ইনসাইড থট

শেখ হাসিনা উন্নয়নের প্রতীক


প্রকাশ: 10/01/2022


Thumbnail

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি স্বাধীন ভূখণ্ড ও লালসবুজের পতাকা দিয়ে গেছেন। অর্থনৈতিক মুক্তির সোপানে তাঁর স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে উন্নয়নের মহাসড়কে অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন তাঁরই রক্তের উত্তরাধিকার উন্নত ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার জননেত্রী শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা সারাবিশ্ব একজন অন্যতম ভিশনারী ও ডাইনামিক লিডার। আমি সরকারি চাকরিতে কর্মরত অবস্থায় দেখেছি তাঁর অনুশাসন ও নির্দেশনা প্রতিপালন করতে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীগণ রীতিমত গলদঘর্ম হয়েছেন। তিনি ২০১১ সালে অর্থাৎ ১০ বছর আগে “রূপকল্প-২০২১” ঘোষণা করেছেন। তিনি সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী যেমন বয়স্কভাতা, দুস্তিমাতা, স্বামী পরিত্যক্তা ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রসূতি ও দুগ্ধমাতা ভাতা এবং প্রতিবন্ধী ভাতা চালুর মাধ্যমে দারিদ্র বিমোচনে সফল হয়েছেন এতে দারিদ্রের হার এবং হত দরিদ্রের হার উভয়ই কমেছে। অন্যদিকে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবা চালু করায় ইপিআই ও ভিটামিন এ ক্যাপসুল সেবনের মধ্যদিয়ে শিশু মৃত্যুর হার কমেছে এবং অপুষ্টি দূর করে শিশু স্বাস্থ্য নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে। গর্ভবতী মাতার বিশেষ স্বাস্থ্য সেবা, মাতৃমঙ্গল প্রশিক্ষিত মিড ওয়াইফারীর দ্বারা মাতৃ প্রসব ইত্যাদি প্রসূতি সেবার জন্য গর্ভবতী ও প্রসূতি মাতৃ-মৃত্যুর হার অনেক কমে আনা সম্ভব হয়েছে।

কৃষিক্ষেত্রে সময় মত উন্নত মানের বীজ সরবরাহ, বিভিন্ন রকমের সার সরবরাহ, কীটনাশক ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সরবরাহ এবং কৃষি যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদনে এক বৈপ্লবিক অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। একই ভাবে উন্নত ডেইরী ফার্ম ও পোল্ট্রি ফার্ম ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মাংস, দুধ ও ডিমের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে। আধুনিক মৎস্য চাষ পদ্ধতি, উন্নত মানের মাছের পোনা সরবরাহ ও উন্নত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বাংলাদেশ পৃথিবীর চতুর্থ মৎস্য উৎপাদনকারী দেশের স্বীকৃতি পেয়েছে। এদিকে উৎপাদন ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য উন্নতজাত উৎভাবনের লক্ষ্যে বৃহত্তর কৃষি (ধানগবেষণা, কৃষি গবেষণা, পাট গবেষণা, লাইভ ষ্টক গবেষণা ও মৎস্য গবেষণা) ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।

আশ্রয়ণ প্রকল্প, বাড়ী ফেরা কর্মসূচি ও দুস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য গৃহনির্মাণ প্রকল্প এবং শ্রমজীবী মানুষের গৃহনির্মাণ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তিনি আশ্রয়হীন, ভাসমান ও ভূমিহীন অসহায় মানুষের জন্য আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছেন। জাতিসংঘ ঘোষিত (২০০১-২০১৫) এমডিজি ঘোষিত হলেও ২০০১ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত এমডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের তেমন কোন অগ্রগতি হয়নি। ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী, মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করণ, আশ্রয়হীন মানুষের আশ্রয়ের ব্যবস্থা, ভর্তুকির মাধ্যমে কৃষি ক্ষেত্রে স্বয়ম্ভরতা অর্জনসহ বহুমাত্রিক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশ সাফল্যের সাথে এমডিজি’র ৮টি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সক্ষম হয়। এমডিজি অর্জনে উল্লেখযোগ্য সাফল্যের স্বীকৃতি স্বরূপ বাংলাদেশ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১০ সালে জাতিসংঘ এডওয়ার্ড লাভ করে। মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর হার কমানোর ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে এ পুরষ্কারে ভূষিত করা হয়।

জাতিসংঘ কর্তৃক ২০১৫ সালের ২৫ পর্যন্ত সেপ্টেম্বর (২০১৬-২০৩০) মেয়াদে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (Sustainable Development Goal) এসডিজি ঘোষিত হয়। এসডিজি অর্জনের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছার নিমিত্ত উন্নয়ন ও এসডিজি’র টার্গেট সমন্বয়ে সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয় এবং অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে। জাতিসংঘ কর্তৃক এসডিজি’র ১৭টি (Goal) লক্ষ্যমাত্রা ও ১৬৯টি টার্গেট নির্ধারণ করা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় এবং এসডিজি সমন্বয়ক জনাব আবুল কালাম আজাদ এর তত্ত্বাবধানে সবগুলো মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রণালয়ের অধীনে অধিদপ্তর, দপ্তর ও বিভাগে লক্ষ্যমাত্রা ও টার্গেট গুলো অর্জনের দায়িত্ব বণ্টন করে দেয়া হয়েছে। কোন কোন লক্ষ্যমাত্রা ও টার্গেট গুলো অর্জনের জন্য একাধিক মন্ত্রণালয় ও অধীনস্থ সংস্থা জড়িত আছে। মূল মন্ত্রণালয়কে (Lead Ministry) লীড মন্ত্রণালয় ও অন্যগুলোকে সহযোগী মন্ত্রণালয় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় ও অধীনস্থ সংস্থার কর্মচারীগণ তাঁদের উপর অর্পিত নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ও টার্গেট সমূহ অর্জনের জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন অনুযায়ী এসডিজি অর্জনের জন্য প্রত্যেকটি অধীনস্থ সংস্থা প্রধানকে নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং মন্ত্রণালয়ের সচিবগণকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর করতে হয় এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সচিব, মুখ্যসচিব ও মন্ত্রীপরিষদ সচিব সরাসরি সম্পৃক্ত থাকেন। প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে মাসিক সমন্বয় সভায় এসডিজি সংক্রান্ত পৃথক এজেন্ডা থাকে, ত্রৈমাসিক রিপোর্ট প্রদান করতে হয় এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এসডিজি সংক্রান্ত মনিটরিং সেল থেকে ত্রৈমাসিক সভায় মন্ত্রণালয় ভিত্তিক রিপোর্ট পর্যালোচনা ও প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেয়া হয়।

জাতিসংঘ কর্তৃক ঘোষিত উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এসডিজি অর্জনের মধ্যদিয়ে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ, সোনার বাংলা বিনির্মাণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ‘রূপকল্প-২০৪১’ ঘোষণা করেছেন। অর্থাৎ ২০৪১ সালে বাংলাদেশ হবে বিশ্বের একটি উন্নতি উন্নত ও অর্থনৈতিক ভাবে শক্তিশালী দেশ। ‘রূপকল্প-২০৪১’ ও এসডিজি অর্জনের জন্য প্রতিটি মন্ত্রণালয় সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা তৈরি ও বাস্তবায়নে নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী সকলেই যে একসমান তৎপর তা নয় কেউ কেউ প্রো-একটিভ, কেউ একটিভ আবার কেউ লেস/স্লো একটিভ। তাঁদের কর্মতৎপরতার গ্যাপগুলো সঠিকভাবে ও সঠিক সময়ে সমন্বয় করা গেলে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অবশ্যই পাওয়া যাবে। স্বল্পোন্নত দেশ হতে উত্তরণের অভিযাত্রায় বাংলাদেশ সফলভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশ আজ নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে উন্নত হয়েছে। ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত সিডিপি’র ত্রি-বার্ষিক পর্যালোচনায় বাংলাদেশ মানদণ্ডগুলো পূরণে সক্ষম হওয়ায় সিডিপি ECOSOC এর নিকট মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণের সুপারিশ করবে। মানদণ্ড গুলো হলও মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ সূচক ও অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচক। বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ২২২৭ ডলার থেকে ৩২৭ ডলার বৃদ্ধিপেয়ে এখন ২৫৫৪ ডলারে উন্নত হয়েছে। মানব সম্পদ সূচক (এইচডিআই) ২ ধাপ বৃদ্ধি পেয়ে ১৮৯টি দেশের মধ্যে ১৩৫ তম হয়েছে। অর্থনৈতিক স্বাধীনতা সূচকে ৫৬.৫ স্কোর করে বাংলাদেশের অবস্থান ১২০তম। এ ধরনের অনেক সূচকে বাংলাদেশ ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে।২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশ ২৪.৭৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেসিটেন্স অর্জন করেছে। দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে। বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ায় উদীয়মান বাঘ ও উন্নয়নের রোল মডেল (Bangladesh is the emerging tiger of South Asia & role model of development).

করোনা অতিমারীর ভয়াবহতায় খাদ্য-শস্য আমদানি কারক দেশগুলো চরম বিপর্যয়ের মুখে, অর্থনৈতিক মন্দার কারণে অনেক দেশের ছোট ও মাঝারি শিল্প বন্ধ হয়ে বেকারত্বের সৃষ্টি হয়েছে। বৈশ্বিক আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে (Climate Change) বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি, বিরূপ আবহাওয়া ঘনঘন নিম্নচাপ, ঝড়-ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করতে হচ্ছে। এতকিছু বিপর্যয় মোকাবেলা করে মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি, প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাওয়া এক কঠিন চ্যালেঞ্জ। অন্যদিকে ডিজিটাইজেশনের সুবাদে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন, অনলাইন-পরীক্ষার আবেদন, অনলাইন পাসপোর্টের আবেদন, ই-পাসপোর্ট, ই-টেন্ডারিং, ই-ফাইলিং, ওয়েবিনার ও ভার্চুয়াল মিটিং সহ অনেক সুযোগ সুবিধার সৃষ্টি হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সুযোগ্য পুত্র আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয় এর দিক নির্দেশনা ও প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে দেশ আজ আইসিটি সেক্টরে এক অনবদ্য সাফল্য অর্জন করেছে। 

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কুইক রেন্টাল প্লান্টসহ বিদ্যুৎ উৎপাদনে জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণ করায় এ খাতে বাংলাদেশ বিস্ময়কর অগ্রগতি লাভ করেছে। রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মাতার বাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হলে ২০২৪ সাল নাগাদ বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা লাভ করবে।

যোগাযোগ ব্যবস্থা একটি দেশের উন্নয়নের পূর্বশর্ত সে কারণে দেশের দক্ষিণাঞ্চল ও কক্সবাজারসহ সারাদেশ রেল যোগাযোগের আওতায় আনা হচ্ছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-রাজশাহী, ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-রংপুরসহ সকল বিভাগীয় শহরের রেল যোগাযোগ ডাবল-লাইন স্থাপনের মাধ্যমে দ্রুততম করার কাজ হাতে নেয়া হয়েছে এবং ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধু সেতুর উত্তর পার্শ্বে একটি আলাদা রেলওয়ে ব্রিজ নির্মাণ কাজ আরম্ভ হয়েছে। বঙ্গবন্ধু সেতু, পদ্মা সেতু, রূপসা সেতু, চট্টগ্রাম টানেল-সহ দক্ষিণাঞ্চলে অনেক সেতু নির্মাণের মাধ্যমে সড়ক নেটওয়ার্ক জোরদার করা হয়েছে। সারা দেশে হাইওয়ে গুলো ফোর লেনে উন্নত করার কাজ এগিয়ে চলেছে। ঢাকা শহরে মেট্রোরেল নির্মাণের কাজ ৬০ শতাংশ শেষ হয়েছে। আগামী এক বছরের মধ্যে বাকী কাজ সম্পন্ন হলে ঢাকা শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থায় এক ঐতিহাসিক নতুন অধ্যায় সূচীত হবে।

ডিজিটাল, আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার জননেত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্বে  দেশ আজ অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় এগিয়ে চলেছে। সাহসের সাথে করোনা অতিমারী মোকাবেলা করে তিনি এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। পৃথিবীর অনেক উন্নয়নশীল ও উন্নত দেশ করোনা অতিমারী মোকাবেলায় হিমশিম খাচ্ছে সে ক্ষেত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী পদক্ষেপ ও দিক নির্দেশনায় বাংলাদেশের সফলতা খুবই উৎসাহ বঞ্চক। আশা করি অতি অল্প দিনের মধ্যে বাংলাদেশ করোনা ভাইরাস ঠিকা উৎপাদনে সক্ষম হবে ফলে দেশে উৎপাদিত ঠিকা দ্বারা অতিমারী মোকাবেলা করা অনেক সহজ হবে।

দেশের এত উন্নয়ন যাদের চোখে পড়েনা তারা হয় বোকার স্বর্গে বাস করছে নয় তো এমন উন্নয়ন অনুধাবন করার সক্ষমতা হারিয়ে আবোল তাবোল বকছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিতে যেমন প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীগণ প্রাণান্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তেমনি ত্যাগী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। কিন্তু অনেক সুবিধাবাদী নেতৃবৃন্দ তাঁদের ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য বিভিন্ন পর্যায়ে বিশেষ করে তৃণমূল পর্যায়ে অন্তর্দন্ড, আত্মকলহ ও বিভক্তি সৃষ্টির মাধ্যমে যেমন পার্টির ঐক্য নষ্ট করে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছেন অন্যদিকে জনজীবন অতিষ্ঠ করার মাধ্যমে জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন ম্লান করছেন। তাঁরা প্রান্তিক জনগণের মাঝে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরার কর্মসূচী গ্রহণ করে না বা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরার প্রয়োজন ও বোধ করেন না। তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী করে গড়ে তোলার পদক্ষেপ গ্রহণ করা অতীব জরুরী।

বাঙ্গালী জাতির সৌভাগ্য যে, বঙ্গবন্ধুর মত একজন মহান নেতা পেয়েছে আর বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকার তাঁর সুযোগ্য কন্যা উন্নয়নের স্বপ্নে বিভোর উদ্দীপ্ত কর্মপাগল শেখ হাসিনাকে পেয়েছে। মহান আল্লাহ শেখ হাসিনাকে দীর্ঘজীবন দান করুন তাঁকে সুস্থ রাখুন বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যাবে এবং ১৯৪১ সালে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের শোষনমুক্ত, শক্তিশালী, সমৃদ্ধ উন্নত সোনার বাংলা হবেই হবে ইনশাআল্লাহ।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭