ইনসাইড পলিটিক্স

ওসমান পরিবারের ঘনিষ্ঠ চার ইউপি চেয়ারম্যান নেমেছেন তৈমুরের প্রচারণায়


প্রকাশ: 08/01/2022


Thumbnail

নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে শামীম ওসমান বনাম ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর দ্বৈরত্বের কথা কারও অজানা নয়। সেই দ্বৈরত্বের রেশ ধরেই নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ওসমান পরিবারের সমর্থকরা স্বতন্ত্র মেয়র পদপ্রার্থী বিএনপির চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা তৈমুর আলম খন্দকারের পক্ষে মাঠে নেমেছেন বলে জানা গেছে। বিশেষ করে গতকাল শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) জাতীয় পার্টি (জাপা) সমর্থিত চার ইউপি চেয়ারম্যান তৈমুর আলম খন্দকারের পক্ষে নির্বাচনের মাঠে নেমেছেন। এরা সবাই জাপার সাংসদ সেলিম ওসমানের ঘনিষ্ঠ অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

সেলিম ওসমান নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ। তার ছোট ভাই শামীম ওসমান নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের আওয়ামী লীগের সাংসদ। এই দুটি সংসদীয় আসনই সিটি করপোরেশনের মধ্যে পড়েছে। নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জাতীয় পার্টির রাজনীতিও নিয়ন্ত্রণ করে ওসমান পরিবার।
 
নির্বাচনে বিএনপি প্রকাশ্যে অংশ না নিলেও দলটির নেতা তৈমুর আলম খন্দকার স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার পেছনে শামীম ওসমান বা ওসমান পরিবারের ইন্ধন রয়েছে বলে এখানকার মানুষের মধ্যে আগে থেকেই গুঞ্জন ছিল। এসব গুঞ্জনের মধ্য দিয়েই গতকাল শুক্রবার ওসমান পরিবারের অনুগত চার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান তৈমুরের সঙ্গে প্রচারে নামায় এটা এখন প্রকাশ্যে এসে গেছে বলে ভোটারদের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাপার সাংসদ সেলিম ওসমান জানান, আমাদের কাছে কেউ ভোট চায়নি। তাই জাতীয় পার্টি এখানে কোনো প্রার্থীকে সমর্থন দেয়নি। যারা সেখানে গেছেন, ব্যক্তিগতভাবে সেখানে গেছেন, দল থেকে নয়।

গতকাল সকালে তৈমুর আলম খন্দকারনারায়ণগঞ্জের বন্দরে ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে লক্ষ্মণখোলা এলাকায় গণসংযোগ ও মিছিল করেন। এসময় তার সঙ্গে দলবল নিয়ে অংশ নেন ওসমান পরিবারের ঘনিষ্ঠ চার ইউপি চেয়ারম্যান, বন্দর ইউনিয়নের এহসান চৌধুরী, কলাগাছিয়া ইউনিয়নের দেলোয়ার হোসেন, মুছাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন ও ধামগড় ইউনিয়নের কামাল হোসেন।

বন্দর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এহসান চৌধুরী বলেন, আমরা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিয়ে তৈমুরের পক্ষে অবস্থান নিয়েছি এবং প্রচারে অংশ নিয়েছি। প্রায় একই কথা বলেছেন মুছাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন। আর কলাগাছিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেনের ভাষ্য, তিনি ভালোবেসে তৈমুরের প্রচারে অংশ নিয়েছেন।
 
ওই চার ইউপি চেয়ারম্যান ছাড়াও তৈমুরের মিছিলে অংশ নেন সাবেক সাংসদ ও নাগরিক ঐক্যের নেতা এস এম আকরাম, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম, বিএনপির মহানগরের সাধারণ সম্পাদক এ টি এম কামাল, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, বিএনপির বন্দর উপজেলার সভাপতি নুরুউদ্দিনসহ নেতা-কর্মীরা।

শুক্রবার সকালে গণসংযোগকালে তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, পানি কাটলে দুই ভাগ হবে, কিন্তু বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তার যে সম্পর্ক সেটি ছিন্ন হবে না। 

তৈমুর বলেন, ‘আমার দল আমাকে ভালো কাজ করে দিয়েছে, এখন নৌকার ভোটও পাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে।’

তৈমুর অভিযোগ করে বলেন, আচরণবিধি লঙ্ঘন করে সরকারি দলের প্রার্থীর পক্ষে রাস্তার মধ্যে তোরণ নির্মাণ করা হচ্ছে। মাইকিং করা হচ্ছে। তার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ দেবেন বলে তিনি জানান।

তবে তৈমুরের এ অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, তিনি আচরণবিধি মেনে প্রচারণা চালাচ্ছেন। তিন ওয়ার্ড মিলে একটি মাইক দিয়েছেন। কিন্তু তৈমুর আলম সবচেয়ে বেশি মাইক ব্যবহার করছেন।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭