ইনসাইড পলিটিক্স

সৈয়দ আশরাফের ৬৯তম জন্মদিন আজ


প্রকাশ: 01/01/2022


Thumbnail

রাজনৈতিক মাঠে সততা নিষ্ঠা আদর্শের উজ্জলতার প্রতিচ্ছবির নাম সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। বাংলার স্বাধীনতার অন্যতম সংগঠক, যুদ্ধকালীন মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি, জাতীয় চার নেতার অন্যতম সৈয়দ নজরুল ইসলামের জৈষ্ঠপুত্র সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের বছরের প্রথম দিনে ময়মনসিংহ শহরে জন্মগ্রহন করেন। তার পৈতৃক নিবাস তৎকালীন ময়মনসিংহ জেলার কিশোরগঞ্জ মহাকুমায়। তিনি বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।  

সৈয়দ আশরাফ এক কন্যার জনক। তার স্ত্রী শিলা ইসলাম ২০১৭ সালের অক্টোবরে মারা যান।  

সৈয়দ আশরাফ ছাত্র রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন তিনি। স্বাধীনতার পর ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এ ছাড়া ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-প্রচার সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কারাগারে তার বাবা সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ জাতীয় চার নেতার নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর যুক্তরাজ্য চলে যান তিনি। প্রবাস জীবনে তিনি যুক্তরাজ্যে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৯৬ সালে দেশে ফিরে কিশোরগঞ্জ-৩ আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে আওয়ামী লীগ সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী করা হয় তাকে।

২০০১, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সৈয়দ আশরাফ। ২০০৯ ও ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী হিসেবে দুই দফা দায়িত্ব পান তিনি। ২০১৫ সালে তাকে প্রথমে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী ও পরে জনপ্রশাসনমন্ত্রী করার পর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ওই দায়িত্বে ছিলেন তিনি।

সৈয়দ আশরাফ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালনের পর ২০০২ সালের জাতীয় সম্মেলনে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিযুক্ত হন। ২০০৭ সালে দেশে জরুরি অবস্থা জারির পর প্রথমে দলীয় সভাপতি ও পরে তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত আবদুল জলিল গ্রেপ্তার হলে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দল পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন সৈয়দ আশরাফ। পরে ২০০৯ ও ২০১২ সালের সম্মেলনে পরপর দুই দফায় দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন তিনি। ২০১৬ সালের সম্মেলনে তাকে সর্বশেষ দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য করা হয়েছিল।

২০১৯ সালের ৩ জানুয়ারি ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭