ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

করোনার টিকার ১১ ডোজ নিয়ে ১২তম বারে ধরা পড়লেন বৃদ্ধ


প্রকাশ: 07/01/2022


Thumbnail

ভারতের বিহারের বাসিন্দা ব্রহ্মদেব মণ্ডল। ৬৫ বছর বয়সী অবসরপ্রাপ্ত এই ডাকপিয়ন সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে একে একে ১১ ডোজ টিকা নেওয়ার দাবি করেছেন। অবশ্য সরকারি কর্তারা এখন পর্যন্ত আট ডোজের কথা স্বীকার করেছেন। 

মাধেপুরা জেলার এ বৃদ্ধ শারীরিক ব্যথা থেকে মুক্তি পেতেই ১১ ডোজ টিকা নিয়েছেন এবং এতে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়নি বলে দাবি করেছেন ব্রহ্মদেব। গত সপ্তাহে ১২তম ডোজ নেওয়ার সময় পড়েছেন তিনি। এ ব্যক্তি কীভাবে এতগুলো টিকা নিলেন, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। 

প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, ব্রহ্মদেব মণ্ডল একই দিন আধা ঘণ্টার ব্যবধানে দুই ডোজ টিকা নিয়েছিলেন এবং সেই তথ্যও পোর্টালে রয়েছে।

স্থানীয় সিভিল সার্জন অমরেন্দ্র প্রতাপ শাহী বলেছেন, আমরা এরই মধ্যে প্রমাণ পেয়েছি, তিনি চার জায়গা থেকে আটটি ডোজ নিয়েছেন।

অমরেন্দ্র প্রতাপ শাহী বলেন, এমনটি কীভাবে ঘটলো তা নিয়ে আমরা হতবাক। মনে হচ্ছে, এটি পোর্টালের ব্যর্থতা। তবে টিকাকেন্দ্র পরিচালনাকারীদের কোনো অবহেলা ছিল কিনা তাও দেখা হচ্ছে।

ভারতীয় জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ চন্দ্রকান্ত লাহারিয়ার মতে, টিকাদানের তথ্য দীর্ঘ সময় পরে পোর্টালে আপলোড করাই এ ঘটনা ঘটার ‘একমাত্র উপায়’।

সরকারি ওয়েবসাইট হিসাব রাখতে না পারলেও ব্রহ্মদেব কাগজে লিখে প্রত্যেকটি ডোজ নেওয়ার তারিখ ও সময় হিসাব রাখতেন। তার দাবি, তিনি গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ১১ ডোজ টিকা নিয়েছেন।

এ বৃদ্ধ জানান, তিনি মাধেপুরার কেন্দ্রগুলো ছাড়াও পাশের দুটি জেলায় গিয়ে টিকা নিয়েছেন, এর একটি অন্তত ১০০ কিলোমিটার দূরে। পোর্টালে নিবন্ধনের জন্য তিনি ভিন্ন ভিন্ন পরিচয়পত্র ব্যবহার করতেন।

ব্রহ্মদেবের দাবি, তিনি ডাকপিয়ন হওয়ার আগে হাঁতুড়ে চিকিৎসা করতেন, তাই ‘অসুখ-বিসুখ সম্পর্কে কিছুটা জানেন’। তিনি বলেন, টিকা নেওয়ার পর আমার শরীরের ব্যথা ও যন্ত্রণা চলে যায়। আগে হাঁটুতে ব্যথা হতো এবং লাঠি নিয়ে হাঁটতাম। এখন আর হয় না। আমি ভালো আছি।

গত বছরের ১৬ জানুয়ারি টিকাদান শুরুর পর থেকে ভারত মূলত স্থানীয়ভাবে তৈরি দুটি টিকা- কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন ব্যবহার করছে। এগুলোর দুই ডোজের মধ্যে যথাক্রমে ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ ও চার থেকে ছয় সপ্তাহের ব্যবধান রাখার নিয়ম।

দেশটিতে টিকা নেওয়ার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। এরপরও ভারতজুড়ে ৯০ হাজারের বেশি টিকাদান কেন্দ্র থেকে টিকা দেওয়া হচ্ছে, যার বেশিরভাগেই সরকার পরিচালিত। এগুলোর মধ্যে অনেক কেন্দ্র রয়েছে যেখানে আগে থেকে অনলাইন নিবন্ধন না করে সরাসরি হাজির হলেই টিকা দেওয়া হয়। নিবন্ধনের জন্য সুবিধাভোগীদের বায়োমেট্রিক কার্ড, ভোটার আইডি বা ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ অন্তত ১০টি নথি জমা দিতে হয়। এসব তথ্য একত্রিত করে ভারত সরকারের টিকা সংক্রান্ত পোর্টাল কোউইনে আপলোড করা হয়।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭