ইনসাইড থট

দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে শেখ হাসিনার উন্নয়নের স্বপ্নতরী


প্রকাশ: 06/01/2022


Thumbnail

স্মরণকালের বাংলার ইতিহাসে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর রক্তের প্রতিটি ধারায় নিপীড়িত জনতার মুক্তি ও উন্নয়নের চিত্র শিহরিত হয়েছে। নির্যাতিত বাঙালী জনগোষ্ঠীকে রক্ষার চিত্র বঙ্গবন্ধুর অশৈশব থেকেই দেখা মেলে। বিট্রিশদের শৃঙ্খলের হাত থেকে রক্ষা পেতে ভারত উপমহাদেশের পূর্ববঙ্গ বর্তমান বাংলাদেশে জন্ম নেন শান্তিকামী বিশ্বের নেতা বঙ্গবন্ধু। বিট্রিশ বিরোধী আন্দোলনে কৈশোরেই জড়িয়ে পড়ার মধ্যে দিয়েই বাংলার ভাগ্যাকাশে স্বাধীনতার চিন্তার জনকের প্রস্ফুটিত হয়। দিন যায় যায় বঙ্গবন্ধুর হৃদয়ে মননে নেতৃত্বের গুণাবলী প্রকাশ পেতে থাকে। যার ফলে জীবনের প্রতিটি স্তরে স্তরে ধাপে ধাপে বঙ্গবন্ধু মুক্তির আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে বারংবার কারাবরণ করেন। যতবার শেখ মুজিবকে কারারুদ্ধ করা হয় ততোবার তিনি আরো বেশী ক্ষিপ্র ও তীক্ষ্ণবুদ্ধি সম্পন্ন রাজনৈতিকে পরিণত হয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর রাজনৈতিক জীবনে ৪ হাজার ৬৮২ দিন কারাভোগ করেছেন। এর মধ্যে স্কুলের ছাত্র অবস্থায় ব্রিটিশ আমলে সাতদিন কারা ভোগ করেন। বাকি ৪ হাজার ৬৭৫ দিন তিনি কারাভোগ করেন পাকিস্তান সরকারের আমলে।তাঁর মত আরো কোন বাঙালি জেল জলুম সহ্য করেননি। বঙ্গবন্ধুর অন্তরীণ ছিল বাংলাদেশের প্রসব বেদনা। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরে সেই প্রসব বেদনার সমাপ্তি হয় বিশ্ব মানচিত্রে স্বাধীন বাংলাদেশের চিত্র অঙ্কনের মধ্যে দিয়ে। প্রসব বেদনার সমাপ্তি হলেও বাঙালী হদয়ে ক্ষত রয়ে যায় ১৯৭১ সালের ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। কারণ বাংলাদেশের জনক ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত পাকিস্তানের হাতেই কারাবন্দী ছিলেন। বাংলাদেশের জন্মের প্রসব বেদনার সমাপ্তি ঘটে জাতির জনকের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে।

যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে নির্মাণে বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে তিন বছর সময় পান। বাংলাদেশের যত উন্নয়ন পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন সবই বঙ্গবন্ধুর সুদূর প্রসারী চিন্তা ও উদ্যোগের ফসল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলার ভাগ্যাকাশে নেমে আসে অমানিশা। দেশের সমস্ত উন্নয়ন থেমে যায়। মুক্ত বাংলার বুকে নেমে পাকিস্তান আমলের মত মানুষের উপর হত্যা নির্যাতন। পরিবার হারা বাংলা মায়ের চিরদুঃখী বিদেশে থাকায় বেঁচে যাওয়া বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলার উন্নয়নের নিরব বুদ্ধিদাতা শেখ রেহানা ১৯৮১ সালে ১৭ মে দেশে ফিরেন। তাদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষ আশায় বুক বাঁধেন। স্বপ্ন দেখেন তাদের ভাগ্যোন্নয়নের। নানান চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে জনতার ভোটে দেশরের প্রধানমন্ত্রী হন।প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েই শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নে মননিবেশ করেন। দেশের উন্নয়ন করতে হলে চাই আইনের শাসন। এ মন্ত্রকে কাজে লাগিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধ ও স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের সমস্ত হত্যাকাণ্ডের বিচার করার উদ্যোগী হন। একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, বঙ্গবন্ধু হত্যা বিচার করে জাতির দায় মোচন করে শেখ হাসিনা।শেখ হাসিনা প্রথম ক্ষমতায় এসেই বঙ্গবন্ধুর গৃহীত সমস্ত উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার পাশাপাশি সময়ের সাথে নানানবিধ উন্নয়ন পরিকল্পনা হাতে নেন। প্রথম মেয়াদে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা দান করেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর মতো শেখ হাসিনার উন্নয়ন পরিকল্পনা ও দেশের অগ্রযাত্রা দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারী ভালভাবে নেয়নি।যার চিত্র ২০০১ সালের অক্টোবরের জাতীয় নির্বাচনে দেখতে পাই। পরবর্তী পাঁচ বছর খালেদা নিজামী সরকার লুটপাট করে দেশকে টানা তিনবার দেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ান করে। জননেত্রী শেখ হাসিনা গৃহীত সকল উন্নয়ন পরিকল্পনা বাতিল করে দেয় খালেদা জিয়া বাতিল করে দেয়।

এমনকি শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মী মেরে ফেলতে রাষ্ট্রীয় মদদে ২০০৪ ২১ আগস্ট সংগঠনটির সমাবেশ গ্রেনেড হামলা চালানো হয়।ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রদূত শেখ হাসিনা। নানান ঘাত-প্রতিঘাত মোকাবেলা করে বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের ডিজিটাল বিনির্মাণে নির্বাচনী ইস্তেহার দিয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসেন।এ পর্বে আওয়ামী সরকার প্রধান জননেত্রী শেখ হাসিনা আরো কৌশলী ও দক্ষ হাতে দেশকে পরিচালনা করে দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করে সারাবিশ্বে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। শেখ হাসিনা গৃহীত হাজার হাজার উন্নয়ন পরিকল্পনার কয়েকটি আলোচনার উদাহরণ হিসেবে আমাদ সামনে বারবার আসে।

মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নে দশটি বিশেষ উদ্যোগ-

১. ‘শেখ হাসিনার উপহার একটি বাড়ি একটি খামার’ শীর্ষক আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্প, 
২. ‘আশ্রয়ণের অধিকার শেখ হাসিনার উপহার’ শিরোনামে আশ্রয়ণ প্রকল্প,
৩. ‘শেখ হাসিনার উপহার, ডিজিটাল সরকার’ ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রকল্প,
৪. ‘শিক্ষা নিয়ে গড়ব দেশ শেখ হাসিনার বাংলাদেশ’ শিক্ষা সহায়তা কার্যক্রম,
৫. ‘শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি, নারী জাগরণের  অগ্রগতি’ শীর্ষক নরীর ক্ষমতায়ন কার্যক্রমসমূহ,
৬. ‘ শেখ হাসিনার উদ্যোগ, ঘরে ঘরে বিদ্যুত’ শীর্ষক সবার জন্য বিদ্যুৎ প্রকল্প,
৭. ‘শেখ হাসিনার বার্তা, গড়ো সামাজিক নিরাপত্তা’ শীর্ষক সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি,
৮. ‘শেখ হাসিনার অবদান, কমিউনিটি ক্লিনিক বাঁচায় প্রাণ’ শীর্ষক মিউনিটি ক্লিনিক ও শিশু বিকাশ প্রকল্প,
৯. ‘শেখ হাসিনার  নির্দেশ, বিনিয়োগ বান্ধব বাংলাদেশ’ শীর্ষক বিনিয়োগ বিকাশ প্রকল্প,
১০. ‘শেখ হাসিনার নির্দেশ, জলবায়ু সহিষ্ণু বাংলাদেশ' শীর্ষক পরিবেশ সুরক্ষা প্রকল্প।

আধুনিক ও স্বনির্ভর বাংলাদেশ নির্মাণে-

শেখ হাসিনার মেগা প্রকল্প ১. পদ্মা সেতু প্রকল্প : মুন্সীগঞ্জ – শরীয়তপুর:  ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু (ব্যয় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা), ২. রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র - দেশের সর্বোচ্চ ব্যয়ের প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৯২ কোটি টাকা। দেশের ইতিহাসে প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। ৩. মেট্রোরেল প্রকল্প- জাপান সরকারের অর্থায়নে ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজধানীতে বাস্তবায়ন হচ্ছে মেট্রোরেল প্রকল্প। ৪. রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র - বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ উদ্যোগে এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি তৈরি করতে ব্যয় হচ্ছে ১৬ হাজার কোটি টাকা। ৫. এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ - এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের পাশাপাশি মহেশখালী - আনোয়ারা গ্যাস সঞ্চালন সমান্তরাল পাইপলাইন নির্মাণ, আনোয়ারা - ফৌজদারহাট গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ এবং চট্টগ্রাম-ফেনী-বাখরাবাদ গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ প্রকল্প যুক্ত রয়েছে। ৬. মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্র-জাপান সরকারের অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে ৩৫ হাজার ৯৮৪ কোটি টাকা। ৭. পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ -এর নির্মাণ ব্যয়- ১৫ হাজার ৮শ ৬৫ কোটি টাকা প্রায়। পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের জন্য এ প্রকল্পকে ১৯ টি কম্পোনেন্টে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৭টি কম্পোনেন্ট সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে, ৬টি কম্পোনেন্ট পিপিসির মাধ্যমে এবং ৬টি কম্পোনেন্ট জি-টু-জি পদ্ধতির মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ৮. পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ-চীন সরকারের অর্থায়নে জি-টু-জি পদ্ধতিতে ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। ৯. সোনাদিয়া গভীর সমুদ্র বন্দর। ১০. ট্রান্স এশিয়ান ওয়ে  দোহাজারি-রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু-মিয়ানমারের কাছে ঘুমঘুম পর্যন্ত  সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্প। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের অর্থায়নে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে।

অন্যান্য বড় বাস্তবায়িত হবার পথে যেসব প্রকল্প-

১. ঢাকা ম্যাস র‍্যাপিড ট্রান্সিট ডেভলপমেন্ট - ২০.১০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ নগর সড়কে মোট ব্যয় ২২ হাজার টাকা ।
২. ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেস প্রকল্প: ১৯.৭৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়কের নির্মাণ ব্যয় নয় হাজার কোটি টাকা।
৩. যমুনা (বঙ্গবন্ধু) রেলসেতু: নাম দেয়া হয়েছে বঙ্গবন্ধু রেলসেতু। দুই লাইনের ডুয়েলগেজ রেলসেতুর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে  ১৭ হাজার কোটি টাকা।
৪. শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম প্রকল্প: আনুমানিক খরচ ধরা হয়েছে ৬০ কোটি টাকা।
৫. মহেশখালী ভাসমান টার্মিনাল প্রকল্প: মোট ব্যয় ৪২৫০ কোটি টাকা।
৬. কর্ণফুলী টানেল প্রকল্প টানেলের দৈর্ঘ্য ৩.৫ কিলোমিটারসহ মোট ১১.৮ কিলোমিটার। এর নির্মাণ ব্যয় ১০ হাজার কোটি টাকা।
৭.  বিমানবন্দর: হযরত শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আধুনিকায়নসহ নতুন টার্মিনাল ২১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।

এছাড়া গৃহীতব্য মেগা প্রকল্প:

১. ঢাকা ইস্ট ওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেস প্রকল্প: ৩৯.২৩ কিলোমিটার দীর্ঘ ৪ লেনের এ সড়কের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬ হাজার ৩৮৮ কোটি টাকা।
২. ঢাকা চট্টগ্রাম এক্সপ্রেস রেলওয়ে প্রকল্প: ৯৭ হাজার কোটি ব্যয়ে ২২৭.৩০ কিলোমিটার রেলওয়ে প্রকল্প। ঢাকা চট্টগ্রাম রেলওয়ে নির্মাণীত হলে ৩২১ কিলোমিটার পথ কমবে।
৩. শান্তিনগর মাওয়া ফ্লাইওভার প্রকল্প: শান্তিনগর থেকে ঢাকা কেরানীগঞ্জ ঝিলমিল প্রকল্প পর্যন্ত ফ্লাইওভারের দৈর্ঘ্য ১১ কিলোমিটার।
৪. কমলাপুর রেল স্টেশন প্রকল্প: মাল্টিডোমাল হাব রেলস্টেশনের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৮০০কোটি টাকা।
৫. যমুনার তলদেশে টানেল নির্মাণ প্রকল্প: নদীর তলদেশ দিয়ে ১৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের  টানেলের ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৪ হাজার কোটি টাকা।
৬.বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রকল্প ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
৭. পূর্বাচল নিউ টাউন প্রকল্প: ৬১৫০ একর জমির উপর প্রায় ২৬ হাজার প্লট।
৮. ধীরাশ্রম কন্টেইনার ডিপো, গাজীপুর প্রকল্প।

এসব প্রকল্পের মতো আরো উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছেন বঙ্গকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। সম্প্রতি একনেক সভায় রাজধানীর মতো চট্টগ্রাম শহরেও মেট্রোরেল নির্মাণ করা হবে। এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চট্টগ্রাম রেলস্টেশন থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত যাবে এই রেল। পর্যায়ক্রমে দেশের অন্যান্য জেলা শহরেও মেট্রোরেল নির্মাণ করা হবে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭