সুইজারল্যান্ডের রাজধানী জেনেভায় উত্তেজনার তুঙ্গে থাকা ইউক্রেন ইস্যু নিয়ে বৈঠকে বসেছে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া। দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর মাঝে উত্তেজনা প্রশমনে শুরু হওয়া এই বৈঠকের আগেই রাশিয়াকে হুঁশিয়ারি দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, সংলাপ বা সংঘাত এ দুইয়ের যে কোনো একটি বেছে নিতে হবে।
রবিবার (০৯ জানুয়ারি) রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক এবং সেনা কর্মকর্তারা জেনেভায় নৈশভোজে বসেন।
তবে বৈঠকের আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, সীমান্তে রাশিয়ার সৈন্য সমাবেশ স্বাভাবিক কোনো বিষয় নয়।
গতকাল আনুষ্ঠানিক আলোচনার আগে ছিল এ নৈশভোজ। মস্কোর দাবিনামা নিয়েই হবে আলোচনা। গত মাসে ন্যাটো ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এ খসড়া চুক্তি হয়। এর অনেকটিই যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে মেনে নেওয়া শক্ত। কারণ এর মধ্যে একটি হলো ইউক্রেনকে কখনই ন্যাটোর সদস্য করা যাবে না। রুশ দলের প্রধান উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ রুশ ও মার্কিন কর্মকর্তাদের নৈশভোজকে ‘চমৎকার’ আখ্যায়িত করেছেন। জেনেভায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে এ নৈশভোজ হয়। রিয়াবকভ বলেন, ‘আলোচনা জটিল ছিল। কিন্তু এটা কার্যকর হয়েছে। আগামীতে যেসব বিষয় নিয়ে কথা হবে আমরা তার দিকে দৃষ্টিপাত করেছি। আমি মনে করি কাল (সোমবার) আমরা সময় নষ্ট করব না। আমি কখনো আশা ছাড়ি না। সব সময় আশা নিয়েই থাকি।’
আলোচনায় মার্কিন প্রতিনিধি দলের প্রধান উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়েনডি শেরম্যান সার্বভৌমত্ব, রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতা এবং সার্বভৌম দেশগুলোর জোটসঙ্গী বেছে নেওয়ার স্বাধীনতার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতিগুলোর ওপর জোর দেন। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের পক্ষ থেকে এমনটাই জানানো হয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনের দেওয়া তথ্যানুসারে রাশিয়া ইউক্রেন সীমান্তে ১ লাখ সৈন্যের সমাবেশ ঘটিয়েছে। দ্রুত নোটিসে আরও লাখখানেক সৈন্য জড়ো করার প্রস্তুতি নিয়েছে। তার মন্তব্য, চলমান কূটনৈতিক আলোচনা রুশ প্রেসিডেন্টের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যবহ।