ইনসাইড টক

‘রাষ্ট্রপতির নির্দেশও অধিকাংশ ভাইস-চ্যান্সেলর ধর্তব্যের মধ্যে নেয়নি’


প্রকাশ: 30/12/2021


Thumbnail

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, এটা তো একটা অস্বাভাবিক সময়ে পরীক্ষা। অন্য সময়ের পরীক্ষার সাথে এটা তুলনা করলে চলবে না। শর্টেন্ড সিলেবাসে পরীক্ষা, কম সময়ে পরীক্ষা, স্কেল-ডাউন সাবজেক্টে পরীক্ষা। এটাতো স্বাভাবিক সময়ের পরীক্ষা না। সুতরাং আমাদের মূল্যায়নটা ঐভাবে করতে হবে। আমাদের এখনো ঠিক জানিনা এসএসসিতে ঝড়ে পড়ার সংখ্যাটা কি। করোনাকালে আমাদের শিক্ষা পদ্ধতি থেকে ঝড়ে পড়া বিশেষ করে মেয়েদের ঝড়ে পড়ার বিষয়টা। সেটা হয়তো জানা যাবে আর একদিন-দুইদিন পরে, কি পরিমাণ পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিলো, কি পরিমাণ পরীক্ষা দিয়েছে। যারা দেয়নি তাদের মধ্যে মেয়েদের সংখ্যা কত সেগুলো জানতে হবে।

এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল, বিশ্ববিদ্যালয়ে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে ভর্তি পরীক্ষা সহ নানা বিষয় নিয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেছেন অধ্যাপক আবদুল মান্নান। পাঠকদের জন্য অধ্যাপক আবদুল মান্নান এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক মাহমুদুল হাসান তুহিন।

অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, শর্টেন্ড সিলেবাস, লিমিটেড সাবজেক্টসে পরীক্ষা নেওয়া, এটাতে পাশ করা এটা অস্বাভাবিক কিছু না। আমাদের ছেলেমেয়রা তো বেশিরভাগ ফেল করে অংক, ইংরেজি এসব সাবজেক্টে। এগুলো তো স্বাভাবিক সময়ের কথা। এখন তো ওইসব সাবজেক্টে পরীক্ষা হয়েছে ছোট পরিসরে। যদি নরমাল সিলেবাসে পরীক্ষা হতো, স্কুল-কলেজ সব খোলা থাকতো, তাহলে নিশ্চিতভাবে এরকম ফলাফল নাও হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, আমরা না সারা দুনিয়াতেই সবচাইতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিক্ষাটা। অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার করা যাবে। কিন্তু শিক্ষার যে ক্ষতি সেটি পুনরুদ্ধার করা কঠিন বা অসম্ভব। কারণ, শিক্ষার সাথে বয়সের একটা ব্যাপার আছে। যারা ঝড়ে গেছে তারা আবার শিক্ষায় ফিরে আসবে, কতটুকু আসবে তা নিয়ে নানারকম প্রশ্ন আছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি প্রসঙ্গে অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, আসলে আমাদের দেশে যে ধরণের বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা হয়, এটা আমার জানামতে দুনিয়ার কোথাও হয়না। এই পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা কোথাও হয়না। আমি ইউজিসিতে থাকতে অনেক চেষ্টা করেছি, মহামান্য রাষ্ট্রপতি চেষ্টা করেছেন। আমি এক জায়গায় সফলতার দাবি করতে পারি কিছুটা, সেটা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো, তারা একসাথে পরীক্ষা নিয়েছে। বাকিগুলোকে রাজি করানো যায়নি। ড. জাফর ইকবাল শাহজালাল এবং যশোরে একসাথে পরীক্ষা নিতে চেয়েছিলো, কিন্তু তিনিও সফল হননি। রাষ্ট্রপতি আমাকে ডেকে জিজ্ঞেস করলে আমি জানাই, কেউ তো আমার কথা শুনেনা। বললো, সবাইকে নিয়ে আসেন এখানে। আমি বঙ্গভবনে নিয়ে গিয়েছিলাম সব ভাইস-চ্যান্সেলরদেরকে। উনার আবেদনও ধর্তব্যের মধ্যে নেয়নি, গ্রাহ্য করেনি। যদিও চ্যান্সেলরের অনুরোধ মানে হচ্ছে আদেশ। যেখানে মহামান্য রাষ্ট্রপতি চান, অনুরোধ করেছেন সেখানেই কেউ মানতে চায়না। তবে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এসেছে। তাদের ধন্যবাদ জানাতে হবে। তারা অন্তত একসাথে পরীক্ষা নেয়ার জন্য রাজি হয়েছে এবং পরীক্ষা নিয়েছে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭