ক্রিসমাসের পর সময়টা ভালো গেলো না ইংল্যান্ডের জন্য। তৃতীয় অ্যাশেজ টেস্টে প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে দুঃস্বপ্নের একটি দিন পার করলো ইংলিশরা। প্রায় অর্ধ লক্ষ্য দর্শকের সামনে এদিন নিজেদের সামর্থ্য প্রমাণ ব্যর্থ হয় ইংল্যান্ড।
রবিবার (২৬ ডিসেম্বর) ইংল্যান্ডকে টস হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় অস্ট্রেলিয়া। আকাশী ধূসর ও সবুজ পিচে সস্তায় দুই ওপেনারকে হারায় ইংল্যান্ড, গুটিয়ে যায় ১৮৫ রানে। অস্ট্রেলিয়া দিন শেষ হওয়ার আগে ১৬ ওভার ব্যাট করেছে, মাত্র এক উইকেট হারিয়ে তাদের সংগ্রহ ৬১ রান।
হাসিব হামিদ ডাক মারলেন, যা এই বছর ইংল্যান্ডের ৫০তম। দলীয় ১৩ রানে আরেক ওপেনার জ্যাক ক্রলি (১২) নেই। ডেভিড মালানকে (১৪) ফিরিয়ে প্রথম সেশনে প্যাট কামিন্স দুটি দারুণ স্পেলে প্রথম তিন ব্যাটসম্যানকে আউট করলেও রুট ইংল্যান্ডের আশা-ভরসা হয়ে দাঁড়ান। কিন্তু ৮২ বলে ৫০ রানের বেশি করতে পারেননি ইংলিশ অধিনায়ক। ব্যাটসম্যানদের ভুলে লাঞ্চ ও চা বিরতির মাঝে আরো ৩ উইকেট নেই।
জস বাটলার (৩) চা বিরতির আগে নাথান লিয়নের শিকার হন। ১২৮ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে শেষ সেশন শুরু করে ইংল্যান্ড। এই সেশনে মার্ক উডকে (৬) ফিরিয়ে অভিষেকে প্রথম উইকেট পান স্কট বোল্যান্ড। ইনিংসের দ্বিতীয় সেরা ৩৫ রান করে স্টার্কের দ্বিতীয় শিকার হন জনি বেয়ারস্টো।
ওলি রবিনসন (২২) ও জ্যাক লিচ (১৩) হালকা প্রতিরোধ গড়লেও বেশিদূর এগোয়নি। লিয়ন পরে আরো দুটি উইকেট নেন। এই অজি স্পিনারের সঙ্গে সমান তিনটি উইকেট নেন কামিন্স। এছাড়া স্টার্ক নেন দুটি উইকেট।
জবাব দিতে নেমে ডেভিড ওয়ার্নার ছুটেছেন মারমুখী গতিতে। ৪২ বলে ৫ চারে ৩৮ রান করে অ্যান্ডারসনের শিকার হন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার। দলীয় ৫৭ রানে ভাঙে তার সঙ্গে মার্কাস হ্যারিসের জুটি। হ্যারিস ২০ রানে অপরাজিত ছিলেন, নাইটওয়াচম্যান লিয়ন ৫ বল খেলে রানের খাতা খোলেননি।