দৈনিক জনতা’র সম্পাদক আহসান উল্লাহ্ আর বেঁচে নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। তিনি দৈনিক ইত্তেফাক, বাংলার বানী, বাসস ও আবাসে সততার সাথে কাজ করেছেন। এ ছাড়াও তিনি ভারত বিচিত্রার সম্পাদক ছিলেন। ২০১০ সাল থেকে তিনি দৈনিক জনতার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করে অদ্যবধি এই দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
মৃত্যুকালে তিনি দুই পূত্র ও এক কন্যা সন্তান রেখে গেছেন । তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন তার সহকর্মী, শুভানুধ্যায়ী এবং শোকাহত পরিবার।
আহসান উল্লাহ্ ১৯৬২ সালে ২৫০ টাকা বেতনে দৈনিক ইত্তেফাকে সাব এডিটর হিসেবে সাংবাদিকতা শুরু করেন। ১৯৬৬ সালে তৎকালিন আয়ুব খান সরকার ইত্তেফাক বন্ধ করে দিয়েছিল। সে সময় ইত্তেফাক বন্ধ হলে তিনি পাকিস্তান অবজারভারে কাজ শুরু করেন। ১৯৬৮ সালে ইত্তেফাক পুনরায় প্রকাশিত হলে পাকিস্তান অবজারভার থেকে তিনি আবার ইত্তফাকে যোগ দেন। ১৯৭২ সালে বাংলার বাণী দৈনিক হলে তিনি সেখানে যোগ দেন। এরপর অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে ১৯৭৫ সালে বাংলার বাণী থেকে তিনি সম্পাদক হিসেবে ভারত বিচিত্রায় যোগ দেন।
১৯৮৫ সালে ভারত বিচিত্রা ছেড়ে তিনি দৈনিক জনতায় যোগ দেন। ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত জনতায় ছিলেন। পরে তিনি বাসস, আবাস লাবণী, কনকসহ বিভন্ন পত্রিকায় চাকরি করেন। ২০০৩ সালে বার্তা সম্পাদক হয়ে তিনি পুনরায় জনতায় ফিরে আসেন। ২০১২ সালে আহসান উল্লাহ্ দৈনিক জনতার সম্পাদক হন ২০২০ সালে তিনি কাব্যচচর্চা শুরু করেন। জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে প্রকাশিত কবিতাপত্রে তিনি নিয়মিত কবিতা লিখছেন। তার একটি অনুবাদ গ্রন্থ রয়েছে। ইউক্রেনের লেখক এন কারাজিনের লেখা ‘The cranes flying south’ তিনি বাংলায় অনুবাদ করেছেন। যা বাংলায় ‘বলকারা উড়ে যায়’- নামে প্রকাশ পায়। এছাড়া তিনি পত্রিকায় নিয়মিত প্রবন্ধও লিখেছেন।
এই ত্যাগী সাংবাদিক ও কবি ১৯৪২ সালের ৫ জানুয়ারি যশোরের শালিখা থানার শরুশুনা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। দৈনিক ইত্তেফাকের শহীদ সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেন তার মামা। মামা বাড়িতেই তিনি মানুষ হয়েছেন। কবি আল মাহমুদ তার ঘনিষ্ট একজন বন্ধু ছিলেন।
দৈনিক জনতা সম্পাদক আহসান উল্লাহ্ মৃত্যু
মন্তব্য করুন
প্রথম আলো স্কয়ার গ্রুপ মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ একাত্তর টিভি মিডিয়া স্টার লিমিটেড
মন্তব্য করুন
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেনে, সাংবাদিকদের
দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আবেদনের বাইরে থাকা অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলো বন্ধ করে
দেওয়া হবে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) রাজধানীতে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি আয়োজিত ‘মিট
দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী।
মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, ‘প্রতিষ্ঠিত গণমাধ্যমের ২১৩টি অনলাইন
নিউজ পোর্টাল আছে। এর বাইরে শুধু অনলাইন নিউজ পোর্টালের নিবন্ধন আছে ২১৩টির। এই ৪২৬টির
পাশাপাশি আরও কতগুলো নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে, ছাড়পত্রও হয়েছে। সেগুলোর একটি তালিকা
আছে। এর বাইরে আরও কতগুলো আছে, যেগুলো আবেদন করেছে, প্রক্রিয়াধীন আছে, তবে ছাড়পত্র
হয়নি। সব কটির তালিকা করতে বলা হয়েছে। এগুলো বিটিআরসিতে পাঠাতে বলা হয়েছে। এর বাইরে
যতগুলো অনলাইন নিউজ পোর্টাল আছে, যেগুলো অনিবন্ধিত, সেগুলো বন্ধ করে দেওয়ার দাবি ছিল
সাংবাদিকদের। অনলাইন গণমাধ্যমের কমিটি, প্রেসক্লাবসহ অন্যান্য সাংবাদিক সংগঠনও একই
দাবি করেছে। সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে’।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘তারপর নতুন করে যারা আবেদন করবে,
তখন তা চালু হবে। আবেদন না করলে চালু হবে না। আবেদন করলে নিবন্ধন পাওয়ার আগপর্যন্ত
চালু থাকবে। কারণ, তাকে চলতে হবে, দেখতে হবে যে কেমন হচ্ছে। তারপর যদি ছাড়পত্র না হয়,
তখন আবার বন্ধ। কিন্তু আবেদন করল না, কোনো প্রক্রিয়ায় যায়নি, সেগুলো যদি চলে, সেখানে
যদি অসত্য ও অপতথ্যের মাধ্যমের চকটদার খবর দেওয়া হয়, তাহলে সেই ধরনের সাংবাদিকতা পেশাদারির
সঙ্গে যারা সাংবাদিকতা করছেন, তাদের ক্ষতিগ্রস্ত করে। তাই সাংবাদিকদের সুরক্ষার স্বার্থে,
সাংবাদিকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে’।
এছাড়াও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জায়গাটি সমুন্নত রেখে অপতথ্য রোধ
করতে চান বলে জানান মোহাম্মদ আলী আরাফাত। তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকতার জন্য চমৎকার পরিবেশ
তৈরি করতে চাই। তথ্যপ্রবাহকে অবারিত করতে চাই।’
গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের মতামত নিয়ে প্রস্তাবিত গণমাধ্যমকর্মী আইন
দ্রুত সময়ের মধ্যে পাস করার প্রত্যাশার কথা জানান তথ্য প্রতিমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সৈয়দ
শুকুর আলী ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান।
অনলাইন নিউজ পোর্টাল তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত
মন্তব্য করুন
প্রথম আলো কর্ণফুলী গ্রুপ ট্রান্সকম গ্রুপ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে স্বাধীনতার ইতিহাসে নতুন
রেকর্ডে ছুটি পেলেন সংবাদপত্রে কর্মরত সাংবাদিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। চলত মাসের
১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখের সরকার নির্ধারিত ছুটি এবং নোয়াবের ১৩ এপ্রিল বিশেষ ছুটিসহ
এবারের ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রেকর্ড ৬ দিনের ছুটি পেয়েছে সংবাদপত্রে কর্মরত সাংবাদিক সহ
কর্মকর্তারা।
শনিবার (৬ এপ্রিল) সংবাদপত্রের মালিকদের
সংগঠন নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)-এর বৈঠক শেষে চলতি মাসের
৯ থেকে ১৪ এপ্রিল টানা ৬ দিন ছুটির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়।
তবে প্রচলিত রেওয়াজে, প্রতিবছর সংবাদকর্মীরা
২৯ রমজান থেকে ঈদে তিন দিনের ছুটি ভোগ করেন। রোজা ৩০টি পূর্ণ হলে এই ছুটি চার দিনে
পরিণত হয়। সে হিসাবে ৯ থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত সর্বোচ্চ ছুটি হওয়ার কথা। কিন্তু এবার
ঈদের ছুটির এক দিন পর ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ হওয়ায় সরকার নির্ধারিত ছুটি রয়েছে। এজন্য
নোয়াব ১৩ এপ্রিল বিশেষ ছুটি ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেয়।
এসময় নোয়াবের বৈঠকে ১৩ এপ্রিল বিশেষ
ছুটি ঘোষণার বিষয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য সম্মতি দেন। তা ছাড়া এদিন পত্রিকা প্রকাশ হলেও
সংবাদপত্র বিপণন সংস্থা সংবাদপত্র হকার্স কল্যাণ বহুমুখী সমিতি তা বিপণনে অপারগতা জানায়।
অন্যদিকে ঈদের ছুটির এক দিন পরই পহেলা
বৈশাখের ছুটি থাকায় সাংবাদিকদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)
ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নও (ডিইউজে) নোয়াবের কাছে ১৩ এপ্রিল বিশেষ ছুটি ঘোষণার আহ্বান
জানায়।
ডিইউজে সভাপতি সোহেল হায়দার
চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, ঈদের ছুটি চিরাচরিত। একইভাবে পহেলা বৈশাখের ছুটিও। কিন্তু
এবার ঈদের ছুটির এক দিন পরই পহেলা বৈশাখ। তাই সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা যাতে পরিবারের
সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ পান, আমরা সেই আবেদন নোয়াবের কাছে জানিয়েছি। এতে কর্মীদের
কর্মস্পৃহা আরও বাড়বে। তা ছাড়া গণমাধ্যমে ছুটিও এমনিতে অনেক কম।
তিনি জানান, ঈদের ছুটি ৬ দিন হওয়ায় এটি রেকর্ড। স্বাধীনতার পর আর কখনও সংবাদমাধ্যম ৬ দিন বন্ধ থাকেনি।
মন্তব্য করুন
মিডিয়া স্টার লিমিটেডের মালিকানাধীন প্রথম আলো বিক্রির জন্য মালিকপক্ষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তারা প্রথম আলো বিক্রি করার জন্য বিভিন্ন শিল্প গ্রুপের সাথে কথাবার্তা বলছেন। প্রথম আলোর সম্পাদক ও প্রকাশক মতিউর রহমান নিজেই দু একটি শিল্প গ্রুপের সাথে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেছেন বলে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়াও মালিকপক্ষের অন্যরা সিমিন রহমান শাজরেহ হক দুজনই প্রথম আলো বিক্রির জন্য বিভিন্ন শিল্প গ্রুপের নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে আলাপ করছেন বলে জানা গেছে।
প্রথম আলো বিক্রির গুঞ্জন সত্য হিসেবে পল্লবিত হতে শুরু করেছে। প্রথম আলো বিক্রির জন্য দু’টি প্রতিষ্ঠানের মালিকপক্ষ অনানুষ্ঠানিকভাবে আলাপ-আলোচনা শুরু করেছেন বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে নিশ্চিত করেছে। ট্রান্সকম গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ‘মিডিয়া স্টার লিমিটেড’ বিক্রির বিষয়টি নিয়ে পর্দার আড়ালে আলাপ-আলোচনা এবং দর কষাকষি শুরু হয়েছে বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।
ট্রান্সকম গ্রুপের পারিবারিক বিরোধের কারণে প্রথম আলো বিক্রি হয়ে যাচ্ছে—এমন গুঞ্জন এখন মিডিয়া পাড়ায়। বিভিন্ন সূত্র দাবি করেছে যে, মামলার সমঝোতা করতে গিয়ে দুই বোন একটি আপস ফর্মুলা আসার চেষ্টা করছে এবং সেই আপস ফর্মুলা অংশ হিসেবে তারা কিছু প্রতিষ্ঠান বিক্রি করে দেওয়ার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছেন। এই পরিকল্পনা যদি শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত হয় তাহলে প্রথম আলো বিক্রি হয়ে যাবে।