ইনসাইড থট

বিশ্বনেত্রী শেখ হাসিনার বুকে আঘাত করার প্রচেষ্টা চলছে


প্রকাশ: 07/01/2022


Thumbnail

আমরা সকলেই জানি যে, বিশ্বনেত্রী শেখ হাসিনার আসল শক্তির জায়গা হচ্ছে শুধু তার সৎ সাহস এবং জনগণের জন্য নির্দ্বিধায় নিজের জীবনকে বিলিয়ে দেওয়ার জন্য যার এক নিশ্বাসও সময় লাগে না। এটিই তো সত্যি বটে কিন্তু তার আসল শক্তির জায়গা কি, কেন তিনি এটা করতে পারতেছেন। করতে পারতেছেন এইজন্যে যে, এ দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী সমস্ত অবস্থার মধ্যে এই রাষ্ট্রনায়ক কে যিনি এখন বিশ্বের রাষ্ট্রনায়ক তার প্রতি তাদের অগাধ বিশ্বাস। এই প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর বিশ্বাস এর ভিতরে যদি কোন প্রশ্ন ঢুকানো যায়, তার যে কোনো ভালো কাজকেও যদি প্রশ্ন বোধক করা যায়। আর সেটা করার জন্য একটি উপায় হচ্ছে বারবার সমস্ত মিডিয়াকে ব্যবহার করা। বর্তমানে বুঝতে হবে যে রেডিও-টেলিভিশনই কিন্তু প্রধান মিডিয়া না, সোশ্যাল মিডিয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, এই মাধ্যমটি ব্যবহার করে যেই নিউজ চ্যানেল, অনলাইন পত্রিকাগুলো চলছে তারা খুব দ্রুত তাদের পাঠক এবং জনগণের কাছে দ্রুত পৌঁছাবার ক্ষমতা রাখে। তারা ঘণ্টায় ঘণ্টায় নতুন কোন ঘটনা ঘটলে খুব দ্রুততার সহিত সেটা জানাতে পারে। কিন্তু প্রিন্ট মিডিয়াতে অন্ততপক্ষে ২৪ ঘণ্টা দেরি করতে হয় এবং বর্তমানে বিশ্বে প্রতিনিয়তই ঘটনা ঘটছে, আগের মতো নয়।

বিশ্বনেত্রী শেখ হাসিনার বুকে যে আঘাত করার চেষ্টা হচ্ছে অর্থাৎ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর থেকে নেত্রীকে বিচ্ছিন্ন করার সামান্য প্রচেষ্টা যদি সাকসেসফুল হয়, সেটা হবে নেত্রীর প্রতি সবচেয়ে অবিচার শুধু নয় নেত্রীর জন্য একটি ক্ষতির শুরু। সুতরাং আমাদের সকলেরই দায়িত্ব হচ্ছে কোনো অবস্থাতেই নেত্রীর বুকে আঘাত পৌঁছানোর আগেই তাকে বাধা দিতে হবে, সেটা বাধা দেওয়ার উপায়টা কি। বাধা দেওয়ার উপায়টা হচ্ছে আমরা যে, যেখানে আছি, যে পর্যায়ে আছি আমরাও বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে এই যে নিউজপোর্টাল যত আছে সমস্ত কিছুকে ব্যবহার করতে হবে। যাতে এই প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে নেত্রী যে দেশের জন্য, জনগণের জন্য বিশেষ করে আমি বলবো যে সব জনগণের জন্য তো নিশ্চয়ই কিন্তু প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য কি করেন এই সংবাদটি সঠিকভাবে তাদের কাছে নিয়মিত পৌঁছানো দরকার। না হলে অনেক মিডিয়া প্রতিনিয়ত মিথ্যা প্রচার করে চলেছেন। তারা এমনভাবে করছেন যে, অনেকটা সত্যের সাথে মিথ্যাকে মিশ্রিত করেন। এর ফলে ওই মিথ্যাটা খুব বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়। কেননা সত্যের সাথে মিশানো হয়েছে। শুধু যদি একশভাগ মিথ্যা কন্টিনিউয়াসলি বলা হয় তাতে এক ইফেক্ট হয়। কারণ যদি প্রতিনিয়ত একটি মিথ্যা কথাই বলা হয়, এটা শুধু গোয়েবলসের থিউরি শুধু নয় এই গোয়েবলস থেকে শুরু করে বর্তমান যুগেও কিন্তু এটা সত্যে পরিণত হয়েছে। অথচ নেত্রী প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দিয়েছেন সেই প্রতিষ্ঠানকে তিনি গণতান্ত্রিক রূপও দিয়েছেন। এই প্রতিষ্ঠানগুলো যদি তাদের দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করে এবং এই দায়িত্ব পালনের সাথে সাথে এই আমাদের জনগণের  চোখের মণি শেখ হাসিনা যাকে বিভিন্ন ভাবে ডাকা গেলেও যদি এই কথায় ঢাকা হয় যে, জনগণের নেত্রী তিনি। তাহলে জনগণকে এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নেত্রীর কি বক্তব্য, তিনি কি কাজ করছেন এগুলো  পৌঁছানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।

উদাহরণ হিসেবে বলি, আমি বহুদিন ধরে কমিউনিটি ক্লিনিক নিয়ে কাজ করি। কমিউনিটি ক্লিনিকের তিনটি মূল উদ্দেশ্য আমি নেত্রীর কাছ থেকে বিভিন্ন সময় উনার সাথে আলাপ আলোচনা, বক্তব্য থেকে যেটুকু  পেয়েছি। এমন কোনো বক্তব্য নাই যেখানে তিনি কমিউনিটি ক্লিনিকের কথা উল্লেখ না করেন। তার মানে হচ্ছে এই কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রতি আমার দায়িত্বটা আরও বেড়ে যায়। আমি যদি সঠিকভাবে কমিউনিটি ক্লিনিকটা নেত্রী কি করছেন সেই কাজে ব্যবহার না করি তাহলে সত্যিকারে নেত্রী আমার প্রতি যে বিশ্বাস রেখেছিলেন  সেই বিশ্বাসটাকে আমি ভঙ্গ করলাম। জীবন সায়াহ্নে এসে আমি অত্যন্ত  পক্ষে নেত্রীর বিশ্বাস ভঙ্গ করে একজন বিশ্বাস ভঙ্গকারী হতে চায় না। আমি বিশ্বাস করি কমিউনিটি ক্লিনিকে আমি নেত্রীর  আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার জন্য, তাদের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে ঠিক মতো দিতে হবে এবং যাতে তারা চিকিৎসা নিতে আসেন কমিউনিটি গ্রুপ, সাপোর্ট গ্রুপ এইটা যাতে ঠিক মতো ফাংশন করতে পারে, ঠিক মতো লোক উপকার হয় সেজন্য আমি একজন ন্যাশনাল কো অর্ডিনেটর বা জাতীয় কো অর্ডিনেটর নিয়োগ দিয়েছি। তিনি নেত্রীর আদর্শে বিশ্বাসী এবং তিনি তার কাজ অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে করে চলেছেন। আর আমার একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হচ্ছে কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রত্যেকটি কাজ  শুরু করার আগে এবং পরে দুইভাবে জনগণকে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে না এটা নেত্রীর প্রতি নেত্রী আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছে,আমি যে বললাম জীবন সায়াহ্নে অত্যন্ত পক্ষে তার কথা রেখেছি এটা প্রমাণ দেয়ার  জন্য নেত্রী কি কি কাজ করে চলেছেন সেই জিনিসগুলোকে তাদের কাছে পৌঁছাতে হবে। এটা কোনো রাজনীতির সাথে সম্পর্কযুক্ত নয়, এটি হচ্ছে সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করা আমার নৈতিক দায়িত্ব। আমার বিবেকের কাছে উত্তর দিতে হবে যিনি এই প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক করলেন, যিনি সেখানে ওষুধের ব্যবস্থা করলেন, যিনি কমিউনিটি গ্রুপ এবং সাপোর্ট গ্রুপ করলেন এবং তাদেরকে তদারকি করার জন্য আমার আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী তিনি আমাকে এটা অনুমতি দিলেন যে, ন্যাশনাল কো-অর্ডিনেটর দিয়ে আরও ঠিকভাবে চলে। তার সাথে যদি আমরা সকলে মিলে নেত্রীর অন্যান্য কাজগুলোও যদি এই প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে না পৌঁছায় তাহলে তো আমাদের কাজটা সম্পন্ন হবেনা এবং  আমাদের কাজটি অসম্পন্ন থাকলে যে গ্যাপটা পাওয়া যাবে ঐ গ্যাপ দিয়েই নেত্রীর বুকে আঘাত করার সুযোগ আসবে।

সুতরাং, আল্লাহ যে রকম নেত্রীকে অতীতে অনেক বিপদ আপদের সময় খুব ক্লোস রেঞ্জে নেত্রীকে গুলি করা হয়েছে, শুধু ২১শে  আগস্ট ২০০৪ সালেই নয় আরও  অনেক সময় করা হয়েছে,সবাই জানে মনে হয় যেন আল্লাহ তার চাদর দিয়ে রক্ষা করেছেন। ঠিক তেমনি ভাবে আমাদের ক্ষমতা হচ্ছে নেত্রীর কাজগুলোকে তাদের কানে বার বার পৌঁছে দিয়ে নেত্রীর বুককে রক্ষা করার জন্য একটা চাদরের সৃষ্টি করা। সে চাদরের রুল প্লে করবে আমাদের কর্ম। আমাদের কোন দিকে না তাকিয়ে নেত্রী কাজগুলো কিভাবে করেছেন এবং বার বার আমাদের কোনো দিকে না তাকিয়ে নেত্রী কাজ কিভাবে করছেন, সেই কাজগুলি প্রতিনিয়ত এবং বারবার প্রচার করতে হবে। এই যে প্রায় ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক, তাদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে এবং প্রতিনিয়ত পৌঁছাতে হবে। সুতরাং আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, এখন থেকে যেভাবে কমিউনিটি ক্লিনিকের আমাদের কাজ চলতো, যেমন ওষুধ যেভাবে দেওয়া হয়, সেভাবেই দেওয়া হবে। সেই ভাবেই চলবে। কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মীবাহিনী নতুন যেটুকুই লাগুক, তারা যাতে একদম সৎ ভাবে নিয়োগ পায়, সেদিকে লক্ষ্য দিতে হবে। তার সাথে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে বারবার বোঝাতে হবে যে, শুধুমাত্র তোমাদের চিকিৎসা না, এ ছাড়াও নেত্রী তোমাদের জন্য কি কি করছে,  দেশের জন্য কি কি করে চলেছেন। যেমন এখন আর কোনো ইলেক্ট্রিসিটি যায় না। এখন আসলে আমার কেন যেন মনে হয়, নেত্রী মাঝে মাঝে বলেন, কথাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ যে মাঝে মাঝে আসলে ইলেক্ট্রিসিটি দুই মিনিটের জন্য হলেও বন্ধ করে রেখে লোককে বোঝানো দরকার যে কিভাবে তিনি ইলেক্ট্রিসিটি কন্টিনিউয়াস করেছেন। ঠিক তেমনিভাবে পদ্মা ব্রিজের তিনি হেঁটে গাড়িতেও গিয়েছেন এবং দুই মাইল তার ছোট বোনকে নিয়ে হেঁটেও দেখিয়েছেন।

আমি এদেশের রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে দুটো দল দেখি। একটি হচ্ছে নেত্রীর দল আওয়ামী লীগ। আরেকটি হচ্ছে এন্টি আওয়ামী লীগ। এখানে কোনো বিএনপি-টিএনপি বলে কিছু নাই। তারা নেত্রীকে পছন্দ করে না। সুতরাং তারা মুখে যে যতই বলুক না কেন, ভোটের সময় তারা এক হয়ে যায়। আমাদের এই জিনিসটিও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে বোঝানো দরকার। এটাও আমি মনে করি আমাদের দায়িত্ব। কেন দায়িত্ব? কারণ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য নেত্রী করলেন, তা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কি দায়িত্ব নেত্রীর প্রতি, সেটা তো নেত্রীর আমরা যারা কর্মী, আমাদের তো সেটা তাদের জানানোর দরকার। আমি মনে করি কমিউনিটি ক্লিনিকের যে ঝাড়ু দেন, তার থেকে শুরু করে আমি কমিউনিটি ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি পর্যন্ত আমরা সকলেই খুব ভাগ্যবান। কি জন্য ভাগ্যবান? আমরা নেত্রীর সবচেয়ে কাছের কর্মী। আমাদের উপরে আর কোনো কর্মী নাই। কেননা বুকের ঢাল দিয়ে যারা নেত্রীকে রক্ষা করবে সেই প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। এরা সামান্যতম কোন রকম চিন্তা করেনা, দ্বিধা করে না। তাদের সেবা করার জন্য, তাদের কাছে নেত্রী কি কাজ করছেন, এইটা পৌঁছে দেওয়ার চেয়ে আর সুযোগ জীবনে কি আসতে পারে? সুতরাং আমি মনে করি যে, জীবনের এই ক্রান্তিকালে এসে নেত্রীর সঠিক কাজটি প্রচার করবো। লোকে মিথ্যা কাজটিকেই এত প্রচার করছে আর আমরা কেন সত্যি কাজটা ঠিকমতো প্রচার করতে পারব না? এই ব্যাপারে আমাদের কোনো বিফল হওয়ার সুযোগ নেই এবং আল্লাহর রহমতে আমরা বিফল হবো না।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭