ইনসাইড থট

রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা দেশ চালাচ্ছেন আইনের শাসন দ্বারা


প্রকাশ: 24/12/2021


Thumbnail

অনেকেই খুব নিউজ টক হিসেবে বলে থাকেন যে আইনের শাসন দেশে নেই। যে রকম আমারা হঠাৎ বলি ‘আরে ওর মাথায় কিছু নেই’। কিন্তু দেশ সম্বন্ধে, একটি রাষ্ট্রপরিচালনা সম্পর্কে যেকোনো কথাবার্তা বলার সময় বিশেষ করে যেগুলো মিডিয়াতে আসে, সেই বিষয়গুলো আমার মতে খুব দায়িত্ব নিয়ে উচ্চারণ করা উচিত। আমি একটি উদাহরণ দিয়ে শুরু করছি। সম্প্রতি বুয়েটের একটি ছাত্রকে হত্যা করার জন্যে প্রায় অধিকাংশ হত্যার সাথে যারা জড়িত, তাদেরকে সরকার গ্রেপ্তার করেছে। তাদের বিচারের আওতায় এনেছে এবং সঠিক বিচারের মাধ্যমে কারো ফাঁসি হয়েছে। কারো বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি হয়েছে। এক কথায় বলা চলে, আইন তার নিজস্ব গতিতে চলেছে। এর সাথে সরকারের যেটা দায়িত্ব ছিল, সেই দায়িত্ব হচ্ছে, সাথে সাথে তারা, এই তারা হচ্ছে যারা হত্যার সাথে জড়িত,তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে পেরেছে। যাতে তারা আইনের ঠিকমতো সহায়তা পায় সেই জন্য বন্দোবস্ত করেছে এবং বুয়েট কর্তৃপক্ষ এই ছাত্রটি যার বিচার হলো, তার পরিবারকে যেটুকু আইনি সহায়তা দেয়া দরকার, সেটিও করা হয়েছে। মোট কথা হচ্ছে সরকার এবং প্রতিষ্ঠান দুটিই আইনের শাসন সঠিকভাবে কায়েম করেছে। যারা সন্তান হারিয়েছেন তারা এবং দেশবাসী সকলে মনে করেছেন ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। এই ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা কে করলেন?

ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পেছনে যারা এর সাথে জড়িত, তাদের সকলকেই ধন্যবাদ জানানো প্রয়োজন এবং আমরা ধন্যবাদ জানাই। কিন্তু একটি কথা মনে রাখতে হবে যে, দেশ পরিচালনায় যিনি আছেন রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা, তার যদি সদিচ্ছা না থাকতো, তিনি যদি বুয়েট প্রতিষ্ঠানকে এরকম ন্যায়ের পক্ষে প্রতিষ্ঠিত করতে না পারতেন, তাহলে কিন্তু এটি হতো না। অর্থাৎ তিনি প্রতিষ্ঠানকে যাতে ন্যায় বিচার করা যায়, আইন যাতে নিজস্ব গতিতে চলতে পারে, এই ব্যাপারে সহায়তা করার মতো করে গড়ে তুলেছেন। তার ফলেই এই বিচারটি হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে বলা চলে যে, এই একই ক্যাম্পাসে এর আগে সনি নামে একটি মেয়ে ২০০২ সালে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের গুলাগুলির মাঝখানে পড়ে নিহত হন। সেসময় যারা গুলাগুলি করেছিল, অর্থাৎ বেগম খালেদা জিয়ার বাহিনী, সেই বাহিনী কিন্তু তখন বুয়েট বিশ্ববিদ্যালয় হলেই ছিল। এই সনি হত্যার সাথে সাথে ছাত্ররা বেরিয়ে আসে এবং সনি হত্যার বিচার চায়। তখন বুয়েট কর্তৃপক্ষ পুলিশকে ডাকলো। পুলিশ আসলো। পুলিশ এসে কি করলো? যারা এই সনি হত্যার বিচার চাচ্ছিল তাদেরকে গ্রেফতার করলো, কিন্তু যারা হত্যা করলো তাদেরকে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিলো। শুধু সেটি নয় তখন পুলিশ ডিপার্টমেন্টের ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চের যিনি এটি তদন্ত করেছিলেন তার নাম হচ্ছে জসিম উদ্দিন দেওয়ান, ইন্সপেক্টর জসিম উদ্দিন দেওয়ান। তিনি কোন রকম জোড়াতালি দিয়ে একটা ইনকুয়ারি করলেন যার কোন মাথা-মুণ্ডু নেই। এর ফলে সত্যিকারে আজকে এতবছর পরেও সেই ২০০২ সাল আর আমরা প্রায় ২০২১ শেষ করে ২০২২ সালে যাচ্ছি , এর মধ্যে কোন বিচার হলো না। যদি মাছের পচন ধরে মাথার থেকে, যদি বেগম খালেদা জিয়া এবং তিনি তার সাঙ্গোপাঙ্গ, তার মধ্যে ছাত্রদলও পড়ে সকলে যদি একই ভাবে গণতন্ত্রকে হত্যার প্রচেষ্টা না চালাতো আইনের শাসন যাতে বাংলাদেশ থেকে চলে যায়, যাতে বাংলাদেশ একটা  ফেইল স্টেট অথবা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য যারা প্রচেষ্টা করেছে, যাতে ব্যর্থ রাষ্ট্র হয়ে পাকিস্তানের মতো হয়ে যায়। সেই প্রচেষ্টার অংশের কারণেই সনির জীবন দিতে হলো এটা এখন প্রমাণিত।

রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার রাষ্ট্র পরিচালনা আর বেগম খালেদা জিয়াদের রাষ্ট্র পরিচালনার মৌলিক পার্থক্য হলো, নেত্রী চান রাষ্ট্র চলবে আইনের শাসন দ্বারা, সবাই ন্যায় বিচার পাবে এবং ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য রাষ্ট্রের দুইটি দায়িত্ব। একটি হলো,  রাষ্ট্রের বিভিন্ন অর্গান কে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করার সুযোগ দেয়া , এবং দলমত নির্বিশেষে দোষী মানে দোষী, চোর মানে চোর, এভাবে ক্ষমতা দিতে হবে এবং আরেকটি হচ্ছে সেইভাবে প্রতিটি  রাষ্ট্রের কাজকর্মে যারা জড়িত তারা ঠিকভাবে কাজ করছে কিনা সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়ার সময় এর কোনটিই হয়নি । ঠিক একই ভাবে দীপ হত্যারও কোন বিচার হয়নি। তাহলে যারা এখন বলেন যে, বর্তমানে দেশে আইনের শাসন নেই তারা বুকে হাত দিয়ে কি বলতে পারেন যদি আইনের  শাসন না থাকে তাহলে এসব হত্যার বিচার কিভাবে হচ্ছে এবং সঠিক বিচার কিভাবে হচ্ছে। আমি বলছি না যে, দেশের সর্বক্ষেত্রে, সমস্ত জায়গায় সবকিছু একদম সঠিকভাবে চলবে। কিছু কিছু  জায়গায় অনেক কিছু আরোপ করার আছে এবং সেটাও নেত্রী করতেছেন। কোন কোন জায়গায় আমাদের আরও বেশি সজাগ হতে হবে সেটাও হচ্ছে কিন্তু আমরা যারা যার জন্য আন্ডার ডেভেলপমেন্ট থেকে এমন একটা পর্যায়ে এসেছি, আমরা ভবিষ্যতে ডেভেলপমেন্ট কান্ট্রিতে চলে যাচ্ছি। এর কারণ কি , কারণ হচ্ছে নেত্রী যে ক্রমাগত ভাবে প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন সেই ক্রমাগত প্রচেষ্টারই ফসল। এটা আকাশ থেকে কোন আমদানি হওয়া জিনিস নয়। এর থেকে স্পষ্ট প্রমাণিত হয় যে যারা মায়া কান্না করেন দেশে গণতন্ত্র নেই, কোন কিছু তো তাদের বলতে হবে।

অনেক সুশীল সমাজ আছেন যাদের যদি ওই সুশীল সমাজ নামটা রাখতে হয় এবং তার সাথে যেটা তাদের দেনা পাওনার ব্যাপার আছে সেগুলো ঠিক রাখতে হয় তাহলে কিছু না কিছু বলতেই হবে। সমালোচনা করতেই হবে সরকারের। সরকারকে সমালোচনা করা যায় না এটা সঠিক না। সমালোচনা  নিশ্চয়ই করার মতো, আমরাও করি। যে কেউ করতে পারে। কিন্তু সেই সমালোচনার ভিত্তি থাকতে হবে এবং সমালোচনার সাথে সাথে কি ফল পাওয়া যাচ্ছে এবং দেশ কোন দিকে এগিয়ে যাচ্ছে সে কথাটি উল্লেখ থাকতে হবে। কেননা তাই না হলে সাধারণ জনগণ তো দেশের অবস্থা একপেশে ভাবে ভাববে। তারা ভাববে যে, নেত্রী শেখ হাসিনা ঠিকমত দেশ চালাচ্ছেন না, বাংলাদেশেও এখন বলা শুরু করছে যখন দেশের লোক না খেয়ে থাকত, সেটা যখন নাই খুব ডেভেলপ হচ্ছে। এখন বলছে ডেভেলপমেন্ট হচ্ছে কিন্তু ডেমোক্রেসি ঠিকমতো ফাংশন করতেছে না। ডেমোক্রেটিক ইন্সটিটিউশন ডেমোক্রেসি ফাংশন না করলে এসব কাজ কিভাবে হচ্ছে। সুতরাং আসল কথা হচ্ছে, তুই যেভাবেই করিসনা কেন ওই যারে দেখতে নারি তার চলন বাঁকা। কোনো না কোনো একটি দোষ খুঁজে বের করতেই হবে। সুতরাং আমাদের সকলের দায়িত্ব হচ্ছে জনগণকে সঠিক তথ্য পৌঁছে দেয়া।

আর আওয়ামী লীগ একটি সংগঠন হিসাবে তাদের একটি বিরাট রকমের দুর্বলতা আমি দেখি তারা আসলে কাজ করেন ঠিকই কিন্তু আসলে বর্তমান জগতে শুধু মুখ বুঝে কাজ করে ফল লাভ করলে হবে না। কি কি করা হলো সেটাও জনগণকে জানাতে হবে। অর্থাৎ তাদের যে মিডিয়া সেল ঠিকমত থাকবে এবং মিডিয়ার সাথে যাতে সঠিকভাবে ইনফরমেশনটা যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। আর মিডিয়ার সাথে অনেক সময় আলাপ করেছি তারা বলে কি যে বিরুদ্ধে কিছু না লিখলে পত্রিকা কিনতে চায় না। এখন পত্রিকা বিক্রির জন্য বা মিডিয়া চালানোর জন্য বা টেলিভিশন কতজন দেখলো সেইটা দেখার জন্য যদি আমরা সত্যকেই এমনকি টুইস্ট করে দেই সেটাও আমাদের বিবেকের কাছে প্রশ্ন। সুতরাং আমি মনে করি যে সঠিকভাবে দেশ যেভাবে চলছে আমরা যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছি এই জিনিসটা জনগণকে সকলের কাছে পৌঁছানোর দায়িত্ব। আমাকে যেমন নেত্রী একটি ছোট্ট দায়িত্ব প্রদান করেছেন সেটি হচ্ছে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে এই কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে যেন ঠিকমতো তাদের কাছে শুধুমাত্র তারা এই সার্ভিসটা পাবে না সাথে সাথে জনগণ যেন এই মেসেজটা পাই যে জননেত্রী কি করতেছেন।

আমি বিগত দিনে সেই ভাবেই চেষ্টা করেছি আবার আমাকে দায়িত্ব দিবে এটা বিভিন্ন জায়গা থেকে শুনেছি আবার তবে আমি কোন দায়িত্ব অফিশিয়ালি পাইনি। দায়িত্ব পেলে আমরা একইভাবে জনগণের কাছে সঠিক ইতিহাস পৌঁছে দেবো। অর্থাৎ প্রান্তিক জনগোষ্ঠী যেটা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা নিজের আসল শক্তি মনে করেন সেই শক্তিকে সঠিক সংবাদ পৌঁছে দেওয়া সঠিকভাবে তাদেরকে সঠিক পথে রাখার জন্য সামান্য হলেও আমাদের কাজ করা প্রয়োজন এবং সেটা কাজ করার জন্য আমরা প্রস্তুত এবং বদ্ধপরিকর। সকলের জন্য বলব যে আপনারা যে কোন কিছু শোনার আগে অন্তত বিশ্বাস যখন করবেন বিশ্বাস করার আগে কি ঘটনা ঘটছে এবং কি ঘটনা থেকে দেশ আজ এই পর্যায়ে আসছে এই বিষয়ে মাঝে মাঝে একটু চোখ বন্ধ করে চিন্তা করে তারপরে নিজের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। তাহলেই দেশটা আমরা সকলে মিলে নেত্রীর সাথে থেকে এগিয়ে নিতে পারব। এ কথা বললে হবে না নেত্রী তুমি এগিয়ে চলো আমরা আছি তোমার পিছে। তার মানে হচ্ছে তুমি এগিয়ে যাও বিপদ-আপদ দেখলাম পিছন থেকে পালিয়ে যাব বরং নেত্রীর সাথে থাকতে হবে সাথে থেকেই আমাদের দেশটাকে এগিয়ে নিতে হবে এবং আমরা এগিয়ে নিতে পারব।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭