ইনসাইড টক

‘কোনো ষড়যন্ত্রকারীই বঙ্গবন্ধুকে বাংলাদেশ থেকে আলাদা করতে পারবে না’


প্রকাশ: 10/01/2022


Thumbnail

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান বলেছেন, আজ ১০ জানুয়ারি। ১৯৭২ সালের এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার মুক্ত স্বদেশে পা রাখেন। আমরা ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জন করলেও আমাদের বিজয় অসম্পূর্ণ ছিল। সবার মনেই ছিল বঙ্গবন্ধু কবে ফিরবেন। অবশেষে ৭২ সালের ১০ জানুয়ারি আমাদের স্বাধীনতা পূর্ণতা পায় বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে।

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস সহ বিভিন্ন বিষয়ে আব্দুর রহমান বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। পাঠকদের জন্য আব্দুর রহমান এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক অলিউল ইসলাম।

আব্দুর রহমান বলেন, সেদিন উপস্থিত জনতার ঢলে বিমানবন্দর ভেসে যাচ্ছিল। চারদিকে শুধু মানুষ আর মানুষ। শিশু থেকে বৃদ্ধ, সবাই বঙ্গবন্ধুকে এক নজর দেখার জন্য অপেক্ষা করছিল। সেদিন বিশাল জনসমুদ্রের সামনে দাঁড়িয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন বঙ্গবন্ধু। ছোট্ট ভাষণে সেদিন তিনি জাতিকে দিয়েছিলেন দিক নির্দেশনা।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর থেকে দীর্ঘ ২৩ বছর আমরা বঙ্গবন্ধুর নাম নিতে পারতাম না। রাষ্ট্রীয়ভাবে বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলার চেষ্টা চলে সে সময়টাতে। কিন্তু ‍সেই দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রকারী গোষ্ঠী ষড়যন্ত্র করেও বঙ্গবন্ধুর নাম মুছতে পারেনি এবং পারবেও না। বঙ্গবন্ধু তার স্বমহিমায় বাংলার ইতিহাসে ফিরে আসতে বাধ্য। বঙ্গবন্ধু ব্যতীত বাংলাদেশের ইতিহাস লেখা সম্ভব নয়। বাংলার মাটি, জল, ফুল, ফল, সর্বোপরি বাংলার মেহনতি মানুষের প্রাণের অনুরণন ছিলেন বঙ্গবন্ধু। ফলে কোনো ষড়যন্ত্রকারীই বঙ্গবন্ধুকে বাংলাদেশ থেকে আলাদা করতে পারবে না। বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। আবার বাংলাদেশ মানেই বঙ্গবন্ধু।  

আব্দুর রহমান বলেন, ১০ জানুয়ারি দেশের মাটিতে পা রেখেই বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন যে ‘আমার বাংলাদেশ আজ স্বাধীন হয়েছে, আমার জীবনের সাধ আজ পূর্ণ হয়েছে, আমার বাংলার মানুষ আজ মুক্ত হয়েছে’। এমনকি সেদিন তিনি এও বলেছিলেন যে, ‘আমি কারাগারে বন্দী ছিলাম, ফাঁসি কাষ্ঠে যাবার জন্য প্রস্তুত ছিলাম। কিন্তু আমি জানতাম আমার বাঙালি কে দাবায় রাখতে পারবে না’। 

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু আজীবন অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে গেছেন। একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখতেন তিনি। সেই লক্ষ্যে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছিলেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে নৃশংসভাবে হত্যা করার পর সব কিছু উল্টে যায়। স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্রের নামে ধর্মভিত্তিক উগ্র দলগুলোকে পুনরায় রাজনীতি করার সুযোগ করে দেয়। এর ফলে স্বাধীন বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলাম রাজনীতি করার সুযোগ পায়। তারা সংবিধান পরিবর্তন  করে ছিন্নভিন্ন করে ফেলে। বঙ্গবন্ধুর তৈরি করা সংবিধানের ঠিক উল্টো পথে চলতে শুরু করে দেশ। দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা এসব অপশক্তিদের মোকাবেলা করেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭