ইনসাইড টক

‘যারা বলেন এই সরকার আমলাদের সরকার, তারা রাজনীতি বুঝেন না’


প্রকাশ: 25/12/2021


Thumbnail

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেন, বিজয় দিবসের ৫০ বছর পূর্তিতে সবচেয়ে বড় বিজয় হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বের দরবারে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে মর্যাদা লাভ করেছে। বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্নের বাংলাদেশ চেয়েছিলেন, মানুষের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসার মতো মৌলিক বিষয়গুলো এখন হচ্ছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে তার লালিত স্বপ্ন ভঙ্গ করতে চেয়েছিল দেশ বিরোধীরা। কিন্তু তারা তা পারেনি। বঙ্গবন্ধুবিহীন বাংলাদেশে একমাত্র তারই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আজ বিশ্বের কাছে উন্নয়ন, সমৃদ্ধি, শান্তি, গণতন্ত্রের প্রতীক। শেখ হাসিনা এ দেশকে মর্যাদাশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। যারা একদিন বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলে বিদ্রূপ করেছে, তারাই এখন এমনকি সেই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান আজ বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু কন্যার প্রশংসা করছেন। তারা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। 

বিজয়ের ৫০ বছর, প্রশাসন নির্ভর সরকারসহ বিভিন্ন বিষয়ে বাংলা ইনসাইডারের সাথে আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেছেন। পাঠকদের জন্য এস এম কামাল হোসেন এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক অলিউল ইসলাম।

এস এম কামাল হোসেন বলেন, এই যে ব্যবসায়ী, আমলারা যে রাজনীতিতে এসেছে, তার শুরু ১৯৭১ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর। জিয়াউর রহমান ক্ষমতা কুক্ষিগত করে আমদানি নির্ভরশীল অর্থনীতি চালু করার পাশাপাশি আমলাদের রাজনীতিতে প্রবেশ ঘটিয়েছিলেন। একাত্তরে যে সমস্ত আমলারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিলেন, যারা ইয়াহিয়া, আইয়ুব খানদের মতো সামরিক শাসকদের অধীনে চাকরি করে বাঙালির স্বপ্নের বিরোধিতা করেছিল, সেই সমস্ত আমলাদের নিয়ে জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের ছায়ায় বাংলাদেশকে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। 

কামাল হোসেন বলেন, এসব আমলা, ব্যবসায়ীদেরকে জিয়াউর রহমান রাজনীতিতে এনেছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর জিয়াউর রহমান থেকে খালেদা জিয়া, এই ২৮ বছর যারা দেশ পরিচালনা করেছেন, তারা প্রত্যেকেই আমলাদের রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ব্যবসায়ীদের রাজনীতিতে আনতে তিনি বলেছিলেন ‘মানি ইজ নো প্রবলেম। আই উইল মেইক পলিটিক্স ডিফিকাল্ট ফর পলিটিশিয়ান।’ তারপর থেকেই কিন্তু রাজনীতিবিদদের জন্য রাজনীতির পথ বন্ধ হয়ে যায়। যার ফলে আজকেও সেই আবর্জনা দূর করতে আজকেও প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে লড়াই করতে হচ্ছে। আমি বলি না যে এই সরকার শতভাগ আমলা নির্ভরশীল। তবে এইটুকু বলি যে, জননেত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকার রাজনীতিবিদ ও আমলা, ব্যবসায়ী সকলের সমন্বয়ে দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। এখানে কারো কোনো কর্তৃত্ব নেই। একজনের শুধু কর্তৃত্ব আছে। তিনি হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর আজ পর্যন্ত শেখ হাসিনা ছাড়া যারা সরকার প্রধান বা রাষ্ট্রপ্রধান ছিল, তারা কেউই রাজনীতিবিদ না। জিয়াউর রহমান, এরশাদ, খালেদা জিয়া, শেখ হাসিনা, এই চারজন রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যে একমাত্র শেখ হাসিনা ছাড়া কেউই রাজনীতিবিদ না। শেখ হাসিনা তৃণমূল থেকে শুরু করা আপাদমস্তক রাজনীতিবিদ বলেই আজকে তিনি বাবার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারছেন। শতভাগ সফলতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। যারা বলেন এই সরকার ব্যবসায়ী বা আমলাদের সরকার, তারা রাজনীতি বুঝেন না। আমি মনে করি একজন রাজনীতিবিদ শেখ হাসিনা আছে বলেই স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী আজকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির নেতৃত্বে মানুষ মন খুলে বিজয়ের ৫০ বছর ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী পালন করতে পেরেছে। এটা হচ্ছে বড় সাফল্য।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭