ইনসাইড টক

‘ইউপি নির্বাচনে গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে’


প্রকাশ: 27/12/2021


Thumbnail

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে। মানুষ নির্বাচনমুখী হচ্ছে, এটি বড় বিষয়। এ নির্বাচন গণতন্ত্রের বিজয়। নির্বাচনে কে জিতবে, কে হারবে, এটি বড় বিষয় না। বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে বিএনপি-জামায়াত ও তাদের শরিকরা যেভাবে অপপ্রচার করেছিল, মানুষকে নির্বাচন বিমুখ করার যে ষড়যন্ত্র করেছিল, মানুষ তাদের ষড়যন্ত্রে পা না দিয়ে প্রতিটি নির্বাচনেই মানুষ ভোট কেন্দ্রে যাচ্ছে এবং ভোট দিচ্ছে।

চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচন, আওয়ামী লীগের ভরাডুবি, সহিংসতা সহ বিভিন্ন বিষয়ে বাংলা ইনসাইডারের সাথে আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেছেন। পাঠকদের জন্য এস এম কামাল হোসেন এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক অলিউল ইসলাম।

এস এম কামাল হোসেন বলেন, এবারও তৃণমূলের এ নির্বাচনে সাধারণ মানুষ ভোট কেন্দ্রে গিয়েছেন এবং পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করেছেন। এটি গণতন্ত্রের বিজয়। জননেত্রী শেখ হাসিনার বিজয়। জননেত্রী শেখ হাসিনা যেমন বিশ্বাস করেন ‘আমার ভোট আমি দেবো, যাকে খুশি তাকে দেবো’, এ বিশ্বাস বাস্তবায়ন করাই জননেত্রী শেখ হাসিনার মূল লক্ষ্য। আমরা মনে করি ইউপি নির্বাচনে গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, মানুষ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। দু’একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা যে ঘটেনি, এমনটি নয়। অবশ্যই দু’একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু তৃণমূলের প্রতিটি নির্বাচনেই এমনটি হয়। এমন কোনো আমল নেই, যে আমলে এরকম দু’একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেনি।

আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কামাল হোসেন বলেন, তৃণমূলে বিদ্রোহী প্রার্থী দাঁড়ানোর কারণ হচ্ছে, প্রার্থীরা মনে করে এ নির্বাচন ক্ষমতা পরিবর্তনের নির্বাচন নয়, এই নির্বাচনে ক্ষমতা পরিবর্তন হবে না। যার ফলে অনেক বিদ্রোহী প্রার্থী থেকে যায়। তারা নৌকা প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান নেয়। পাশাপাশি বিদ্রোহীদেরও কিছু ভোট থাকে। তৃণমূলে আওয়ামী লীগের অনেক কর্মীও তাদের পক্ষে ভোট দেয়। এছাড়া যেসব সাম্প্রদায়িক শক্তি নৌকাকে পছন্দ করে না, বিএনপি-জামায়াতের সমর্থকরাও বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নেয়। এই সবকিছু মিলিয়ে অনেক সময় বিদ্রোহী প্রার্থী জিতে যায়। তারপরও আমরা মনে করি, নির্বাচন উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। জনগণ ভোট কেন্দ্রে গিয়েছে। গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে, এটিই বড় কথা।

ইউপি নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্য হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার জানামতে কোনো মনোনয়ন বাণিজ্য হয়েছে বলে জানি না। সাংবাদিকদের মতো আমিও এটি শুনি আরকি। আবার আমি মনোনয়ন বোর্ডেও নেই। তবে আমি যা জানি তা হচ্ছে, তৃণমূল থেকে নাম পাঠানো হয়। সেখানে পাঁচ-সাত জনের, অনেক সময় ১০ জনের নামও থাকে। সেখান থেকে তুলনামূলকভাবে গ্রহণযোগ্য লোককে মনোনয়ন দেয়া হয়। এখানে বাণিজ্যের কোনো বিষয় আছে বলে আমার জানা নেই।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭