কোন সিনেমা বা নাটকে নয়। বাস্তব জীবনেই মা হতে যাচ্ছেন পরীমনি। সন্তানের বাবা অভিনেতা শরীফুল রাজ। মা হওয়ার বিষয়টি পরীমনি নিজেই নিশ্চিত করেছেন। এমন সংবাদ গতকাল দুপুর দেখে সব জায়গায় দেখা যাচ্ছে। এমনকি পরীমনি ও রাজ দুজনেই বিয়ে ও সন্তানের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
শরীফুল রাজ ও পরী সম্প্রতি জুটি হয়ে কাজ করেছেন গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘গুণিন’ চলচ্চিত্রে। এই ছবিতে কাজ করতে গিয়েই প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় এই শিল্পী জুটির। অতঃপর সাত দিন প্রেম করেই বিয়ে করে ফেললেন তাঁরা।
এক সাক্ষাৎকারে পরীমনি বলেন, গত বছরের ১৭ অক্টোবর আমরা বিয়ে করেছি। প্রেম হওয়ার ঠিক সাত দিনের মাথায় এমন সিদ্ধান্ত নিই। প্রথমে দুই পরিবারকেই আমরা দুজন জানিয়েছিলাম। এরপর পারিবারিকভাবে রাজের আফতাব নগরের বাসায় বিয়ে হয় আমাদের।
পরীমনি জানান, গুনিন-এর শুটিং করতে গিয়ে এক অন্য রকম রাজকে আবিষ্কার করেন তিনি। এরপর তাঁদের প্রেম গড়ায় পরিণয়ে। তিন দিন আগে পরিচালককে মিষ্টি খাইয়ে নিজেদের বিয়ের খবর জানিয়েছিলেন পরীমনি। বিয়ের ঘটনাটিও নিশ্চিত করেছেন গিয়াস উদ্দিন সেলিম।
এদিকে পরীমনির মা ও বিয়ের সংবাদ যেদিন ঘোষনা করেন ঠিক সে দিনই চরকিতে গুণিন’ চলচ্চিত্রের একটি পোস্টার প্রকাশ পায়। আর এদেখেই অনেকেই দুইয়ে দুইয়ে চার মিলাতে থাকেন। অনেকেই বলেছেন হয়তো চলচ্চিত্রের জন্য এটি নতুন কোন স্ট্যান্ডবাজি! অথবা বিয়ে ইস্যুকে কেন্দ্র করে চরকি তাঁর নতুন চলচ্চিত্রকে আলোচনায় নিয়ে আসতে চাচ্ছে।
এদিকে পরীমনি বলছেন, গত বছরের ১৭ অক্টোবর আমরা বিয়ে করেছেন। প্রথমে দুই পরিবারকেই তারা দুজন জানিয়েছিলেন। এরপর পারিবারিকভাবে রাজের আফতাব নগরের বাসায় বিয়ে হয় তাঁদের। কিন্তু বিভিন্ন মাধ্যমে জানা গেছে তার এ বক্তব্য ভিত্তীহিন। কেননা পারিবারিক ভাবে বিয়ে হলেও তাদের কাছের কিছু মানুষ বিষয়টি জানতেন না! এমনকি সেই বিয়ের কোন ছবিও পরীমনি কিংবা রাজ কেউ এখন পর্যন্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেননি।
উল্লেখ্য, বর্তমানে পরীর হাতে রয়েছে, রাশিদ পলাশের ‘প্রীতিলতা’, চয়নিকা চৌধুরীর ‘কাগজের ফুল’, অরণ্য আনোয়ারের ‘মা’ চলচ্চিত্রগুলো। এ বছরই মুক্তি পাবার কথা রয়েছে পরী অভিনীত ‘মুখোশ’, ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’ ছবিগুলো।
শরিফুল রাজ প্রথম আলোচনায় আসেন ২০১৬ সালে ‘আইসক্রিম’ সিনেমায় অভিনয় করে। সেখানে তার বিপরীতে ছিলেন নাজিফা তুষি। এরপর ২০১৯ সালে মুক্তি পায় তার অভিনীত দ্বিতীয় সিনেমা ‘ন ডরাই’। এতে রাজের নায়িকা ছিলেন সুনেরাহ বিনতে কামাল।
বর্তমানে রাজের হাতে রয়েছে একাধিক সিনেমা ও ওটিটি প্রজেক্টের কাজ। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ‘পরাণ’ ও ‘হাওয়া’ সিনেমা দুটি।