বাংলাদেশের প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক আখতারুজ্জামান ইলিয়াস।এই কথা সাহিত্যেকের আজ ২৫ তম মৃত্যুবার্ষিকী। তিনি ১৯৯৭ সালের ৪ জানুয়ারি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।
১৯৪৩ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি গাইবান্ধা জেলার গোটিয়া গ্রামে মাতুলালয়ে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম বদিউজ্জামান মুহম্মদ ইলিয়াস এবং পেশায় ছিলেন প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য এবং মুসলিম লীগের পার্লামেন্টারি সেক্রেটারি।
এই কথা সাহিত্যিকের শিক্ষাজীবন শুরু হয় বগুড়া জিলা স্কুল থেকে। বগুড়া জিলা স্কুল থেকে পাস করে ইন্টারমিডিয়েটে ভর্তি হয় ঢাকা কলেজে। তিনি বাংলায় বিএ অনার্স এবং এমএ ডিগ্রি অর্জন করে।
পড়াশোনার পাঠ চুকিয়ে এই কিংবদন্তির চাকরি জীবন শুরু হয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। এছাড়াও দায়িত্ব পালন করেছেন ঢাকা কলেজের বাংলার প্রফেসর ও বিভাগীয় প্রধান হিসেবে । কর্মজীবনে তিনি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ও ঢাকার সরকারি সঙ্গীত মহাবিদ্যালয়ের উপাধ্যক্ষ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন এবং তিনি মফিজউদ্দিন শিক্ষা কমিশনের সদস্য ছিলেন।
তিনি কথাসাহিত্যিক হিসেবে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন। তাঁর লেখায় সমাজবাস্তবতা ও কালচেতনা গভীরভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। বিশেষত, তাঁর রচনাশৈলীর ক্ষেত্রে যে স্বকীয় বর্ণনারীতি ও সংলাপে কথ্যভাষার ব্যবহার লক্ষণীয় তা সমগ্র বাংলা কথাশিল্পে অনন্যসাধারণ। তাঁর লেখা বিখ্যাত দুইটি উপন্যাস চিলেকোঠার সেপাই ও খোয়াবনামা। ১৯৮২ সালে বাংলা ভাষা ও বাংলা সাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি ‘বাংলা একাডেমী পুরষ্কার পান। এছাড়াও খোয়াবনামা উপন্যাসের জন্য ‘সাদত আলী আখন্দ পুরস্কার’ ও কলকাতার ‘আনন্দ পুরস্কার’ লাভ করেন।
আখতারুজ্জামান ইলিয়াস বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক সংগঠন বাংলাদেশ লেখক শিবির এর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।