চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৯৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ। এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ৯৪ দশমিক ০৮ শতাংশ, মাদরাসায় ৯৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ এবং কারিগরি পরীক্ষায় ৮৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এ ফল প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মূল অনুষ্ঠানটি হয় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সব শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির হাতে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল তুলে দেন।
এবছরে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৯৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ যা গতবার ছিলো ৮২ দশমিক ৮৭ শতাংশ। সেই হিসাবে এবার পাসের হার বেড়েছে ১০ দশমিক ৭১ শতাংশ।
এ বছর দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২৯ হাজার ৩৫টি প্রতিষ্ঠান থেকে ২২ লাখ ৭৮ হাজার ৯৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে ১১ লাখ ৫৫ হাজার ৯৬ ছাত্র এবং ১১ লাখ ২৩ হাজার দুজন ছাত্রী। তাদের মধ্যে ২০ লাখ ৯৬ হাজার ৫৪৬ জন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে।
ঢাকা বোর্ডে এবার পাসের হার ৯০ দশমিক ১৫ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৯ হাজার ৫০০ জন পরীক্ষার্থী। দিনাজপুর বোর্ডে পাস করেছে ৯৪ দশমিক ৮০ শতাংশ পরীক্ষার্থী। তাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৭ হাজার ৫৭৮ জন।
ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৯৭ দশমিক ৫২ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ হাজার ৯২ জন। যশোর বোর্ডে পাসের হার ৯৩ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৬ হাজার ৪৬১ জন পরীক্ষার্থী। এছাড়া বরিশাল বোর্ডে পাসের হার ৯০ দশমিক ১৯ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ হাজার ২১৯ জন পরীক্ষার্থী।
রাজশাহীতে ৯৪ দশমিক ৭১ শতাংশ, কুমিল্লায় ৯৬ দশমিক ২৭ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৯১ দশমিক ১২ শতাংশ ও সিলেট বোর্ডে ৯৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে।
অন্যদিকে মাদরাসা বোর্ডে পাসের হার ৯৩ দশমিক ২২ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪ হাজার ১১৩ জন। এছাড়া কারিগরিতে পাসের হার ৮৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ এবং সেখানে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ হাজার ১৮৭ জন পরীক্ষার্থী।
পরীক্ষার্থীরা শিক্ষাবোর্ডের ওয়েবসাইট ও এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানতে পারবে। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিষ্ঠানে গিয়ে সবাইকে ফল দেখার অনুরোধ জানিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড।
মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এবার ৯ মাস পিছিয়ে গত ১৪ নভেম্বর এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়। সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি নিয়ে তিনটি ইলেকটিভ বিষয়ে গ্রুপভিত্তিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। শেষ হয় ২৩ নভেম্বর।