ইনসাইড টক

‘ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন তো হয়েছে বাক স্বাধীনতা খর্ব করার জন্য’


প্রকাশ: 03/01/2022


Thumbnail

সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সাধারণ সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, আমি প্রধান বিচারপতিকে স্বাগত জানাই দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণার জন্য। এটি শুনতে ভালো শুনা যায় এবং করাও জরুরি। কিন্তু করার জন্য সেই সদিচ্ছা, সাহসিকতা, প্রজ্ঞা থাকতে হবে। সাহসিকতা প্রদর্শন করতে হবে। আমি আশা করবো এটি বাস্তবায়নে তিনি প্রজ্ঞা ও সাহসিকতা প্রদর্শন করবেন। এই দুর্নীতিই কিন্তু আমাদের সব সমস্যার মাদার।

নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতির ঘোষণা, নির্বাচন, নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সংলাপ সহ বিভিন্ন বিষয়ে ড. বদিউল আলম মজুমদার বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। পাঠকদের জন্য ড. বদিউল আলম মজুমদার এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক অলিউল ইসলাম।

ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, এই দুর্নীতির জন্যই খুনাখুনি হচ্ছে নির্বাচনে। রাজনীতি আর জনগণের কল্যাণে নয়। রাজনীতি মানেই আখের গোছানো। ক্ষমতা ব্যবহার করে নিজে লাভবান হওয়া এবং অন্যকে লাভবান করা। পাশাপাশি অন্যায় করে পার পেয়ে যাওয়া। এ জন্যই কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে খুনাখুনি হচ্ছে। যদি মানুষের কল্যাণের জন্যই এইসব প্রতিযোগিতা হতো, তাহলে কি কেউ কাউকে খুন করতো? নিজের জীবনের উপর ঝুঁকি নিতো? আমার মনে হয় নিতো না।

তিনি আরও বলেন, এর পুরোটাই হলো দুর্নীতি এবং অবৈধভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজে লাভবান হওয়া এবং অন্যকে লাভবান করা। একই সাথে ক্ষমতায় গিয়ে দুর্নীতির সুযোগ আছে বলেই কিন্তু সবাই ক্ষমতায় পেতে মরিয়া এবং ক্ষমতায় একবার গেলে আর ছাড়তে রাজি না। ক্ষমতা ছাড়ায় কোনো ইনসেনটিভ নেই। অর্থাৎ যতদিন পর্যন্ত দুর্নীতির বিষয়টি সুরাহা না হবে, ততদিন পর্যন্ত আমরা ভয়াবহ ভবিষ্যতের দিকে অগ্রসর হচ্ছি।

‘বাংলাদেশে বাক স্বাধীনতা আছে’ আইনমন্ত্রীর মন্তব্য প্রসঙ্গে ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, তাহলে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন করলো কেন? ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন তো হয়েছে বাক স্বাধীনতা খর্ব করার জন্য। মানুষের চিন্তা চেতনাকে খর্ব করার জন্য। আমাদের বাক স্বাধীনতা আছে, কিন্তু তা নিয়ন্ত্রিত। ডিজিটাল সিকিউরিটির সেই ঝুঁকি দ্বারা আমরা নিয়ন্ত্রিত। 

ইসি গঠনে রাষ্ট্রপতির সংলাপকে বিষফল আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, আমি বহুদিন ধরে বলে আসছি এই সংলাপ হচ্ছে বিষফল। অতীতেও এর থেকে বিষফল হয়েছে। বিষফল আবারও হতে পারে। এখানে দেশের স্বার্থ কোনোভাবেই হবে বলে আমি মনে করি না। কারণ দেশ প্রেমের সাথে সার্চ কমিটি কিংবা নির্বাচন কমিশন নিয়োগের কোনো সম্পর্ক নেই। এটা একটি লোক দেখানো আনুষ্ঠানিকতা। আকবর আলী খান বলেছেন যে, প্রধানমন্ত্রী যাকে নিয়োগ দেওয়ার সুপারিশ করবেন রাষ্ট্রপতির কাছে, রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ৪৮ (৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তাকেই নিয়োগ দিতে হবে। অতএব এটি হলো লোক দেখানো।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭