গত বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রথম আলো পত্রিকার নিবন্ধন বাতিল ও চক্রান্তকারীদের শাস্তি চেয়ে মানব-বন্ধন করেছে স্বাধীনতা-সচেতন নাগিরক সমাজ। এতে বিনোদন জগতের অনেকের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সাতবারের মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার জয়ী চিত্রনায়ক রিয়াজ, তিন বার এই পুরস্কার পাওয়া অভিনেত্রী তারিন জাহান ও অভিনেত্রী তানভিন সুইটিসহ আরও বেশ কয়েকজন।
এদিন প্রথম আলোর নিবন্ধন বাতিল এবং স্বাধীনতা বিরোধী চক্রান্তকারীদের মানববন্ধনের পর থেকেই সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে এই নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠেছে। সেই সঙ্গে স্বাধীনতা বিরোধী ষড়যন্ত্রকারী এবং বাংলাদেশ বিরোধী অপশক্তির দোসর দেশের বহুল প্রচারিত দৈনিকটির নিবন্ধন বাতিল এবং পত্রিকাটি বন্ধের দাবিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।
আবার কেউ কেউ পত্রিকাটির পক্ষেও অবস্থান নিয়েছেন নিজস্ব স্বার্থ সংশ্লিষ্টতা থাকার কারণে। এ ধরনের স্বার্থ সংশ্লিষ্টতার অন্যতম একটি হচ্ছে ‘মেরিল-প্রথম আলো পুরষ্কার’। প্রথম আলো পত্রিকার নিবন্ধন বাতিল ও চক্রান্তকারীদের শাস্তি চেয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত মানববন্ধনে অংশ নিয়েছিলেন সাতবারের ‘মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার’ জয়ী চিত্রনায়ক রিয়াজ, তিন বার এই পুরস্কার পাওয়া অভিনেত্রী তারিন জাহান ও অভিনেত্রী তানভিন সুইটিসহ আরও বেশ কয়েকজন। কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন, যেহেতু এসব শিল্পীরা ‘মেরিল-প্রথম আলো পুরষ্কার’ বিজয়ী হয়েছিলেন এবং তারা এই পত্রিকাটির নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে মানববন্ধনে অংশ নিয়েছেন, তবে কি তারা এই পুরষ্কার বর্জন করবেন?
এ বিষয়ে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের বিশেষ প্রতিনিধি আদিত্য আরাফাত তার ফেইসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘বছর দশ-পনের আগে গুণী অভিনেত্রী প্রিয় তারিন আপার অনেক ইন্টারভিউ পড়েছি প্রথম আলোতে। পত্রিকাটির আনন্দ এবং বিনোদন পাতায় ব্যাপক কাভারেজ দেয়া হতো। মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারও নিয়েছেন তারিন আপা। তো, প্রথম আলো পুরস্কার জয়ী আপা এখন পত্রিকাটির নিবন্ধন বাতিলের দাবি নিয়ে রাস্তায় নেমেছেন। সুইটি আপাও তাই। পাশে পরিচিত মুখ নায়ক রিয়াজ ভাইকেও দেখলাম মলিন মুখে পত্রিকাটি বন্ধের দাবি নিয়ে রাস্তায় দাঁড়াতে। প্রিয় রিয়াজ ভাই অবশ্য প্রথম ব্যক্তি যিনি চলচ্চিত্রে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার পেয়েছেন। রিয়াজ-তারিন-সুইটি আপাদের মানববন্ধন নিয়ে আমার পক্ষে-বিপক্ষে কোনো মত নেই। তবে আমি মনে করি, তাদের এমন দাবির প্রেক্ষিতে পত্রিকাটির নিবন্ধন বা ডিক্লারেশন বাতিলের মতো অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত সরকার নেবে না ‘
তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমার জানার আগ্রহ, রিয়াজ-তারিন আপা এখন মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার বর্জন করবেন কি না! আমি মনে করি করা উচিত, কারণ প্রথম আলোকে স্বাধীনতা বিরোধী পত্রিকা বলে সে পুরস্কার ঘরে সাজিয়ে রাখার যৌক্তিকতা নেই। এটা স্ববিরোধীতা। আমি আশা করছি, উনারা পুরস্কারগুলো ছুড়ে ফেলবেন। ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করে ফেলবেন মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার। তাদের এমন সাহসীকাণ্ড দেখে আমি তাদের ধন্যবাদ দিয়ে পোস্ট দেয়ার অপেক্ষায় রইলাম.... ’
আদিত্য আরাফাতের এমন স্ট্যাটাসের প্রতিক্রিয়ার মহলটা বেশ বড়। স্ট্যাটাসটিতে লাইক পড়েছে ১ হাজার ২শ’র উপরে। কমেন্ট হয়েছে দুইশ ষাট বা তারও বেশি।
প্রতিক্রিয়ায়, সেলিম ভূইয়া নামের এক ব্যক্তি লিখেছেন, ‘যখন পুরস্কার জিতেছে, তখন স্বাধীনতা বিরোধী কিছু করেনি, কিন্তু এখন করছে, মন্তব্য আশা করছি?’
রকিব হাসান নামের এক ব্যক্তি লিখেছেন, ‘একটা পত্রিকার এ রকম পলিটিক্যাল স্টান্টবাজির দরকার কেন হয় এইটা তো কেউ বলে না। এইটা কি আপনাদের এথিক্সের মধ্যে পড়ে?’
ইংরেজি দৈনিক অবজারভার এর অনলাইন সম্পাদক কাজী আব্দুল হান্নান লিখেছেন, ‘ইমেজ সংকট কাটাতে প্রথম আলো পোষ্য সুশীলদের মাঠে নামিয়েছে সহানুভূতি সংগ্রহের মিশন দিয়ে।’
মাহবুব মিলন নামে এক ব্যক্তি লিখেছেন, ‘তাদের কাছ থেকে পুরষ্কার কেড়ে নিয়ে হিরো আলমকে দিয়ে দেওয়া উচিত!’
এসব প্রতিক্রিয়ার মধ্যে পত্রিকাটির পক্ষে- বিপক্ষেও অভিমত রয়েছে। তবে, অনেকেই প্রথম আলো এবং এর পালিত সুশীলদের স্বাধীনতা বিরোধী চক্রান্তের বিচার দাবি করেছেন। সেই সঙ্গে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি এই দৈনিকটির নিবন্ধন বাতিল করতে জোড় দাবি জানিয়েছেন।
শুধুমাত্র আদিত্য আরাফাতের এই স্ট্যাটাসটিই নয়- এমন অনেক স্ট্যাটাসই ঘুড়ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। নেটিজেনরা তাদের বিভিন্ন বক্তব্যের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতাকে কটাক্ষ করার প্রতিবাদ এবং স্বাধীনতা বিরোধী এই পত্রিকাটি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। এখন দেখার বিষয় দেশের গণমানুষের এমন দাবির প্রেক্ষিতে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করে সরকার?
প্রথম আলো নিবন্ধন বাতিল সোশ্যাল মিডিয়া
মন্তব্য করুন
প্রথম আলো কর্ণফুলী গ্রুপ ট্রান্সকম গ্রুপ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে স্বাধীনতার ইতিহাসে নতুন
রেকর্ডে ছুটি পেলেন সংবাদপত্রে কর্মরত সাংবাদিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। চলত মাসের
১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখের সরকার নির্ধারিত ছুটি এবং নোয়াবের ১৩ এপ্রিল বিশেষ ছুটিসহ
এবারের ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রেকর্ড ৬ দিনের ছুটি পেয়েছে সংবাদপত্রে কর্মরত সাংবাদিক সহ
কর্মকর্তারা।
শনিবার (৬ এপ্রিল) সংবাদপত্রের মালিকদের
সংগঠন নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)-এর বৈঠক শেষে চলতি মাসের
৯ থেকে ১৪ এপ্রিল টানা ৬ দিন ছুটির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়।
তবে প্রচলিত রেওয়াজে, প্রতিবছর সংবাদকর্মীরা
২৯ রমজান থেকে ঈদে তিন দিনের ছুটি ভোগ করেন। রোজা ৩০টি পূর্ণ হলে এই ছুটি চার দিনে
পরিণত হয়। সে হিসাবে ৯ থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত সর্বোচ্চ ছুটি হওয়ার কথা। কিন্তু এবার
ঈদের ছুটির এক দিন পর ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ হওয়ায় সরকার নির্ধারিত ছুটি রয়েছে। এজন্য
নোয়াব ১৩ এপ্রিল বিশেষ ছুটি ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেয়।
এসময় নোয়াবের বৈঠকে ১৩ এপ্রিল বিশেষ
ছুটি ঘোষণার বিষয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য সম্মতি দেন। তা ছাড়া এদিন পত্রিকা প্রকাশ হলেও
সংবাদপত্র বিপণন সংস্থা সংবাদপত্র হকার্স কল্যাণ বহুমুখী সমিতি তা বিপণনে অপারগতা জানায়।
অন্যদিকে ঈদের ছুটির এক দিন পরই পহেলা
বৈশাখের ছুটি থাকায় সাংবাদিকদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)
ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নও (ডিইউজে) নোয়াবের কাছে ১৩ এপ্রিল বিশেষ ছুটি ঘোষণার আহ্বান
জানায়।
ডিইউজে সভাপতি সোহেল হায়দার
চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, ঈদের ছুটি চিরাচরিত। একইভাবে পহেলা বৈশাখের ছুটিও। কিন্তু
এবার ঈদের ছুটির এক দিন পরই পহেলা বৈশাখ। তাই সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা যাতে পরিবারের
সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ পান, আমরা সেই আবেদন নোয়াবের কাছে জানিয়েছি। এতে কর্মীদের
কর্মস্পৃহা আরও বাড়বে। তা ছাড়া গণমাধ্যমে ছুটিও এমনিতে অনেক কম।
তিনি জানান, ঈদের ছুটি ৬ দিন হওয়ায় এটি রেকর্ড। স্বাধীনতার পর আর কখনও সংবাদমাধ্যম ৬ দিন বন্ধ থাকেনি।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাব ষষ্ঠ বর্ষ পেরিয়ে সপ্তম বর্ষে পদার্পণ করেছে। ‘সর্বদা সত্যের সন্ধানে’ স্লোগান নিয়ে ২০১৮ সালের ৪ এপ্রিল যাত্রা শুরু করে সংগঠনটি।
আহ্বায়ক কমিটির মাধ্যম ৯ জন সদস্য নিয়ে যাত্রা করে সাংবাদিক সংগঠনটি। যাত্রা শুরুর পর থেকেই বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ উপস্থাপনের জন্য প্রশংসিত সংগঠনটির সাথে বর্তমানে ২৫ জন সদস্য কাজ করছে, পাশাপাশি রয়েছে পনেরর অধিক সহযোগী সদস্যও। সিনিয়র-জুনিয়রদের আন্তরিক সহযোগিতার মাধ্যমে ক্যাম্পাসে নিরলসভাবে সংবাদ উপস্থাপনের কাজ করে যাচ্ছে সংগঠনটি।
কুবি প্রেসক্লাবের সহযোগী সদস্য আতিকুর রহমান তনয় বলেন, এক পা-দু’ পা করতে করতে ৭ বছরে পা রাখলো কুবি প্রেস ক্লাব। এই সংগঠনের সাথে আমার কাজ করার বয়স ২ বছরেরও বেশি। সাংবাদিকতার শিক্ষার্থী হিসেবে একাডেমিক জ্ঞানকে হাতে কলমে শেখার জন্যই এখানে আসা। কুবি প্রেস ক্লাব শিক্ষানবিশ সাংবাদিকদের হাতে-কলমে সাংবাদিকতা শেখানোর পাশাপাশি কুবি ক্যাম্পাসের উন্নয়ন, অগ্রগতিকে দেশবাসীর কাছে তুলে ধরে। পাশাপাশি দল-মত নির্বিশেষে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতির বিরুদ্ধেও কলম চালায়। কুবি প্রেসক্লাবের কলম যোদ্ধাদের কলম 'সর্বদা সত্যের সন্ধানে' চলমান থাকবে বলে আশা করি।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী প্রসঙ্গে সংগঠনটির বর্তমান সভাপতি ইকবাল হাসান বলেন, 'সাত বছরে পা দিলো কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাব। এই দীর্ঘ যাত্রায় নানা প্রতিকূল পরিস্থিতি দেখতে হয়েছে আমাদের অগ্রজদের ও আমাদের। সবসময়ই প্রতিকূল পরিস্থিতি থাকবে। তবে সকল প্রতিকূল পরিস্থিতি কাটিয়ে সবসময় সত্যের পথে চলবে সংগঠনটি।’
সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাকালীন আহ্বায়ক শতাব্দী জুবায়ের বলেন, ‘কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাবের সপ্তমবর্ষে পদার্পন উপলক্ষে সকলকে শুভেচ্ছা। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সত্য ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছে ক্লাবের একঝাঁক তরুণ সংবাদকর্মী। তাদের এই প্রচেষ্টা সফল হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবারের সদস্যদের আন্তরিক সহযোগিতায়। প্রেস ক্লাব ক্যাম্পাসের প্রসার এবং প্রচারে মুখ্য ভূমিকা পালন করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোন সংকটে প্রেস ক্লাব ক্যাম্পাসের পাশে আছে এবং থাকবে এই বিশ্বাস এবং আস্থা পরিবারের সকলে রাখবেন বলে আশা করি। বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বমানের কাজ করুক আর তার প্রচারে মুখ্য ভূমিকা পালন করবে প্রেস ক্লাব। ক্লাবের আগামী আরও সুন্দর ও সাফল্য মণ্ডিত হোক।'
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কুবি প্রেস ক্লাব সাংবাদিক সমিতি
মন্তব্য করুন
রাজশাহী টেলিভিশন জার্নালিস্ট ইউনিটির (আরটিজেইউ) যাত্রা শুরু হলো। বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে রাজশাহীর টেলিভিশন সাংবাদিকদের নিয়ে নগরীর কাদিরগঞ্জ এলাকায় একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে একুশে টিভির রাজশাহী বিভাগীয় প্রতিনিধি বদরুল হাসান লিটনকে আহ্বায়ক, একাত্তর টিভির মেহেদী হাসানকে যুগ্ম আহ্বায়ক এবং মাই টিভির রাজশাহী প্রতিনিধি শাহরিয়ার অন্তুকে সদস্য সচিব করে কমিটি গঠন করা হয়।
এ কমিটির সদস্য হিসেবে রয়েছেন দ্বীপ্ত টিভির রাজশাহী প্রতিনিধি ইউসূফ আদনান, ইনডিপেন্ডেন্ট টিভির রাজশাহী প্রতিনিধি রাসেল মোস্তাফিজ, ক্যামরাপার্সন জাফর ইকবাল লিটন ও সময় টিভির রাজশাহী ক্যামেরাপার্সন হাবিবুর রহমান পাপ্পু।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সময় টিভির রাজশাহী ব্যুরো প্রধান সাইফুর রহমান রকি, নাগরিক টিভির রাজশাহী ব্যুরো প্রধান রফিকুল ইসলাম, বাংলা টিভির রাজশাহী প্রতিনিধি বিজয় ঘোষ, সময় টিভির রাজশাহী প্রতিনিধি শাহীন আলম ও ক্যামেরাপার্সন আব্দুস সালাম, একুশে টিভির ক্যামেরাপার্সন হাসান আল মাবিন, দীপ্ত টিভির ক্যামেরাপার্সন রফিকুল ইসলাম, আরটিভির রাজশাহী প্রতিনিধি মোস্তাফিজুর রহমান রকি, বিটিভির ক্যামেরাপার্সন শাহরিয়ার শেখ সুমন, নাগরিক টিভির রাজশাহী প্রতিনিধি শিরিন সুলতানা কেয়া, ক্যামেরাপার্সন মখলেছুর রহমান, বাংলা টিভির রাজশাহী ক্যামেরাপার্সন অজয় ঘোষ, এটিএন বাংলার রাজশাহী ক্যামেরাপার্সন ওয়াহিদ মুরাদ।
সভায় রাজশাহীতে টেলিভিশনে কর্মরত সকল সাংবাদিকদের পেশাগত মানোনয়ন এবং তাদের সকল সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে সংগঠনটি কাজ করবে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এর জন্য সগংঠনের বাইরে থাকা অন্য সাংবাদিকদেরও এ কমিটিতে পর্যায়ক্রমে অন্তর্ভূক্তি করা হবে। সে লক্ষ্যেও কাজ করবে এ সংগঠনটি।
এছাড়াও নবগঠিত আরটিজেইউ’র যে সকল সদস্য রাজশাহী টেলিভিশন জার্নালিস্ট এ্যাসোসিয়েশনে সদস্য হিসেবে আছেন সেখান থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন। সেটি আজ থেকে কার্যকর হবে বলেও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
রাজশাহী সাংবাদিক আরটিজেইউ রাজশাহী টেলিভিশন জার্নালিস্ট ইউনিটি
মন্তব্য করুন
প্রথম আলো বিক্রির গুঞ্জন সত্য হিসেবে পল্লবিত হতে শুরু করেছে। প্রথম আলো বিক্রির জন্য দু’টি প্রতিষ্ঠানের মালিকপক্ষ অনানুষ্ঠানিকভাবে আলাপ-আলোচনা শুরু করেছেন বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে নিশ্চিত করেছে। ট্রান্সকম গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ‘মিডিয়া স্টার লিমিটেড’ বিক্রির বিষয়টি নিয়ে পর্দার আড়ালে আলাপ-আলোচনা এবং দর কষাকষি শুরু হয়েছে বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।
ট্রান্সকম গ্রুপের পারিবারিক বিরোধের কারণে প্রথম আলো বিক্রি হয়ে যাচ্ছে—এমন গুঞ্জন এখন মিডিয়া পাড়ায়। বিভিন্ন সূত্র দাবি করেছে যে, মামলার সমঝোতা করতে গিয়ে দুই বোন একটি আপস ফর্মুলা আসার চেষ্টা করছে এবং সেই আপস ফর্মুলা অংশ হিসেবে তারা কিছু প্রতিষ্ঠান বিক্রি করে দেওয়ার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছেন। এই পরিকল্পনা যদি শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত হয় তাহলে প্রথম আলো বিক্রি হয়ে যাবে।
রাজশাহী টেলিভিশন জার্নালিস্ট ইউনিটির (আরটিজেইউ) যাত্রা শুরু হলো। বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে রাজশাহীর টেলিভিশন সাংবাদিকদের নিয়ে নগরীর কাদিরগঞ্জ এলাকায় একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে একুশে টিভির রাজশাহী বিভাগীয় প্রতিনিধি বদরুল হাসান লিটনকে আহ্বায়ক, একাত্তর টিভির মেহেদী হাসানকে যুগ্ম আহ্বায়ক এবং মাই টিভির রাজশাহী প্রতিনিধি শাহরিয়ার অন্তুকে সদস্য সচিব করে কমিটি গঠন করা হয়।