ইনসাইড টক

‘ওমিক্রনের ভয়াবহতার বিষয়টি আনপ্রেডিক্টেবল’


প্রকাশ: 28/12/2021


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেছেন, করোনার টিকা প্রদান একটি চলমান প্রক্রিয়া। যারা এখনো প্রথম ডোজ টিকা পায়নি, তাদেরকে টিকা দিতে হবে। কোনোভাবেই এটিকে থামানো যাবে না। এই প্রক্রিয়ার নতুন সংযোজন বুস্টার ডোজ। বুস্টার ডোজ কাদেরকে দেওয়া হবে, তা আগে থেকেই নির্ধারিত। এটি দেওয়া হবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এবং যাদের দুই ডোজ টিকা নেওয়ার সময় ছয় মাস পেরিয়ে গেছে, তারা বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন। পাশাপাশি ষাটোর্ধ অসুস্থ মানুষ বিশেষ করে যাদের ডায়াবেটিস, হাই প্রেসার, হার্ট, কিডনি বা লিভারের রোগে আক্রান্ত অথবা ক্যান্সারের রোগীদের জন্য বুস্টার ডোজ ভালো। 

করোনার বুস্টার ডোজ, করোনার প্রকোপ সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ এসব কথা বলেছেন। পাঠকদের জন্য অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক অলিউল ইসলাম।

ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, দুই ডোজ অনেক সময় ভালোভাবে কাজ করে না। বুস্টার ডোজ দিলে করোনা প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ে এবং আরও কার্যকরী হয়। সুতরাং বুস্টার ডোজ দিতে হবে এবং যাদেরকে এখনো টিকা কার্যক্রমের আওতায় আনা যায়নি, তাদেরকেও টিকা দিতে হবে। যেহেতু বিদেশ থেকে প্রচুর টিকা আসছে, আমার মনে হয়, দুটি কার্যক্রম একসাথেই চলবে। বুস্টার ডোজ প্রদান ভালো উদ্যোগ এবং আমি মনে করি এটি দেওয়া উচিত।

তিনি বলেন, এই টিকা শুধু এলিটরাই পাবে, এমনটি না। কাদেরকে দেওয়া হবে তা বেঁধেই দেওয়া আছে। সকলকে তো দেওয়া হচ্ছে না। দেওয়া হচ্ছে যারা ঝুঁকির মধ্যে, শুধুমাত্র তাদের। পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও বুস্টার ডোজ দেওয়া হচ্ছে। এখন এলিট যারা পায়, তারা তো মানুষই এবং তারা বাংলাদেশের মানুষ। ফলে তারা পেলে অসুবিধার কিছু নেই। তারা যদি বেঁধে দেওয়া নিয়মের আওতাধীন হয়, তাহলে তাদেরকে দিতে দোষটা কি? যতজন পেল, ততজন মানুষ-ই কমলো। সবাই যেন পায়, এটি হলো কথা।

তিনি আরও বলেন, এখানে অনেক লিমিটেশন আছে। প্রাপ্যতার উপর অনেককিছু নির্ভর করে। কারো প্রতি যেন অন্যায়, অবিচার না করা হয়, এটি মাথায় রেখে কাজ করলেই হবে। যারা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকির মধ্যে আছে বিশেষ করে ডাক্তার, সাংবাদিক, নার্স, হাসপাতাল কর্মী ইত্যাদি এমনকি এম্বুলেন্সের যে ড্রাইভার তাকেও বুস্টার ডোজ দেওয়া উচিত। কেননা সে রোগী উঠাবে-নামাবে। অর্থাৎ তাকে রোগীর সংস্পর্শে আসতে হবে। পাশাপাশি পুলিশ, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদেরও দিতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে গিয়ে তাদেরকে এদিকে-সেদিকে যেতে হয়। ফলে তাদেরকেও দেওয়া উচিত। যত সাংবাদিক ভাই-বন্ধুরা আছেন, তাদেরও সংবাদ সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয়। তারা আমাদের প্রতিনিয়ত খবর জানাচ্ছে। তাদেরকেও দেওয়া উচিত। 

বাংলাদেশকে ওমিক্রন কতটা ভোগাতে পারে প্রশ্নে তিনি বলেন, ওমিক্রন ওমিক্রনের ভয়াবহতার বিষয়টি আসলে আনপ্রেডিক্টেবল। এখনো বলা যাচ্ছে না। আমরা একটা দুইটা খবর পাচ্ছি। কিন্তু আসলে কি হচ্ছে তা তো কেউ জানে না। এখন নতুন নতুন ধরণ আসছে। এসব ধরণ সিরিয়াস হতে তো খুব একটা সময় লাগে না। আস্তে আস্তে সব জানা যাবে। ফলে আমাদের ভয় এখনো আছে। এ থেকে মুক্তি পেতে স্বাস্থ্য সচেতন হতে হবে। নিয়মিত মাস্ক পড়তে হবে। সরকারি নির্দেশনা মানতে হবে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭