সম্প্রতি কক্সবাজার বেড়াতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা প্রসঙ্গে সামাজিক কর্মী, নারীবাদী, এবং পরিবেশবাদী খুশি কবির বলেন, নারী ঘরে কি বাইরে, কোনো জায়গায়-ই নিরাপদ নয়। ঘরে নিরাপদ নয়। ঘুরতে গেলে নিরাপদ নয়। কারও সাথে কথা বললেও নিরাপদ নয়। সম্পর্ক করলে নিরাপদ নয়। কারও সাথে যোগাযোগ থাকলে নিরাপদ নয়। দেশে তো বটেই, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এ নিয়ে একটু বেশি বাড়াবাড়ি শুরু হয়ে গেছে। যেহেতু পুরুষ নারীদের তাদের ইচ্ছে মতো পণ্যের মতো ব্যবহার করে। কিংবা যখন প্রয়োজন হয় ধর্ষণও করে। সবশেষ হত্যা। আবার ইচ্ছে হলে নারীকে ব্যবহার করে ফেলেও দেয়। অর্থাৎ নারীর জীবনের কোনো মূল্য নাই। আজকের পত্রিকায় দেখলাম বান্দরবনে স্থানীয়ভাবে একজন নারীকে ধর্ষণ করা হয়েছে।
বিভিন্ন স্থানে নারীদের আক্রান্ত হওয়া, ধর্ষণসহ বিভিন্ন বিষয়ে খুশি কবির বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। পাঠকদের জন্য খুশি কবির এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক অলিউল ইসলাম।
খুশি কবির বলেন, এখানে পুরুষরা নারী থেকে সক্ষম, শক্তি বেশি এসব কিছুই কাজ করে না। এটা হলো পুরুষ মানুষিকভাবে এতোটাই দুর্বল, এতোটাই তুচ্ছ যে, তারা নিজেকে সম্মান করতে জানে না। নারীদেরকেও সম্মান করতে জানে না। আমি মনে করি, তারা নিজেদেরকে সম্মান করতে জানে না দেখে অন্য কোনো মানুষকে সম্মান করতে জানে না। নিজেরা অমানুষ দেখে সকলকে অমানুষভাবে। সকল পুরুষ এমন, এমনটি আমি বলবো না। যে পুরুষ নিজেকে মানুষ হিসেবে গ্রহণ করে এবং সম্মান করে, সে পুরুষ সবাইকেই সম্মান করে।
তিনি বলেন, নারীর প্রতি পুরুষের এই কুকর্মের পেছনে রাজনৈতিক থেকেও মানুষিক সমস্যাটি বেশি কাজ করে। চিন্তার ক্ষেত্র এবং মানুষিকতা এই দুইটি জিনিস এসব কর্মের জন্য দায়ী। তাদের চিন্তার ক্ষেত্রের মধ্যে পুরুষদের যেই দুর্বলতাটি আছে সেটি হচ্ছে তাকে বলা হয় যে এই কাজটিই তার পুরুষত্ব, তার প্রভাব বিস্তার করার একটি জায়গা, তার শক্তি দেখানোর জায়গা। এ সব ঘটনার ক্ষেত্রে অনেক সময় সম্পত্তির বিষয় চলে আসে। অনেক সময় টাকার বিষয় চলে আসে। কিছু কিছু সময় রাজনীতির বিষয়ও চলে আছে। কোনো সময় যেমন মাদ্রাসার শিক্ষক বাচ্চাদের যে বলাৎকার করে, সেখানেও তার ক্ষমতার বিষয় চলে আসে। ফলে পুরো বিষয়টিকে বলা চলে অসুস্থ একটি অবস্থা।