়ালিউর রহমান। তিনি নিঃসন্তান এবং তার বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছিল। আর এই হত্যা মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে যে, সিমিন রহমান এবং অন্যরা যোগসাজশ করে তার ভাইকে হত্যা করেছে। আর এই মামলায় ইতিমধ্যে সিমিন রহমান আদালতে গিয়ে জামিন নিয়েছেন। 

পারিবারিক বিরোধের কারণে ট্রান্সকম গ্রুপের অবস্থা যখন টলটলয়মান ঠিক সেই সময় ট্রান্সকম নিয়ন্ত্রিত দেশের অন্যতম প্রভাবশালী দৈনিক প্রথম আলো বিক্রির গুঞ্জন উঠেছে। উল্লেখ্য, ট্রান্সকম গ্রুপের পরিচালক হিসাবে এখনও মেয়ে শাজরেহ হক রয়েছেন। পারিবারিক বিরোধের কারণে বিভিন্ন সম্পত্তিগুলো তারা ভাগ বাটোয়ারা করার চেষ্টা করছেন। আদালতের বাইরে এই বিরোধ মেটানোর জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন মা শাহানাজ রহমান। তিনি দুই বোনের সঙ্গে কথা বলছেন এবং বিষয়টি মীসাংসা করার চেষ্টা করছেন। এমনকি সম্পত্তিগুলো ভাগ বাটোয়ারা করার ক্ষেত্রেও আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে বলে জানা গেছে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রথম আলো বিক্রি হয়ে যেতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্র আভাস দিয়েছে। তবে এ ব্যাপারে প্রথম আলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ভাবে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে কেউই কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

ট্রান্সকম গ্রুপ   প্রথম আলো  


মন্তব্য করুন


প্রেস ইনসাইড

স্বাধীনতার ইতিহাসে সংবাদপত্র বন্ধের নতুন রেকর্ড

প্রকাশ: ০৫:৩১ পিএম, ০৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশে স্বাধীনতার ইতিহাসে নতুন রেকর্ডে ছুটি পেলেন সংবাদপত্রে কর্মরত সাংবাদিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। চলত মাসের ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখের সরকার নির্ধারিত ছুটি এবং নোয়াবের ১৩ এপ্রিল বিশেষ ছুটিসহ এবারের ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রেকর্ড ৬ দিনের ছুটি পেয়েছে সংবাদপত্রে কর্মরত সাংবাদিক সহ কর্মকর্তারা।

শনিবার (৬ এপ্রিল) সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)-এর বৈঠক শেষে চলতি মাসের ৯ থেকে ১৪ এপ্রিল টানা ৬ দিন ছুটির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়।

তবে প্রচলিত রেওয়াজে, প্রতিবছর সংবাদকর্মীরা ২৯ রমজান থেকে ঈদে তিন দিনের ছুটি ভোগ করেন। রোজা ৩০টি পূর্ণ হলে এই ছুটি চার দিনে পরিণত হয়। সে হিসাবে ৯ থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত সর্বোচ্চ ছুটি হওয়ার কথা। কিন্তু এবার ঈদের ছুটির এক দিন পর ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ হওয়ায় সরকার নির্ধারিত ছুটি রয়েছে। এজন্য নোয়াব ১৩ এপ্রিল বিশেষ ছুটি ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেয়।

এসময় নোয়াবের বৈঠকে ১৩ এপ্রিল বিশেষ ছুটি ঘোষণার বিষয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য সম্মতি দেন। তা ছাড়া এদিন পত্রিকা প্রকাশ হলেও সংবাদপত্র বিপণন সংস্থা সংবাদপত্র হকার্স কল্যাণ বহুমুখী সমিতি তা বিপণনে অপারগতা জানায়।

অন্যদিকে ঈদের ছুটির এক দিন পরই পহেলা বৈশাখের ছুটি থাকায় সাংবাদিকদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নও (ডিইউজে) নোয়াবের কাছে ১৩ এপ্রিল বিশেষ ছুটি ঘোষণার আহ্বান জানায়।

ডিইউজে সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, ঈদের ছুটি চিরাচরিত। একইভাবে পহেলা বৈশাখের ছুটিও। কিন্তু এবার ঈদের ছুটির এক দিন পরই পহেলা বৈশাখ। তাই সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা যাতে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ পান, আমরা সেই আবেদন নোয়াবের কাছে জানিয়েছি। এতে কর্মীদের কর্মস্পৃহা আরও বাড়বে। তা ছাড়া গণমাধ্যমে ছুটিও এমনিতে অনেক কম।

তিনি জানান, ঈদের ছুটি ৬ দিন হওয়ায় এটি রেকর্ড। স্বাধীনতার পর আর কখনও সংবাদমাধ্যম ৬ দিন বন্ধ থাকেনি।


সংবাদপত্র   ঈদের ছুটি   রেকর্ড  


মন্তব্য করুন


প্রেস ইনসাইড

সপ্তম বর্ষে পদার্পণ করলো কুবি প্রেসক্লাব

প্রকাশ: ১০:২৯ এএম, ০৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাব ষষ্ঠ বর্ষ পেরিয়ে সপ্তম বর্ষে পদার্পণ করেছে। ‘সর্বদা সত্যের সন্ধানে’ স্লোগান নিয়ে ২০১৮ সালের ৪ এপ্রিল যাত্রা শুরু করে সংগঠনটি। 

 

আহ্বায়ক কমিটির মাধ্যম ৯ জন সদস্য নিয়ে যাত্রা করে সাংবাদিক সংগঠনটি। যাত্রা শুরুর পর থেকেই বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ উপস্থাপনের জন্য প্রশংসিত সংগঠনটির সাথে বর্তমানে ২৫ জন সদস্য কাজ করছে, পাশাপাশি রয়েছে পনেরর অধিক সহযোগী সদস্যও। সিনিয়র-জুনিয়রদের আন্তরিক সহযোগিতার মাধ্যমে ক্যাম্পাসে নিরলসভাবে সংবাদ উপস্থাপনের কাজ করে যাচ্ছে সংগঠনটি।

 

কুবি প্রেসক্লাবের সহযোগী সদস্য আতিকুর রহমান তনয় বলেন, এক পা-দু’ পা করতে করতে ৭ বছরে পা রাখলো কুবি প্রেস ক্লাব। এই সংগঠনের সাথে আমার কাজ করার বয়স ২ বছরেরও বেশি। সাংবাদিকতার শিক্ষার্থী হিসেবে একাডেমিক জ্ঞানকে হাতে কলমে শেখার জন্যই এখানে আসা। কুবি প্রেস ক্লাব শিক্ষানবিশ সাংবাদিকদের হাতে-কলমে সাংবাদিকতা শেখানোর পাশাপাশি কুবি ক্যাম্পাসের উন্নয়ন, অগ্রগতিকে দেশবাসীর কাছে তুলে ধরে। পাশাপাশি দল-মত নির্বিশেষে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতির বিরুদ্ধেও কলম চালায়। কুবি প্রেসক্লাবের কলম যোদ্ধাদের কলম 'সর্বদা সত্যের সন্ধানে' চলমান থাকবে বলে আশা করি।

 

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী প্রসঙ্গে সংগঠনটির বর্তমান সভাপতি ইকবাল হাসান বলেন, 'সাত বছরে পা দিলো কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাব। এই দীর্ঘ যাত্রায় নানা প্রতিকূল পরিস্থিতি দেখতে হয়েছে আমাদের অগ্রজদের ও আমাদের। সবসময়ই প্রতিকূল পরিস্থিতি থাকবে। তবে সকল প্রতিকূল পরিস্থিতি কাটিয়ে সবসময় সত্যের পথে চলবে সংগঠনটি।’

 

সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাকালীন আহ্বায়ক শতাব্দী জুবায়ের বলেন, ‘কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাবের সপ্তমবর্ষে পদার্পন উপলক্ষে সকলকে শুভেচ্ছা। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সত্য ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছে ক্লাবের একঝাঁক তরুণ সংবাদকর্মী। তাদের এই প্রচেষ্টা সফল হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবারের সদস্যদের আন্তরিক সহযোগিতায়। প্রেস ক্লাব ক্যাম্পাসের প্রসার এবং প্রচারে মুখ্য ভূমিকা পালন করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোন সংকটে প্রেস ক্লাব ক্যাম্পাসের পাশে আছে এবং থাকবে এই বিশ্বাস এবং আস্থা পরিবারের সকলে রাখবেন বলে আশা করি। বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বমানের কাজ করুক আর তার প্রচারে মুখ্য ভূমিকা পালন করবে প্রেস ক্লাব। ক্লাবের আগামী আরও সুন্দর ও সাফল্য মণ্ডিত হোক।'


কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়   কুবি প্রেস ক্লাব   সাংবাদিক সমিতি  


মন্তব্য করুন


প্রেস ইনসাইড

রাজশাহী টেলিভিশন জার্নালিস্ট ইউনিটির (আরটিজেইউ) যাত্রা শুরু

প্রকাশ: ০৪:৪৭ পিএম, ০৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাজশাহী টেলিভিশন জার্নালিস্ট ইউনিটির (আরটিজেইউ) যাত্রা শুরু হলো। বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে রাজশাহীর টেলিভিশন সাংবাদিকদের নিয়ে নগরীর কাদিরগঞ্জ এলাকায় একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে একুশে টিভির রাজশাহী বিভাগীয় প্রতিনিধি বদরুল হাসান লিটনকে আহ্বায়ক, একাত্তর টিভির মেহেদী হাসানকে যুগ্ম আহ্বায়ক এবং মাই টিভির রাজশাহী প্রতিনিধি শাহরিয়ার অন্তুকে সদস্য সচিব করে কমিটি গঠন করা হয়।

এ কমিটির সদস্য হিসেবে রয়েছেন দ্বীপ্ত টিভির রাজশাহী প্রতিনিধি ইউসূফ আদনান, ইনডিপেন্ডেন্ট টিভির রাজশাহী প্রতিনিধি রাসেল মোস্তাফিজ, ক্যামরাপার্সন জাফর ইকবাল লিটন ও সময় টিভির রাজশাহী ক্যামেরাপার্সন হাবিবুর রহমান পাপ্পু।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, সময় টিভির রাজশাহী ব্যুরো প্রধান সাইফুর রহমান রকি, নাগরিক টিভির রাজশাহী ব্যুরো প্রধান রফিকুল ইসলাম, বাংলা টিভির রাজশাহী প্রতিনিধি বিজয় ঘোষ, সময় টিভির রাজশাহী প্রতিনিধি শাহীন আলম ও ক্যামেরাপার্সন আব্দুস সালাম, একুশে টিভির ক্যামেরাপার্সন হাসান আল মাবিন, দীপ্ত টিভির ক্যামেরাপার্সন রফিকুল ইসলাম, আরটিভির রাজশাহী প্রতিনিধি মোস্তাফিজুর রহমান রকি, বিটিভির ক্যামেরাপার্সন শাহরিয়ার শেখ সুমন, নাগরিক টিভির রাজশাহী প্রতিনিধি শিরিন সুলতানা কেয়া, ক্যামেরাপার্সন মখলেছুর রহমান, বাংলা টিভির রাজশাহী ক্যামেরাপার্সন অজয় ঘোষ, এটিএন বাংলার রাজশাহী ক্যামেরাপার্সন ওয়াহিদ মুরাদ।

সভায় রাজশাহীতে টেলিভিশনে কর্মরত সকল সাংবাদিকদের পেশাগত মানোনয়ন এবং তাদের সকল সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে সংগঠনটি কাজ করবে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এর জন্য সগংঠনের বাইরে থাকা অন্য সাংবাদিকদেরও এ কমিটিতে পর্যায়ক্রমে অন্তর্ভূক্তি করা হবে। সে লক্ষ্যেও কাজ করবে এ সংগঠনটি।

এছাড়াও নবগঠিত আরটিজেইউ’র যে সকল সদস্য রাজশাহী টেলিভিশন জার্নালিস্ট এ্যাসোসিয়েশনে সদস্য হিসেবে আছেন সেখান থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন। সেটি আজ থেকে কার্যকর হবে বলেও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।


রাজশাহী   সাংবাদিক   আরটিজেইউ   রাজশাহী টেলিভিশন জার্নালিস্ট ইউনিটি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন