ইনসাইড গ্রাউন্ড

অ্যাশেজে ইংল্যান্ডের লজ্জাজনক পরাজয়


প্রকাশ: 28/12/2021


Thumbnail

আগের দিনে ২২ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসেছিল ইংলিশরা। তখনই অনেকটা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলো এই ম্যাচেও পরাজয় লেখা রয়েছে ইংলিশদের ভাগ্যে। এমনকি শঙ্কা দেখা দিয়েছিলো ইনিংস পরাজয় নিয়েও! যদিও ইনিংস পরাজয় এড়াতে তখন বাকি ছিল আর মাত্র ৫১ রান।

কিন্তু মেলবোর্নে বক্সিং ডে টেস্টের তৃতীয় দিনে ইনিংস পরাজয়ও এড়াতে পারলোনা জো রুটের দল। দেড় ঘণ্টাও খেলতে পারলোনা ইংলিশরা! স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ানদের দাপুটে বোলিংয়ে লজ্জার রেকর্ড গড়ে অলআউট হয়ে গেছে মাত্র ৬৮ রানে। যার ফলে অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ জিতে নিয়েছে এক ইনিংস ও ১৪ রানের ব্যবধানে। একই সঙ্গে ২ ম্যাচ বাকি থাকতেই অ্যাশেজ সিরিজ নিশ্চিত করে ফেললো অজিরা।

অজি বোলারদের মধ্যে অভিষিক্ত ডানহাতি মিডিয়াম ফাস্ট বোলার স্কট বোল্যান্ড ঝড় তুলেছেন ইংলিশদের শিবিরে। একাই ৬ উইকেট নিয়ে নিজের অভিষেকটাকে রাঙিয়ে নিলেন এই অস্ট্রেলিয়ান পেসার।

অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অ্যাশেজ সিরিজে দুই দলের মধ্যে ৮৫ বছর পর (১৯৩৬ সালে) সর্বনিম্ন রানে অলআউট হলো ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ড এত কম রানে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ১৯০৪ সালের পর আর অলআউট হয়নি।

বক্সিং ডে টেস্টে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসেই ১৮৫ রা্নে অলআউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড। জবাব দিতে নেমে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটাররাও ইংলিশ বোলারদের তোপের মুখে পড়ে। যার ফলে তারা অলআউট হয়ে যায় ২৬৭ রান করে।

৮২ রান পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরুর করার পরই অজি বোলিং তোপের মুখে পড়ে ইংলিশরা। দ্বিতীয় দিন শেষ বিকেলেই মিচেল স্টার্ক আর স্কট বোল্যান্ডের বোলিং তোপের মুখে ২২ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে।  জো রুট ১২ এবং বেন স্টোকস উইকেটে ছিলেন ২ রান নিয়ে।

কিন্তু রুট-স্টোকসের প্রতিরোধ তৃতীয় দিন সকালে খুব বেশিক্ষণ টিকলো না। মিচেল স্টার্কের বলে বোল্ড হয়ে যান স্টোকস। বোল্যান্ডের বলে ডেভিড ওয়ার্নারের হাতে ক্যাচ দিয়ে জো রুট যখন ফেরেন তখন তার নামের পাশে ২৮ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে ইংলিশদের সর্বোচ্চ রান এসেছে অধিনায়কের ব্যাট থেকেই।
জনি বেয়ারেস্টো আউট হন ৫ রান করে। জস বাটলার ৫ রানে অপরাজিত থেকে যান। বাকি ব্যাটারদের মধ্যে মার্ক উড এবং ওলি রবিনসন আউট হন রানের খাতা খোলার আগেই। 

স্কট বোল্যান্ড আগেরদিন নিয়েছিলেন ২ উইকেট। আজ নিলেন ৪ উইকেট। প্রথম ইনিংসে উইকেট নিয়েছিলেন ১টি। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে বিধ্বংসী বোলিং করে তিনি অভিষেকটাকেই স্মরনীয় করে রাখলেন। মেলবোর্নে ভিক্টোরিয়ার হয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করার কারণেই তাকে দলে নেয়া হয়েছিল এবং ঠাঁই দেয়া হয়েছিলো রিচার্ডসনের জায়গায়। শেষ পর্যন্ত আস্থার প্রতিদান ভালোভাবেই দিলেন তিনি।
অসাধারণ বোলিং করার কারণে ম্যাচ সেরার পুরস্কার মুলাগ স্বর্ণ পদক অর্জন করেন তিনি। জনি মুলাগের নামেই প্রবর্তন করা হয়েছে এই পুরস্কারটি। ১৮৮৬ সালে অস্ট্রেলিয়ান দলের সঙ্গে ইংল্যান্ড সফর করেছিলেন আদিবাসী জনি মুলাগ। আবার এই স্কট বোল্যান্ড হলেন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলা চতুর্থ আদিবাসী ক্রিকেটার।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭