ইনসাইড গ্রাউন্ড

নান্নুর সেই মন্তব্যে তুলকালাম, ফেসবুকে ক্ষোভ ঝাড়লেন আশরাফুল


প্রকাশ: 03/01/2022


Thumbnail

বিপিএল সামনে রেখে তুলকালামকাণ্ড বেঁধেছে জাতীয় দলের সাবেক দুই অধিনায়ক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু ও মোহাম্মদ আশরাফুলের মধ্যে। নির্বাচক প্যানেলের সদস্যদের কাজে মেয়াদ নিয়ে সম্প্রতি আশরাফুলের করা এক মন্তব্যে ক্ষুব্ধ হন নান্নু।

যমুনা টিভির এক সাক্ষাৎকারে বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ টেস্ট সেঞ্চুরিয়ানকে ‘দেশদ্রোহী ও ফিক্সার’ আখ্যা দেন জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক। নান্নুর সেই মন্তব্য নিয়ে এবার ক্ষোভ ঝাড়লেন আশরাফুল।  

অভিমানের সুরে তিনি জানালেন, ফিক্সিংকাণ্ডের কথা অস্বীকার করলেই হয়তো তার ক্যারিয়ারের জন্য ভালো হতো। সত্যটা স্বীকার করায় এখনও কথা শুনতে হচ্ছে তাকে।

রোববার রাতে নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে লাইভে আশরাফুল বলেন, ‘অন্যায় করেছি স্বীকার করি। আমার আত্মবিশ্বাস আছে বলে এখনও চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমি যদি প্রকাশ্যে স্বীকার না করতাম, তা হলে হয়তো ভিন্নচিত্র হতো। তা হলে এক বছরের শাস্তি হতো, হয়তো এখন জাতীয় দলে খেলতাম। কিন্তু আপনার (নান্নু) সাক্ষাৎকারেই বোঝা যাচ্ছে— আপনার গুড বুকে আমি নেই বলেই এখন সুযোগ পাচ্ছি না। আপনাদের কাছে এখনও ক্ষমা পাইনি, আপনার কথাতে এটি বোঝা যাচ্ছে। আমার প্রকাশ্যে স্বীকার করা ভুল হয়েছে। একেকজন কিন্তু একেক জায়গায় ভুল কাজ করছেন। চোখ কান খোলা রাখলেই শুধু হবে।’

বাংলাদেশ ক্রিকেটে নিজের অবদানের কথা তুলে ধরে আশরাফুল বলেন, ‘নান্নু ভাই যেভাবে নাম ধরে দেশদ্রোহী, ম্যাচ ফিক্সার বললেন, এটি তো ২০১৩ সালে হয়েছে। আমি সবার কাছে ক্ষমা চেয়েছি, শাস্তিও হয়েছে। যেভাবে আক্রমণ করলেন, কষ্ট লেগেছে। যদি বলেন, দেশের ক্রিকেটে আমার অবদান নেই, তা হলে তো কিছু বলার নেই। আপনারা যদি মনে করেন আমি কিছু করিনি, তা হলে তো দুঃখজনক।’

প্রসঙ্গত জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০০১ সালের এপ্রিলে ওয়ানডে অভিষেক হয় মোহাম্মদ আশরাফুলের। লাল-সবুজের জার্সিতে ১৭৭ ওয়ানডে খেলে তার রান সংখ্যা ৩৪৬৮।  ২০টি হাফসেঞ্চুরি ও তিনটি সেঞ্চুরি রয়েছে তার। ৬১ টেস্টে আশরাফুলের সংগ্রহ ২৭৩৭।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭