বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্রের প্রধান অনুসঙ্গ
হিসেবে বিবেচনা করা হয় মতপ্রকাশের স্বাধীনতা। মত প্রকাশের স্বাধীনতার সূচকে বরাবর প্রশ্ন
তোলা হয় দক্ষিণ এশিয়ার দুই দেশ বাংলাদেশ ও ভারত নিয়ে। বলা হয় বাংলাদেশে বাকস্বাধীনতা
কিংবা মুক্ত গণমাধ্যম চর্চা অনেকটাই পিছিয়ে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে নিজেদের বিশ্বের সবচেয়ে
বড় গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে দাবি করে আসা ভারতের তুলনায় বাংলাদেশ মত প্রকাশের স্বাধীনতার
দিক থেকে অনেকটাই এগিয়ে।
এর সরাসরি প্রমাণ মেলে সম্প্রতি
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোয়েশ্চেন’ নামে দুই পর্বের তথ্যচিত্র নিয়ে তৈরী বিতর্কে। ব্রিটিশ
সংবাদ মাধ্যম বিবিসির নির্মাতারা মোদি ও দেশটির মুসলিম
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তপ্ত সম্পর্কের বিষয়টি তথ্যচিত্রটিতে তুলে ধরতে চেয়েছেন।
তথ্যচিত্রের প্রতিপাদ্য বিষয়, ২০০২ সালে গুজরাটে তিন দিনের নরসংহারের জন্য তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই দায়ী। বিবিসি বলেছে, পরিকল্পনামাফিক মুসলমান নিধনই মোদিকে পরবর্তীকালে দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে সাহায্য করেছে।
প্রথম পর্বের পর মঙ্গলবার তথ্যচিত্রটির
দ্বিতীয় পর্বও সম্প্রচারিত হয়। তাতে ২০১৪ সালের পর থেকে ভারতের
মুসলমানদের সঙ্গে শাসক দল বিজেপির সম্পর্ক
কেমন হয়েছে, কীভাবে উত্তরোত্তর বিষিয়ে উঠেছে, তা বিস্তারিতভাবে চিত্রিত।
তথ্যচিত্রটি প্রকাশের পর থেকেই এ
নিয়ে গোটা ভারতে শুরু হয় ব্যাপক আলোচনা
সমালোচনা। ওই তথ্যচিত্র নিয়ে
আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষোভ জানিয়েছে নয়াদিল্লি। দুই পর্বের এই ধারাবাহিককে প্রোপাগান্ডা
হিসেবে অভিহিত করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
কিন্তু বিবিসির তথ্যচিত্র যাতে ভারতে প্রদর্শিত না হয়, সে জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়। ইউটিউব ও টুইটারকে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ভারতে প্রদর্শন না করার যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়। টুইটারকে বলা হয় তথ্যচিত্রের লিংক মুছে দেওয়ার জন্য। বিভিন্ন রাজ্যে প্রশাসনিক পর্যায়েও ব্যবস্থা গ্রহণের অলিখিত আদেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও দুই পর্বের ওই তথ্যচিত্র দেখানো হচ্ছে বিভিন্ন রাজ্যে। তা নিয়ে কোথাও কোথাও পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। রাজ্যে রাজ্যে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসংগঠন তথ্যচিত্র দেখানোর কর্মসূচি নিলে সেখানে ধরপাকর চালিয়েছে পুলিশ। ক্যাম্পাসে ঢোকে নির্বিচারে লাঠিচার্জ করে তারা।
এখানেই এই প্রশ্নটা বড় হয়ে দেখা দিচ্ছে, কেন বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র বলে যারা নিজেদের দাবি করে থাকে সেই শক্তিশালী ভারত কেন বিবিসির মাত্র আটান্ন মিনিটের (প্রথম পর্ব) একটা তথ্যচিত্রে এত কঠোর প্রতিক্রিয়া জানাল?
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে ভারত-বাংলাদেশ দুইটি প্রতিবেশী দেশই গত বছরের তুলনায় পিছিয়েছে বেশ কয়েক ধাপ। ভারতে সরকারের সমালোচক সাংবাদিকদের রাষ্ট্রবিরোধী তকমা দেবার পাশাপাশি তাঁদের বিরুদ্ধে মানহানি, রাষ্ট্রদ্রোহিতা, আদালত অবমাননা এবং জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে বিপজ্জনক নানা ধারায় অভিযোগ দেওয়া
এদিকে বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমে সমস্যা ও সংকট থাকলেও সেখানেও সহনশীলতাঁর উদাহরণও রয়েছে। বাংলাদেশের গণমাধ্যমের পরিস্থিতি শোচনীয়, সমস্যা আছে। কিন্তু তার অর্থ এই নয়, বাংলাদেশের প্রেস ফ্রিডম পরিস্থিতি বা রাজনৈতিক পরিস্থিতি আফগানিস্তানের চেয়েও খারাপ।
বাংলাদেশের গণমাধ্যমের সমস্যাগুলো থেকে উত্তরণের জন্য “সাংবাদিক সমাজের লড়াই অব্যাহত আছে এবং সরকারও এসব আন্দোলনে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছে।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক বেনারকে বলেন, “আমাদের দেশে এখন সরকারের দিক থেকে সাংবাদিকদের স্বাধীনতা নিয়ন্ত্রণ করা হয় না।”
তাঁর মতে, “সাংবাদিকতার স্বাধীনতায় কর্পোরেট মালিকদের নিয়ন্ত্রণ আছে। এখানে সাংবাদিকতার স্বাধীনতা বলতে মালিকদের স্বাধীনতা।”
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে অনেকগুলো আন্তর্জাতিক প্রতিবেদন বেরিয়েছে। তাঁর কোনোটিতেই কোনরকম নিষেধাজ্ঞা বা প্রতিক্রিয়া জানায়নি বাংলাদেশ। বরং মুক্ত গণমাধ্যমের চর্চার চেষ্টা করেছে। ঐসব বাংলাদেশের অবস্থা ভালো বলা হয়নি,” উল্লেখ করে দেশের মানবাধিকার, রাজনৈতিক স্বাধীনতা, সংবাদক্ষেত্রের স্বাধীনতাসহ সকল সূচক নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। তবে ভারত যেভাবে কঠোর হস্তে নিধনে নেমেছে বাংলাদেশে তেমন চিত্র দেখা যায়নি।
ভারত সাংবাদিকদের জন্য ‘কঠিন জায়গা’
ভারত “সাংবাদিকদের জন্য কঠিন জায়গা” বলে উল্লেখ করা হয় আরএসএফ’র চলতি বছরের সমীক্ষা প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, “ভারতে সাংবাদিকদের এখন পুলিশ, রাজনৈতিক কর্মী, অপরাধী গোষ্ঠী ও স্থানীয় দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারি কর্মকর্তাদের আক্রমণসহ সব ধরনের শারীরিক হিংসার মুখোমুখি হতে হচ্ছে।”
২০১৪ সাল থেকে ভারতীয় জনতা পার্টির নেতা নরেন্দ্র মোদীর শাসনামল এবং হিন্দু জাতীয়তাবাদের মূর্ত প্রকাশের ফলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব হচ্ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
এতে বলা হয়, সরকারের সমালোচক সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক হয়রানি ও আক্রমণের প্রচার চালিয়ে চলেছে মোদী ভক্তরা।
প্রতিবেদনের সঙ্গে ঐক্যমত্য প্রকাশ করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশনের সিনিয়র অধ্যাপক অঞ্জন বেরা বেনারকে বলেন, ভারতে “গত কয়েকবছরে যেভাবে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ভূলুণ্ঠিত হয়েছে তা দুর্ভাগ্যজনক।”
তাঁর মতে, সংবাদমাধ্যমের মালিকানার কেন্দ্রীভবন, কর্পোরেট সংস্থার নিয়ন্ত্রণ এবং ধর্ম ও সম্প্রদায়ের ভিত্তিতে বিভাজনের রাজনীতি ভারতের গণমাধ্যমের স্বাধীনতার উপর বিরূপ প্রভাব ফেলেছে।
“এর মধ্যে যে সব সংবাদপত্র ও ডিজিটাল মিডিয়া সরকারের সমালোচনা করছে তাদের উপর হস্তক্ষেপ বাড়ছে। বিশেষ করে ডিজিটাল মিডিয়াকে দমন করার ক্ষেত্রে সরকারের ভূমিকা উদ্বেগজনক।”
ভারতে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা “কখনো স্বাস্থ্যকর ছিলনা। ২০১৪ সালের পরে বর্তমান সরকারের আমলে মিডিয়ার বহুত্ববাদী চরিত্রকে বিলোপ করে দেওয়া হয়েছে। কর্পোরেটের মাধ্যমে, বিভাজনের মাধ্যমে ভারতীয় মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। সাংবাদিকদের সব অধিকার কেড়ে নেবার ব্যবস্থা হচ্ছে।
বর্তমানে ভারতে ১৩ জন সাংবাদিক জেলে রয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয় আরএসএফের এক প্রতিবেদনে।
মন্তব্য করুন
ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে সাংবাদিকতা করায় সাংবাদিক
সমিতির (ডিআইইউসাস) ১০ সাংবাদিককে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বুধবার
(১৩ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রক্টর অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন ও রেজিস্ট্রার (ইনচার্জ)
মো. আবু তারেক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ বহিষ্কারাদেশ দেওয়া হয়। এ ঘটনায় তীব্র
নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে দেশের বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতা সহ ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল
ইউনিভার্সিটি সাংবাদিক সমিতি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির
নাম ব্যবহার করে কিছুসংখ্যক ছাত্র সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে একটি সমিতি চালাচ্ছেন। ঢাকা
ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে এ ধরনের কোনো সাংবাদিক সমিতি নেই। ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ
এ ধরনের সাংবাদিক সমিতিকে কোনো স্বীকৃতি প্রদান করেনি। এবিষয়ে গত ৫ মার্চ একটি বিজ্ঞপ্তি
জারি করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, উক্ত সাংবাদিক সমিতি ইউনিভার্সিটির অনুমতি
না নিয়ে ক্যাম্পাসের শ্রেণীকক্ষ ব্যবহার করে গত ৯ মার্চ একটি সাধারণ সভার আয়োজন করে।
এছাড়া, ১০ মার্চ ২০২৪-২৫ সালের কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মবহির্ভূত।
এরপর ১৩ মার্চ বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান, উপাচার্য, উপ-উপাচার্য,
রেজিস্ট্রার (ইনচার্জ), প্রক্টর এবং সব বিভাগীয় প্রধানের সমন্বয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত
হয়। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে উক্ত সাংবাদিক সমিতির সংশ্লিষ্ট সদস্যকে কেন বহিষ্কার করা
হবে না এই মর্মে কারণ দর্শানো; একইসঙ্গে তাদের সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গৃহীত
হয়।
সাময়িক বহিষ্কৃতরা হলেন, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সাংবাদিক
সমিতির সভাপতি কালাম মুহাম্মদ (এশিয়ান টিভি), সাধারণ সম্পাদক রেজোয়ানুল হক (একুশে সংবাদ),
সহ সভাপতি সাদিয়া তানজিলা সানভি (দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাওছার
আলী (রাইজিংবিডি), সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ (দৈনিক ভোরের ডাক), দপ্তর, প্রচার
ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. রাকিবুল ইসলাম (দৈনিক আমার সংবাদ/ক্যাম্পাস টাইমস), কোষাধ্যক্ষ
জাকারিয়া হুসাইন (বার্তা বিচিত্রা) ও কার্যনির্বাহী সদস্য সম্রাট (প্রিয়দেশ২৪), ইসমাম
হোসেন (দৈনিক স্বদেশ প্রতিদিন) ও মুছা মল্লিক (ঢাকা পোস্ট)।
এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রক্টর অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেনকে
ফোন করলে তিনি ফোন ধরেননি। এছাড়া রেজিস্ট্রার আবু তারেকের নম্বরে ফোন করলেও নাম্বার
বন্ধ পাওয়া যায়।
এর আগে গত ১০ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনের ৩০৯ নং কক্ষে ভোট গ্রহণ শেষে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সাংবাদিক সমিতির (ডিআইইউসাস) ২০২৪-২৫ বছরের নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়। নির্বাচন শেষে ফল ঘোষণা করেন ডিআইইউসাস’র উপদেষ্টা ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার সামছুল আলম সাদ্দাম। এতে এশিয়ান টেলিভিশনের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি কালাম মুহাম্মদকে সভাপতি ও একুশে সংবাদের প্রতিনিধি রেজোয়ানুল হককে সাধারণ সম্পাদক করে নয় সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়।
ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা ডিআইইউ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটি-২০২৪-এর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতি পদে আবু বক্কর সিদ্দিক ও সাধারণ সম্পাদক পদে বেলায়েত হোসেন নির্বাচিত হয়েছেন। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
সভাপতি
পদে মাইটিভি ও দৈনিক ভোরের
কাগজ পত্রিকার নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি আবু
বক্কর সিদ্দিক পেয়েছেন ২১ ভোট। সাধারণ
সম্পাদক পদে বাংলাভিশন ও
দৈনিক মানবকণ্ঠের নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি বেলায়েত
হোসেন ২৩ ভোট পেয়ে
নির্বাচিত হয়েছেন।
১৫ সদস্যবিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি দুটি
নির্বাচিত হয়েছেন দি নিউ নেশন
ও খবরপত্র পত্রিকার নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি মীর
মোশাররফ হোসেন জুয়েল ও দৈনিক আমার
বার্তার নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি সুলতানুল
আলম মিলন, যুগ্ন সম্পাদক দুটি পদে নির্বাচিত
হয়েছেন বাংলাদেশ প্রতিদিন ও নিউজ২৪ টিভির
নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি বাবুল
আখতার রানা ও ডিবিসি
টিভির নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি একে
সাজু। অর্থ সম্পাদক চ্যানেল২৪
টিভির নিজস্ব প্রতিবেদক হারুনুর রশিদ চৌধুরী, দপ্তর
সম্পাদক দৈনিক আলোকিত সকাল পত্রিকার নওগাঁ
জেলা প্রতিনিধি আবু রায়হান রাসেল,
প্রচার সম্পাদক পদে নাগরিক টিভির
ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকামেইলের
নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি সুমন
আলী নির্বাচিত হয়েছেন।
কার্যনির্বাহী
সদস্য ছয়টি পদে নির্বাচিত
হয়েছেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) কায়েস উদ্দিন, দৈনিক করোতোয়া নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি নবির
উদ্দিন, এনটিভি নিজস্ব প্রতিবেদক
আসাদুর
রহমান জয়, ডেইলি অবজারভার
নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি ওবায়দুল
হক, প্রথম আলো নওগাঁ জেলার
প্রতিনিধি ওমর ফারুক ও
দৈনিক জবাবদিহি নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি রাসেল
রানা।
নতুন কমিটি আগামী এক বছরের জন্য দায়িত্ব পালন করবে।
মন্তব্য করুন
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) প্রেস ক্লাবের
কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন-২০২৪ সম্পন্ন হয়েছে।
নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে আইন
ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের
শিক্ষার্থী মুনজুরুল ইসলাম নাহিদ (কালের কণ্ঠ) সভাপতি ও একই বিভাগের
২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আজাহারুল ইসলাম (দৈনিক জনকণ্ঠ) সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
সোমবার
(১৯ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেস কর্নারে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে তারা নির্বাচিত
হয়েছেন। সকাল ১০টা থেকে
বেলা ১২টা পর্যন্ত ভোট
গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। পরে দুপুর
সাড়ে ১২টার দিকে প্রধান নির্বাচন
কমিশনার সংগঠনের সাবেক সভাপতি একে আজাদ লাভলু
ফলাফল ঘোষণা করেন। সহকারী নির্বাচন কমিশনার ছিলেন সংগঠনের সাবেক সভাপতি আলতাফ হোসেন ও সাবেক সাধারণ
সম্পাদক কানন আজিজ।
পরে দুপুর দেড় টায় প্রেস
কর্নারে ভিসি অধ্যাপক ড.
শেখ আবদুস সালাম আনুষ্ঠানিকভাবে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেন। নবগঠিত কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকসংলগ্ন ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’ ম্যুরালে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন।
ইবি
প্রেস ক্লাবের ১৪ সদস্য বিশিষ্ট
কমিটির অন্যরা হলেন- সহ-সভাপতি আদিল
সরকার (সময়ের আলো), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিব হোসেন (বাংলাদেশ প্রতিদিন), দপ্তর সম্পাদক নাজমুল হুসাইন (ডিবিসি টেলিভিশন), কোষাধ্যক্ষ আবির হোসেন (একুশে
সংবাদ), প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক
নুর আলম (নয়া শতাব্দী),
সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক
সাঈফ ইব্রাহিম (সময় জার্নাল) এবং
ক্রীড়া সম্পাদক ফরহাদ খাদেম (শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন)।
এছাড়া
কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে মনোনীত হয়েছেন, আবু হুরাইরা (প্রতিদিনের
সংবাদ), মুতাসিম বিল্লাহ পাপ্পু (সমকাল), আহমাদ গালিব (ঢাকা নিউজ), নজরুল
ইসলাম জিসান (প্রতিদিনের চিত্র) ও শাহিন রাজা
(বিডি সমাচার)।
নির্বাচন
পর্যবেক্ষণ ও ফল ঘোষণা
অনুষ্ঠানে ভিসি অধ্যাপক ড.
শেখ আবদুস সালাম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন
ভূঁইয়া, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন,
প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র
বর্মণ, শাপলা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রবিউল হোসেন।
এছারাও কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরীন, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচএম আলী হাসান, কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি টিপু সুলতান ও সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিদ হাসানসহ বিভিন্ন বিভাগের সভাপতি, অনুষদের ডিন, শিক্ষক-কর্মকর্তা ও বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) প্রেস ক্লাব নির্বাচন
মন্তব্য করুন
ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে সাংবাদিকতা করায় সাংবাদিক সমিতির (ডিআইইউসাস) ১০ সাংবাদিককে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বুধবার (১৩ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রক্টর অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন ও রেজিস্ট্রার (ইনচার্জ) মো. আবু তারেক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ বহিষ্কারাদেশ দেওয়া হয়। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে দেশের বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতা সহ ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সাংবাদিক সমিতি।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) প্রেস ক্লাবের কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন-২০২৪ সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মুনজুরুল ইসলাম নাহিদ (কালের কণ্ঠ) সভাপতি ও একই বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আজাহারুল ইসলাম (দৈনিক জনকণ্ঠ) সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।