লিভিং ইনসাইড

সালতামামি ২০২১: বছরের জনপ্রিয় ৫ ডায়েট ট্রেন্ড


প্রকাশ: 30/12/2021


Thumbnail

ওজন কমাতে এবং নিজেদের ছিপছিপে গড়নের রাখতে সঠিক ডায়েটের কোন বিকল্প নেই। শুধু খাওয়া কমিয়েই নয়, বরং পুষ্টিকর খাবার ও সঠিক খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমানো সম্ভব। এ কারণেই বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য সচেতনরা ২০২১ সালে বিভিন্ন ডায়েট অনুসরণ করেছেন। কেউ ওজন কমাতে আবার কেউ সুস্বাস্থ্যের কারণে। সে হিসেবে বেশ কয়েকটি ডায়েট পদ্ধতি বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

কেটো ডায়েট

দ্রুত ওজন কমানোর এক অভিনব কৌশল কেটো ডায়েট। এই ডায়েট কার্বোহাইড্রেটের পরিবর্তে দেহের ফ্যাট কমাতে কাজ করে। ২০২১ সালে কেটো ডায়েটের জনপ্রিয়তা বেড়েছে বহুগুণ। এই ডায়েটের জন্য কার্বোহাইড্রেট এড়িয়ে ভালো চর্বিজাতীয় খাবার খেতে হয়। কেটো ডায়েট অনুসারীরা সাধারণত প্রোটিন ও চর্বি খান। এক্ষেত্রে শর্করা ও কার্বোহাইড্রেট এড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।
এই ডায়েট অনুসরণ করে কয়েক মাসের মধ্যেই শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমানো সম্ভব। তবে দীর্ঘদিন এই ডায়েট অনুসরণ না করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

ইমিউন সিস্টেম সাপোর্ট ডায়েট

আরেকটি হলো, ইমিউন সিস্টেম সাপোর্ট ডায়েট। বিগত ২ বছর ধরে এ ডায়েটের প্রতি অনেকে ঝুঁকেছেন। বিশেষ করে যাদের ইমিউনিটি সিস্টেম দুর্বল তাদের জন্য কার্যকরী এ ডায়েট পদ্ধতি এটি। এক্ষেত্রে ফল, সবজি ও বিভিন্ন খাদ্য খেতে হয়।

প্যালিও ডায়েট

প্যালিও ডায়েটটি নতুন নয়, তবে এটি ২০২০ সাল থেকে এখনো এখনো জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আসল নাম প্যালিওলিথিক বা প্যালিও ডায়েট। প্রাকৃতিক খাবার যেমন- তাজা ফলমূল, শাক-সবজি, মাছ, মাংস, ডিম, বাদাম ইত্যাদি খাওয়ার ওপর জোর দেয়। অন্যদিকে আধুনিক প্রক্রিয়াজাত খাবারগুলো বর্জন এবং শস্য, দুগ্ধজাত খাবার, লবণ, প্রক্রিয়াজাত ফ্যাট ও চিনিজাতীয় খাবার এড়িয়ে যেতে হয়।

ইন্টারমিটিং ফাস্টিং

ওজন কমানোর ক্ষেত্রে এখন অন্যতম জনপ্রিয় ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং। প্রতিদিন অল্প অল্প উপোস করতে ও খাদ্যাভ্যাসে সামান্য বদল আনতে হয়। এই ডায়েটের মাধ্যমে খুব দ্রুত ওজন কমানো যায়।

প্রথমে কম দিয়ে শুরু করলেও অনেকেই ১২-১৬ ঘণ্টা ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করেন। এই ডায়েট অনুসরণকারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৬ ঘণ্টা না খেয়ে থাকতে হয় এবং বাকি ৮ ঘণ্টা খাওয়ার অনুমতি পায়।  এক্ষেত্রে রাতের খাবার যদি সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে খেয়ে নেন, তাহলে পরের দিন দুপুর ১টার দিকে উপবাস ভাঙতে পারবেন।

ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিংয়ের মাধ্যমে খাবারকে সম্পূর্ণ হজম হতে সময় দেওয়া হয়। ফলে, যে খাবারটা খেলেন, তাঁর বেশিরভাগ ক্যালোরি আগে খরচ হয়। এতে মেটাবোলিজম স্বাভাবিক থাকে। হজমের সমস্যাও কম হয়।

ড্যাশ ডায়েট

হাইপারটেনশনকে নানাভাবেই সামলানো যায়। কিন্তু একইসাথে যদি ওজনটাও সামলে নেওয়া যায় তাহলে খারাপ কি! ওষুধ ছাড়াই খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে রক্তচাপকে কমিয়ে আনার এমন অসাধারণ একটি উপায় হলো ড্যাশ ডায়েট। ড্যাশ ডায়েট হৃদরোগীদের জন্য বিশেষ উপকারী।

এই ডায়েট অনুসরণ করলে উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধ হয়। ড্যাশ ডায়েট হলো উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের খাদ্যতালিকাগত পদ্ধতি। ২০২১ সালে হৃদরোগীদের মধ্যে এ ডায়েটের জনপ্রিয়তা বিগত বছরগুলোর তুলনায় অনেক বেড়েছে।

চিকিৎসক, ডায়েটিশিয়ান এবং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কাছে এই ডায়েট অনেক বেশি জনপ্রিয়। উচ্চ রক্তচাপ বাদেও আমাদের শরীরের অন্যান্য সমস্যাকেও কমিয়ে আনে এই ড্যাশ ডায়েট।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭