প্রেস ইনসাইড

একই জরিপ নিয়ে দুইরকম প্রতিবেদন, সত্য কোনটা?

প্রকাশ: ০৩:০২ পিএম, ০৯ অগাস্ট, ২০২৩


Thumbnail

একটা সময় ছিল যখন সংবাদপত্রে কোন কিছু লেখা হলে সেটি মানুষ বিশ্বাস করত। অনিয়ম-দুর্নীতিসহ নানা অপকর্মের সাথে যারা জড়িত তাদের মধ্যে ভয় কাজ করত যাতে সংবাদপত্রে তাদের কর্মকান্ড নিয়ে কোনকিছু প্রকাশিত না হয়। কিন্তু এই ধারণায় এখন অনেক পরিবর্তন এসেছে। মানুষ এখন সংবাদপত্রে কিছু দেখলেই সেটি আর বিশ্বাস করতে চায় না। সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকদের ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা বেশ কমে গেছে। প্রায়ই আংশিক সত্য খবর এবং ভিন্ন ভিন্ন সংবাদমাধ্যমে একই ঘটনার ভিন্ন ভিন্ন তথ্য উপাত্ত কিংবা তথ্য হেরফের করে পক্ষপাতমূলক সংবাদ প্রকাশের কারণেই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা এবং আজকের পত্রিকা ঘাটলেই এর উদাহরণ দেখতে পাওয়া যায়।

‘৫৩ শতাংশ মানুষের মতে দেশ ভুল পথে যাচ্ছে: আইআরআইয়ের জরিপ’ এই শিরোনামে আজ বুধবার (৯ আগস্ট) একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে বাংলাদেশের দৈনিক প্রথম আলো। মূলত ওয়াশিংটনভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) এক জনমত জরিপের আলোকে এই প্রতিবেদন করে প্রথম আলো। অন্যদিকে দেশের আরেকটি জনপ্রিয় দৈনিক কালের কন্ঠ একই জরিপের আলোকে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। কিন্তু তাদের প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল ‘শেখ হাসিনা ভালো করেছেন মনে করে ৭০% মানুষ’

একই জরিপের উপর ভিত্তি করে দুই পত্রিকার দুইরকম প্রতিবেদন। যে কেউ এতে বিভ্রান্ত হবেন এবং সংবাদপত্রের উপর তাদের এক ধরণের অনাস্থা সৃষ্টি হবে। দেশের সাংবাদিকতা যে বিভক্ত, পক্ষপাতদুষ্টু, রাজনীতি দ্বারা প্রভাবিত এবং ক্ষমতা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে কিংবা ক্ষমতাসীন দলকে চাপে ফেলতে বা কোণঠাসা করতে গণমাধ্যমকে যে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয় এই প্রতিবেদন তার আরেকটি প্রমাণ হয়ে থাকবে।

আইআরআইয়ের জরিপে ভাল-খারপ দুটি দিকই উঠে এসেছে। কিন্তু প্রথম আলো গত এক বছর যাবত সরকার বিরোধী একটি অবস্থানে রয়েছে এবং সরকারের নাতিবাচক দিকগুলো এবং অনেকসময় তথ্যকে বিকৃত করে সেটিকে বেশ ফলাওভাবে প্রকাশ এবং প্রচার করে। এখানেও সেই ধারা তারা বজায় রেখেছে। অন্যদিকে কালের কন্ঠ সরকারের পক্ষের দৈনিক হিসেবে পরিচিত এবং তারা আইআরআইয়ের জরিপের ইতিবাচক দিকগুলোকে প্রাধান্য দিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করেছে। দুটি পত্রিকাই আংশিক সত্য প্রকাশ করেছে। কেউই পুরো সত্যটি প্রকাশ করেনি। তাহলে একজন পাঠক সত্য জানবে কিভাবে?

 

প্রথম আলো এবং কালের কন্ঠের প্রতিবেদন দুটি পাঠকদের স্বার্থে নিচে প্রকাশ করা হল:

কালের কন্ঠ

শেখ হাসিনা ভালো করেছেন মনে করে ৭০% মানুষ

 

বাংলাদেশে চালানো এক জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৭০ শতাংশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট- আইআরআইয়ের সেন্টার ফর ইনসাইটস ইন সার্ভে রিসার্চ ওই জরিপ পরিচালনা করে।

গতকাল মঙ্গলবার আইআরআইয়ের ওয়েবসাইটে ‘ন্যাশনাল সার্ভে অব বাংলাদেশ, মার্চ-এপ্রিল ২০২৩’ শীর্ষক জরিপ প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে। দেশের ৬৪টি জেলার ১৮ বছর বা তার বেশি পাঁচ হাজার অংশগ্রহণকারীর ওপর ওই জরিপ পরিচালনা করা হয়।

জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার জনসমর্থন ধরে রেখেছে। তবে বিরোধী দলের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। ২০১৪ সালের পর প্রথমবারের মতো বেশির ভাগ বাংলাদেশি বিশ্বাস করছে, বাংলাদেশ সঠিক পথে নেই।

নির্বাচনী স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা উন্নত হলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশিরা ভোট দিতে আগ্রহী।

জরিপের উত্তরদাতাদের ৯২ শতাংশ বলেছে, আগামী জাতীয় নির্বাচনে তাদের ভোট দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ৫৭ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছে, তারা ‘খুব সম্ভবত’ ভোট দেবে। যারা ভোট দিতে চায় না তারা নির্বাচনী জালিয়াতি এবং ভোটার নিবন্ধন সংক্রান্ত সমস্যাকে ভোটদানের প্রধান বাধা হিসেবে উল্লেখ করেছে। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৪৪ শতাংশ বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনব্যবস্থায় ফেরাকে সমর্থন করে।

তবে তাদের বেশির ভাগই মনে করে, যে সরকারের অধীনেই নির্বাচন হোক না কেন বিরোধীদের এতে অংশ নেওয়া উচিত।

আইআরআইয়ের দক্ষিণ এশিয়ার পরিচালক স্টিভ সিমা বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনের জন্য জনসমর্থন দেখা উৎসাহব্যঞ্জক।

জরিপে একটি প্রশ্ন ছিল, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার কাজকে অংশগ্রহণকারীরা কিভাবে মূল্যায়ন করে। এ ক্ষেত্রে পাঁচটি সম্ভাব্য উত্তর থেকে একটি বেছে নেওয়ার সুযোগ ছিল। ৩০ শতাংশ অংশগ্রহণকারী শেখ হাসিনার কাজকে ‘খুব ভালো’ বলে মূল্যায়ন করেছে।

৪০ শতাংশ মনে করে, শেখ হাসিনার কাজ ‘মোটামুটি ভালো’। ২০ শতাংশ অংশগ্রহণকারী মনে করে, শেখ হাসিনার কাজ ‘মোটামুটি খারাপ’। ১০ শতাংশ অংশগ্রহণকারী শেখ হাসিনার কাজকে ‘খুব খারাপ’ বলে মূল্যায়ন করেছে। এ ছাড়া ১ শতাংশ অংশগ্রহণকারী শেখ হাসিনার কাজ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি বা তারা জানে না।

জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অংশগ্রহণকারীদের প্রতিক্রিয়া জানানোর হার ছিল ৪৭ শতাংশ। ‘মার্জিন অব এরর’ ধরা হয়েছে প্লাস বা মাইনাস ১.৪ শতাংশ। চার্ট বা গ্রাফগুলোর যোগফল ১০০ শতাংশ না-ও হতে পারে।

জরিপে শেখ হাসিনার প্রতি সমর্থন বৃদ্ধির আভাস থাকলেও দেশ ভুল পথে যাচ্ছে—এমন প্রতিক্রিয়া বেড়েছে। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরের জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৭৬ শতাংশ বলেছিল দেশ সঠিক পথে যাচ্ছে। এ বছরের এপ্রিলে এই হার ৪৪ শতাংশে নেমে এসেছে। ৫৩ শতাংশ অংশগ্রহণকারী মনে করে দেশ সঠিক পথে যাচ্ছে না।

দেশ সঠিক পথে যাচ্ছে এটি মনে করার কারণ হিসেবে ১৯ শতাংশই দেশের সার্বিক উন্নতির কথা বলেছে। ১৪ শতাংশ অংশগ্রহণকারী বলেছে জীবনমান উন্নয়নের কথা। ১২ শতাংশ ডিজিটাল বাংলাদেশ (রূপকল্প ২০২১), ১১ শতাংশ অংশগ্রহণকারীর অর্থনৈতিক উন্নতি ও ৭ শতাংশ অংশগ্রহণকারী পদ্মা সেতু নির্মাণের কারণে দেশ সঠিক পথে যাচ্ছে বলে মনে করে।

দেশ সঠিক পথে নেই—এটি মনে করার পেছনে ৫০ শতাংশ অংশগ্রহণকারী দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিকে দায়ী করেছে। ১৩ শতাংশ অংশগ্রহণকারী দুর্নীতি বেড়েছে, এমন ভাবনাকে দায়ী করেছে। ৪ শতাংশ অংশগ্রহণকারী ‘একপেশে সরকার’ এবং আরো ৪ শতাংশ অংশগ্রহণকারী দেশে গণতন্ত্রের অভাবকে দায়ী করেছে।

জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ২৫ শতাংশ মনে করে, দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি খুব ভালো। ৩৬ শতাংশ মনে করে, ভালো। ২১ শতাংশ অংশগ্রহণকারী মনে করে, দেশে নিরাপত্তা পরিস্থিতি খারাপ। ১৫ শতাংশ মনে করে, খুব খারাপ।

জরিপে অংশ নেওয়া ৪৫ শতাংশ ব্যক্তি দেশের অর্থনীতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে। ওই ৪৫ শতাংশের মধ্যে ১৬ শতাংশ মনে করে, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি খুব ভালো। ৩০ শতাংশ অংশগ্রহণকারী অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ‘খারাপ’ ও ২১ শতাংশ অংশগ্রহণকারী অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ‘খুব খারাপ’ বলে মন্তব্য করেছে।

৪৪ শতাংশ অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়ে সন্তোষ ও ৪৭ শতাংশ অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও অর্থনীতি নিয়ে অসন্তোষ বৃদ্ধির তথ্য প্রকাশ পেয়েছে জরিপে।

আগামী বছর অর্থনৈতিক পরিস্থিতি কেমন যাবে—এমন প্রশ্নের উত্তরে ২৬ শতাংশ ‘ভালো’ বলে মন্তব্য করেছে। ৩২ শতাংশ মনে করে, আগামী বছর অর্থনৈতিক পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকবে। ৩৬ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করে, পরিস্থিতির অবনতি হবে। আগের জরিপগুলোর তুলনায় এ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে। ২০১৯ সালের এপ্রিলের জরিপে ৫৪ শতাংশ উত্তরদাতা পরবর্তী বছরগুলোতে অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো থাকবে বলে আশাবাদী ছিল।

 

প্রথম আলো

৫৩ শতাংশ মানুষের মতে দেশ ভুল পথে যাচ্ছে: আইআরআইয়ের জরিপ

 

বাংলাদেশের ভোটারদের মধ্যে ৫৩ শতাংশ মনে করেন দেশ ভুল পথে যাচ্ছে। এ জন্য দ্রব৵মূল্যের ঊর্ধ্বগতিকে প্রধান কারণ বলে মনে করেন তাঁদের ৫০ শতাংশ। অপরদিকে ৪৪ শতাংশ মানুষ মনে করেন দেশ সঠিক পথে এগোচ্ছে। এর প্রধান কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নকে। যদিও ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে জরিপের ফল ছিল, ৭৬ শতাংশ মানুষ মনে করেন দেশ সঠিক পথে রয়েছে।

ওয়াশিংটনভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) এক জনমত জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। গত ১ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত জরিপটি চালানো হয়। জরিপে অংশ নেন দেশের ৬৪টি জেলার ৫ হাজার প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষ। জরিপের তত্ত্বাবধায়ন করেছে রেডস্টোন সায়েন্টিফিক।

আইআরআইয়ের ওয়েবসাইটে গতকাল মঙ্গলবার জরিপে ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়, ২০১৪ সালের পর এই প্রথম দেশ সঠিক পথে এগোচ্ছে না বলে বেশির ভাগ মত এসেছে।

২০২৪ সালের জানুয়ারির আগে বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। জরিপে উঠে এসেছে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সরকারের কার্যক্রমের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন ৭০ ভাগ মানুষ। অপরদিকে বিরোধী দলের প্রতি জনমত আগের চেয়ে বেড়েছে। দেশের ৬৩ শতাংশ মানুষের সমর্থন পেয়েছে বিরোধী দল, যা ২০১৯ সালে ছিল ৩৬ শতাংশ।

জরিপের ফলে দেখা গেছে, নির্বাচনে স্বচ্ছতা ও সুষ্ঠুতা থাকলে বেশির ভাগ বাংলাদেশি আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে আগ্রহী। জরিপে অংশ নেওয়া ৯২ শতাংশ জানিয়েছেন, আগামী নির্বাচনে তাঁদের ভোট দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর যাঁরা ভোট দিতে চান না, তাঁরা এর পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে দেখিয়েছেন নির্বাচনে কারচুপি ও ভোটারদের নিবন্ধনসংক্রান্ত বিষয়গুলোকে।

জরিপ অনুযায়ী, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে মত দিয়েছেন ৪৪ শতাংশ মানুষ। এর বিপরীতে বেশির ভাগ মানুষ মনে করেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়াই বিরোধী দলকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া উচিত।

জরিপের বিষয়ে আইআরআইয়ের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক পরিচালক স্টিভ চিমা বলেন, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের প্রতি মানুষের সমর্থন উঠে আসাটা উৎসাহব্যঞ্জক।

বাংলাদেশে আগামী জানুয়ারির মধ্যে সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।

 



মন্তব্য করুন


প্রেস ইনসাইড

১০৩ বার পিছিয়ে গেল সাগর-রুনি হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১২:০৬ পিএম, ১৬ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

আলোচিত সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ আবার পিছিয়েছে যে সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০৩ বার। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৯ ডিসেম্বর দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য থাকলেও তা না করায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন ১৯ ডিসেম্বর নতুন তারিখ ঠিক করেন।

জানা যায়, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনিকে হত্যা করা হয়। এরপর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

প্রথমে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার এক উপ-পরিদর্শক (এসআই)। চারদিন পর চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয় ডিবি। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে একই বছরের ১৮ এপ্রিল হত্যা মামলাটির তদন্তভার র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়।


সাগর-রুনি   তদন্ত   প্রতিবেদন  


মন্তব্য করুন


প্রেস ইনসাইড

সাংবাদিকদের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ

প্রকাশ: ০৪:৫৮ পিএম, ২৯ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail

বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সাংবাদিকদের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ। সাংবাদিকদের ওপর হামলা-নিরাপত্তাহীনতায় তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

আজ রোববার এক বিবৃতিতে সম্পাদক পরিষদ এই নিন্দা ও উদ্বেগ জানায়।

গতকাল শনিবার পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে প্রায় ২৫ জন সাংবাদিক আহত বা হামলার শিকার হয়েছেন বলে সম্পাদক পরিষদ জানিয়েছে। এ ঘটনাকে অত্যন্ত নিন্দনীয় বলে অভিহিত করেছে সম্পাদক পরিষদ।

সম্পাদক পরিষদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সাংবাদিকেরা পেশাগত দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মসূচির সংবাদ সংগ্রহ করেন। তাঁরা তা জনগণের সামনে তুলে ধরেন। কিন্তু এই দায়িত্ব পালনের সময় তাঁদের ওপর আক্রমণ বা নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়া খুবই উদ্বেগের।

পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিকদের নিরাপত্তা যেন নিশ্চিত করা হয়, সে জন্য সব রাজনৈতিক দল ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ।



বিএনপি   মহাসমাবেশ   হামলা   নিন্দা   সম্পাদক   পরিষদ  


মন্তব্য করুন


প্রেস ইনসাইড

বিএনপি-জামায়াতকে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম সাংবাদিকদের

প্রকাশ: ০২:৪৮ পিএম, ২৯ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail

সরকার পতনের দাবিতে গতকাল (২৮ অক্টোবর) বিএনপি-জামায়াতের মহাসমাবেশ চলাকালে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় এক বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।

আজ রোববার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে আয়োজিত এ  বিক্ষোভ সমাবেশে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তারসহ ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বিএনপি ও জামায়াতের পক্ষ থেকে ক্ষমা চাওয়ার আহবান জানিয়েছে সাংবাদিক সমাজ।

সাংবাদিক নেতারা জানান, সরকার পতনে বিএনপি-জামায়াতের একদফা কর্মসূচি চলাকালে বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। এ হামলায় জড়িতদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করতে হবে। এ ছাড়া ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এই ঘটনার জন্য বিএনপি-জামায়াতের পক্ষ থেকে ক্ষমা চওয়া না হলে তাদের খবর বর্জনের আহবানও জানান সাংবাদিক নেতারা।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক, সাধারণ সম্পাদক দ্বীপ আজাদ, ডিইউজে সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আখতার হোসেন প্রমুখ।


বিএনপি   জামায়াত   সমাবেশ   শ্যামল দত্ত  


মন্তব্য করুন


প্রেস ইনসাইড

পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে হামলায় ৫ গণমাধ্যমকর্মী আহত

প্রকাশ: ০৪:০৯ পিএম, ২৮ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail

পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে রাজধানীর কাকরাইলে হামলার শিকার হয়েছেন বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা। শনিবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে কাকরাইলে বিএনপির মহাসমাবেশ বিষয়ক সংবাদ সংগ্রহের সময় আহত হন তারা।

কাকরাইলে হামলায় আহত হন মাল্টিমিডিয়া জার্নালিস্ট মারুফ হাসান। হামলার পর তাকে উদ্ধার করে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে নেওয়া হয়েছে। সেখানে তার প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তিনি পলিটিক্যাল নিউজ বিডি নামক একটি অনলাইনে কাজ করেন।

এছাড়া সংবাদ সংগ্রহকালে আরও আহত হন বাংলানিউজের সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট জাফর আহমেদ, দৈনিক কালবেলা পত্রিকার রাফসান জানি ও দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার এক সাংবাদিক। এছাড়াও রাজু আহমেদ নামে আরও এক সাংবাদিকের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

একইসঙ্গে সময় টেলিভিশনের একটি গাড়িতেও ভাঙচুর করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

এদিকে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে গণমাধ্যমকর্মীর ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সিনিয়র সাংবাদিকরা।

২৮ অক্টোবর   মহাসমাবেশ  


মন্তব্য করুন


প্রেস ইনসাইড

কালবেলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ক্রিয়েটিভ মিডিয়ার শুভেচ্ছা

প্রকাশ: ০৭:৪০ পিএম, ১৬ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail

দৈনিক কালবেলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরত সকল কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছে দেশের জনপ্রিয় বিজ্ঞাপন সংস্থা ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেড।  

সোমবার (১৬ অক্টোবর) দৈনিক কালবেলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজনে ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লি. পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানটির মানব সম্পদ বিভাগের প্রধান মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। 

এসময় দৈনিক কালবেলার প্রধান সম্পাদক আবেদ খান এর হাতে ফুল দিয়ে কালবেলার সার্বিক মঙ্গল এবং সফলতা কামনা করে ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লি.।

দৈনিক কালবেলা   প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী   ক্রিয়েটিভ মিডিয়া  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন